somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অভিনয় প্রাণবন্ত না হলে সুসজ্জিত মঞ্চের কোন মূল্য নেই

০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সংস্কৃতির ভেতর থেকে কিভাবে মানবিক চেতনা বের হয়ে আসে ইডি স্যারের সাথে এই ব্যাপারে অনেক আলাপ হতো। চেতনার আবিষ্কার হচ্ছে সংস্কৃতি এই প্রসঙ্গটি খুব গুরুত্ব সহকারে বিবেচিত হয়েছিল বলেই ডা: মোস্তাক আহমেদের সাথে বারবার বসা। শওকত ওসমান বলেছিলেন, সংস্কৃতির কোন দেওয়াল নেই। সীমান্ত নেই। সংস্কৃতি বিশ্বের সম্পদ। যে সংস্কৃতিতে বিশ্বমানবতার স্পর্শ নেই, সেটা সংস্কৃতি নয়। সংস্কৃতি স্বর্গের অর্ধেক পথ,সংস্কৃতিহীনতা নারকীয়। তাই শিল্প পথের সকল বাঁধা বিপত্তি ও অমসৃনতাকে পায়ে দলে, সামাজিক বৈষম্যের সকল দুর্গকে চুর্ণ-বিচুর্ণ করে, রাজনৈতিক নিপীড়ন ও সাংস্কৃতিক গোলামী হতে পৃথিবীর বাতাসকে মুক্ত করে, সমস্ত পৃথিবীকে শিল্পের রঙে রঙিন করে, মায়োলিন ছুটে যাবে নিলীমাপানে তাঁর আপন মহিমায় এই প্রত্যাশাটা ছিল অনেকেরই হৃদয়ের গভীর থেকে উঠে আসা।

১৫ই সেপ্টেম্বর নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় রিলায়েন্স ফার্মাসউটিক্যালস লি: এর ইডি সুলতান আহমদ নিহত হবার আগের দিনও এই ব্যাপারে মোবাইলে কথা হয়েছিল। তিনি গান গাইতেন জানলেও শুনার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। আসলে গান ভালবাসেনা পৃথিবীতে এমন মানুষ বিরল। গ্যেটে বলেছিলেন, একটা মানুষের প্রতিদিন কমপক্ষে একটা গান শোনা, একটা কবিতা পড়া, একটা সুন্দর চিত্র দেখা এবং সম্ভব হলে কিছু সত্য কথা বলা উচিৎ। ভাষার একটা দিকে অর্থ আর একটা দিকে সুর; এই অর্থের যোগে ছবি গড়ে ওঠে, সুরের যোগে গান। সঙ্গীত মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত হৃদয় স্পর্শ করে। যন্ত্রণাকাতর মনের জন্যে সঙ্গীত ওষুধের কাজ করে। সঙ্গীত হলো সুর,তাল ও সঙ্গতি। মানুষের মনের উপরে প্রভাব বিদ্যুৎ প্রবাহের ন্যায়। শুনবার সাথে সাথে এ মনকে স্নিগ্ধ করে। জীবন ও সঙ্গীত ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সঙ্গীতের মাঝে মানুষ বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা পায়। শব্দহীন পরিবেশে সঙ্গীত মনের ভাঁজে ভাঁজে সুর ছড়ায়। তিনি এটি হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করেছিলেন বলেই হাসনাত কাদের ভাই, গোলাম মওলা ভাইয়ের সাথে আলাপচারিতার পরবর্তী দিনগুলোতে তিনি সঙ্গীত কোর্স চালুর ব্যাপারে দারুণ আগ্রহী ছিলেন ।

