৭০ বছর বয়স্ক অসুস্থ বৃদ্ধ বাবার পাশে বসে আছে তার ৩৫ বছর বয়েসের ছেলে।
‘বাবা, জানালার ওপারে কারেন্টের তারে যে পাখিটি বসে আছে, ওটা কি পাখি?’
‘ওটা ঘুঘু পাখি বাবা।’ ছেলে পাখিটিকে ভালভাবে দেখে নিয়ে উত্তর দিল।
একটু পর আবার বাবার প্রশ্ন,
‘জানালার ওপারে কারেন্টের তারে যে পাখিটি বসে আছে ওটার নাম কি বাবা? আমি তো ভাল করে দেখতে পাচ্ছি না।’
‘ওটা একটু ঘুঘু পাখি, বাবা।’
একটু পর আবার,
‘জানালার ওপারের পখিটার নাম কি বাবা?’
‘বললাম তো বাবা, ওটা একটু ঘুঘু পাখি।’
একটু পর,
‘বাবা, পাখিটার নামটা জানি কি?’
‘কোন পাখি বাবা?’
‘ওই যে জানালার ওপাশের কারেন্টের তারে বসে থাকা পাখিটা?’
‘ওফ! ওটা একটা ঘুঘু ঘুঘু ঘুঘু। কতোবার বলতে হয়?’ উত্তেজিত ছেলে জবাব দিল।
বাবা তখন তার ডায়েরীটা পড়ছিলেন। সেখানে লেখা,
আজ সকালে অফিসে যাবার আগে আমার চার বছরের বাবু একটা ঘুঘু পাখি দেখে উৎসুক হয়ে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল, বাবা, পাখিটার নাম কি? আমি তাকে পাখিটার নাম বলার পর আরো অন্তত ২৩ বার একই প্রশ্ন করল। তার আগ্রহ ভরা প্রশ্ন শুনে আমার এতো ভাল লাগছিল যে প্রতিবার প্রশ্ন করার পর তার মাথা হাত বুলিয়ে তার প্রশ্নের উত্তর দিলাম। দিনকে দিন বাবুটা আমার অনেক বেশি কৌতুহলী হচ্ছে...
(একটা বিদেশী গল্প অবলম্বনে)