তিনি আমার অত্যন্ত প্রিয় মানুষ ছিলেন। তার সাথে আবৃত্তির কোর্স চালুর ব্যাপারেও কথা হয়েছিল। যেহেতু কবিতা মানুষের চিরায়ত সম্পদ। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সবখানে, সব সময়ে, সব মানুষের হৃদয়ে একে স্থাপন করা সম্ভব। সেহেতু আবৃত্তি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ গুরুত্বের দাবি রাখে। আবৃত্তি হলো বাচিক প্রকাশ। এটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত একটি শিল্প মাধ্যম। আবৃত্তিশিল্পীর স্বরচর্চা, ছন্দ, স্বরের উত্থানপতন, প্রমিত উচ্চারণ, রস-ভাব-আবেগ এর যথাযথ প্রয়োগ, কবিতার অন্তর্গত অর্থ উদ্ধার, সৌন্দর্য্যতত্ত্ব সর্ম্পকে ধারনা থাকতে হয়। তিনি ভাল আবৃত্তি শুনতে , ভাল আবৃত্তি করতে সেই সাথে তরুণ প্রজন্মও শিক্ষিত ও শানিত আবৃত্তিকার হয়ে উঠুক এটা কামনা করতেন। সবাই প্রমিত উচ্চারণে কথা বলতে পারবে এবং শুদ্ধ উচ্চারণে আবৃত্তি করতে পারবে এটা ছিল একটা স্বপ্ন।
আবৃত্তি নানান দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ। সুন্দরভাবে কথা বলা কার না পছন্দ। আর একটি অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা সবারই কাম্য। এই সুন্দর উপস্থাপনা আর সুন্দর কথার ফুলঝুরি এনে দিতে পারেন একজন আবৃত্তিশিল্পী। আবৃত্তিচর্চা এখন শুধু আবৃত্তি শিল্পীই তৈরি করে না, বরং নির্দেশক, উপস্থাপক, প্রশিক্ষক, সংবাদ উপস্থাপক, টেলিভিশন ও রেডিও রিপোর্টার, নাট্যকর্মী ও অন্যান্য মাধ্যমে বেশকিছু বাচিক শিল্পী তৈরিতে বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করে আবৃত্তিচর্চা। শুধু তা-ই নয়, একজন ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব পরিস্ফুটনেও আবৃত্তিচর্চা মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে। শুদ্ধ ও স্পষ্ট উচ্চারণ, সুন্দর বাচনভঙ্গি, সঙ্গে ভাবের একটু সঠিক ব্যবহার একজন ব্যক্তির ব্যক্তিত্বকে অসাধারণ করে তোলে। এ ক্ষেত্রে আবৃত্তিচর্চার বিকল্প নেই। তাই কেউ শিল্পচর্চার পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তুলতে চর্চা করতে পারে আবৃত্তি।

কবিতা বা সংলাপ ব্যক্তি বা পাঠকের মনে অনুভূতি ও ভাবাবেগ প্রবণতার উদ্রেক করে।
ইচ্ছা ছিল শিখানো হবে উপস্থাপনা, উচ্চারণ, বাচনিক উৎকর্ষ ও আবৃত্তি বিষয়ক কর্মশালায় যেসব বিষয় পড়ানো হয় তা হচ্ছে_ আবৃত্তির উৎপত্তি ও ইতিহাস, বর্ণ উচ্চারণ স্থান ও রীতি, স্বরসাধন, শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণের ব্যায়াম, মেডিটেশন, স্বরের স্কেল, প্রমিত উচ্চারণ, কবিতার ছন্দ, কবিতার ভাব ও রস, উপস্থাপনা, আবৃত্তির ভাবনা ও আবহসঙ্গীতসহ মাইক্রোফোনের ব্যবহার।

প্রসপেক্টাসের একটি খসড়া তৈরির দায়িত্ব আমার উপর অর্পিত হয়েছিল। আমি কুরআন তেলাওয়াত সহীহ শুদ্ধভাবে পড়তে সক্ষম হওয়াটাকে প্রতিটি মুসলমানের জন্যেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছি। যেহেতু ‘জ্ঞানের আলো’ আরবী ভাষায় সমৃদ্ধ। আর আমাদের দেশের মানুষের দেহের চাইতে আত্মার চিকিৎসা আগে হওয়ার প্রয়োজন থাকায় ধর্মীয় শিক্ষাটা গুরুত্বপূর্ণ। দেহ থেকে টিউমার অথবা পুজঁ বের করবার চাইতে খারাপ চিন্তা বের করে দেওয়া অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। তাই ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে আরবী ভাষাগত জ্ঞানার্জনের অপরিহার্যতা পূরণে একটি সহায়ক কোর্স চালুর ভুমিকা স্পষ্ট।

আমার এই কালচারাল একাডেমি করার ক্ষেত্রে খুব বেশি আগ্রহ ছিল। ক্যালিওগ্রাফি, চিত্রাংকান ও কার্টুন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্স নিয়ে ভেবেছিলাম। কোর্সটি এমনভাবে সাজানোর ইচ্ছে ছিল যেন শিক্ষাথীরা আটিস্ট হিসেবে পরিচয় দিতে পারে। বেসিক থেকে শুরু করে ড্রইং, স্কেচিং, পেইন্টিং পর্যন্ত কিছুই বাদ যেতোনা।

ফটোগ্রাফী (স্টিল ও ভিডিও) সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের ব্যাপারে স্যার বেশ ভেবেছিলেন। আমরা জানি ছবিকে শব্দহীন জীবন্ত কবিতা বলা হয়। ফটোগ্রাফীর প্রতি অনেকেরই ব্যাপক আগ্রহ আছে। ইদানিং সেটা আরো বেড়েছে বলা চলে। কম্প্যাক্ট ডিজিটাল ক্যামেরাই বলি আর ডিএসএলআর ক্যামেরাই বলি সহজলভ্য হয়ে যাওয়ায় এখন অনেকের হাতেই কোন না কোন ক্যামেরা দেখা যায়। যার এসব নেই, সে হয়তো মোবাইল ক্যামেরা দিয়েই ছবি তুলছে। ক্যামেরা এমন বস্তু যেটার সাথে থিওরিটিকাল ব্যাপার স্যাপারের থেকে প্রাক্টিকাল দিকটা বেশি জড়িত। ফ্রেমিং,কম্পজিশন,এক্সপোজার,লাইটিং|আর ক্যামেরা এবং লেন্স সম্পর্কে ধারনা থাকলেই হল । শৈল্পিক পেশা ফটোগ্রাফির মাধ্যমে গতানুগতিক চাকরি থেকে ভালোভাবে উপার্জন ও সম্মান আদায় করা সম্ভব।

সংবাদ ও অনুষ্ঠান উপস্থাপনা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ বেশ ফল দিতে পারে। উপস্থাপনা একটি দায়িত্বশীল পেশা। সংবাদ উপস্থাপকদের থাকতে হবে সংবাদ, সাংবাদিকতা এবং সমসাময়িক বিষয়ে ব্যাপক জ্ঞান। শুদ্ধ উচ্চারণের পাশাপাশি অব্যাহত প্রশিক্ষণ ও চর্চার মধ্য দিয়ে সংবাদ উপস্থাপকদের দক্ষতা উন্নয়ন সম্ভব। এ কোর্সটি বিভিন্ন টেলিভিশনের খ্যাতিমান সংবাদ উপস্থাপক ও উচ্চারণ বিশেষজ্ঞগণদের মাধ্যমে পরিচালনা করার কথা ছিল।

সাংবাদিক আনোয়ার ও শিল্পী ফখরুল ভাইও ছিল গ্রুপে। স্বপ্ন ছিল অভিনয় মিল্পী তৈরি করার। অভিনয় প্রাণবন্ত না হলে সুসজ্জিত মঞ্চের কোন মূল্য নেই। প্রশিক্ষিত হয়ে এলে অভিনয় ভালো হয়। অভিনয় এর মধ্যে রয়েছে অভিব্যক্তি, বাচিক অভিনয়, নাচ, গান, মার্শাল আর্ট, মাইম, ও আরো অনেক কিছু। অভিনয়ে আনন্দই হলো যে কোন চরিত্রকেই সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলা। যে কোন ধরণের চরিত্রকেই সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করাটাই হলো একটা চ্যালেঞ্জ। ভাবতাম, রাজধানীতে নিজস্ব জমি কিনে নিজস্ব ভবনে থিয়েটারভিত্তিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত করতে পারলে,স্টুডিও থিয়েটার গড়ে তুলতে পারলে তা খুবই কল্যাণকর হবে। ইনকাম জেনারেটিং কাজকর্মও প্রতিষ্ঠানের দীর্মেয়াদী সুফল বয়ে আনার ক্ষেত্রে দরকারী।

লেখালেখি প্রশিক্ষণ কোর্স নিয়ে মনোযোগ ছিল। গল্প, কবিতা, নাটক, উপন্যাস, কলাম, প্রবন্ধ-নিবন্ধ লিখার কিছু নিয়ম নীতি, পদ্ধতি ও কৌশল রয়েছে। দক্ষ কলম সৈনিক তৈরির লক্ষেই এই কোর্সটি পরিচালিত হবার কথা ছিল। কল্পনা হলো আত্মার চক্ষু। কল্পনাশক্তি না থাকলে সৃষ্টি করা যায় না। তারপরও ভালো স্ক্রিপ্ট রাইটারের জন্যে প্রশিক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ। কলমকে হৃদয়ের জিহ্বা বলা যায়। লেখক লেখিকা মানে কথাশিল্পী। অর্থাৎ কথামালার সৃষ্টিকার। সৃজনশীলতার কারিগর। চাই ভালো স্ক্রিপ্ট লেখক। স্ক্রিপ্টের দূর্বলতার কারণে পারফরমেন্স খারাপ হয়।

মাসিক প্রকাশনার ব্যাপারে স্যার এডুকেয়ারটাকে নিয়মিত বের করার দিকে দৃষ্টি দিয়েছিলেন। খবরের কাগজগুলি বিশ্বের আয়না স্বরুপ। নেপোলিয়ান বলেছিলেন, আমি তিনটি খবরের কাগজকে একলক্ষ বেয়নেট অপেক্ষা বেশি ভয় করি। নি:সন্দেহে এই ক্ষেত্রের কর্মোদ্যোগ চিন্তা থেকে যতোটা উৎসারিত, তার চেয়ে বেশি উৎসারিত দায়িত্বশীলতা থেকে।

স্যার আমার লেখা পান্ডুলিপি গুলো পড়তেন। বই প্রকাশের ব্যাপারটাও তার আগ্রহ এড়াতনা। নবীন লেখকদের বই প্রকাশ নি:সন্দেহে খুব সহজ উদ্যোগ নয়। তবে চীনা প্রবাদ আছে, হাজার মাইল ভ্রমণের সূচনা ঘটে ছোট্ট একটি পদক্ষেপ দিয়ে। শুরু করা হচ্ছে মহৎ একটি শিল্প আর শেষ করা হচ্ছে মহত্তম। একবার শুরু করতে পারলে দায়িত্ব অনেক সহজ হয়ে যায়। আমাদের বিশ্বাস নবীনদের বই প্রকাশ এফপিপির একটি উত্তম প্রচেষ্টা হিসাবে বিবেচিত হবে। আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু বলেছিলৈন, কোন চেষ্টাই একেবারে বৃথা যায়না। আজ যাহা নিতান্ত ক্ষুদ্র মনে হয়, দু'দিন পরে তা থেকে মহৎ ফল উৎপন্ন হয়।

মেলার আয়োজন ও অংশগ্রহণ এর মধ্য দিয়ে জানার পরিধি বাড়ে। আনন্দ ও সুখের জন্যে সব সময় টাকা পয়সা লাগে না। আনন্দ ও সুখ করার আর্ট জানা চাই। রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের সংস্কৃতি। কিন্তু বর্তমান সভ্যতার বিজ্ঞানের যুগে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক বলিউডের হিন্দি ফিল্ম কিংবা হলিউডের ইংরেজি ছায়াছবির প্রতি মোহাবিষ্ট। তার অর্ধেক আগ্রহও নেই নিজ সংস্কৃতিকে চেনা ও জানার প্রতি। দেশের অধিকাংশ লোককে জিজ্ঞাসা করলে উত্তর দেবে আমি বাংলা গান পছন্দ করি না। যারা শুদ্ধ-অশুদ্ধ ইংরেজিতে কথা না বললে তাদের 'সোস্যাল স্ট্যাটাস' নষ্ট হয়ে যায়।

বিভিন্ন প্রোগ্রাম যেমন মোড়ক উন্মোচন, সনদ বিতরণ, পুরস্কার বিতরণ, খেলার আয়োজন হলে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চা বৃদ্ধি পাবে। সংস্কৃতি থেকেই সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের উদ্ভব হয়েছে। রুপালি পর্দায় সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বর্তমানে আধিপত্য বিস্তার করছে যারা তারা অনেক চর্চা ও নিবিড় অনুশীলনের মাধ্যমেই এই পর্যায়ে এসেছে। আকাশ মিডিয়ায় এমন কোনো শাখা-প্রশাখা খুঁজে পাওয়া যাবে না যেখানে নবীনদের জোক নেই। সাংস্কৃতিক আগ্রাসন,বেড়াজাল থেকে জাতিকে উদ্ধার করতে হলে সংস্কৃতির সব শাখায় সময়োপযুগী কোর্স চালু করা প্রয়োজন।

সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তিত্ব-সম্মাননা ও উপাধি প্রদান এর মাধ্যমে ইতিবাচক ফলাফল বইয়ে আনা সম্ভব। মানব সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পেছনে যে উপাদানটির বিশেষ অবদান রয়েছে তা হচ্ছে সংস্কৃতি। প্রত্যেক জাতিরই একটি নিজস্ব সংস্কৃতি রয়েছে। আর এ সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমেই মানুষ পারে সীমাবদ্ধ গন্ডি থেকে বেরিয়ে বৃহৎ পরিমন্ডলে আত্মপ্রকাশ করতে। শিক্ষিত হলেই কেবল সংস্কৃতিবান হওয়া যায় না। কারণ সংস্কৃতি মানুষের মধ্যে মূল্যবোধের জন্ম দেয়। কেবল ধার্মিক ও শিক্ষিত হলেই জীবন সুন্দর হবে এমন নয়, সঙ্গে প্রয়োজন সংস্কৃতির, যা মানব জীবনকে সুন্দর ও মার্জিত করে। প্রত্যেক জাতির যেমন নিজস্ব সংস্কৃতি রয়েছে, তেমনি প্রতিষ্ঠানের ও সমাজের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি সংক্রান্ত সংস্কৃতি রয়েছে।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×