somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রংপুরের কিছু বধ্যভূমি ও স্মৃতিস্তম্ভ'র ছবি

০৫ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৩:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মুক্তিযুদ্ধে নয় মাস সারাদেশে যখন পাকিস্তানি সৈন্যরা হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তখন উত্তরের জেলা রংপুরের শান্তিপ্রিয় অথচ বিপ্লবী মানুষেরাও রক্ষা পায়নি। পাকিস্তানি হানাদাররা তাদের এ দেশীয় দোসর আলবদর, রাজাকারদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় নির্বিচারে হত্যা করেছে নিরীহ সাধারণ মানুষকে। তাদের হাত থেকে নারী-শিশু-আবাল বৃদ্ধ-বনিতা কেউই রক্ষা পায়নি। রংপুর জেলার চিহ্নিত গণহত্যার স্থানগুলোতে নিরীহ মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হতো। রংপুর টাউন হলে গড়ে তোলা হয়েছিল অস্থায়ী নির্যাতন কেন্দ্র। রংপুরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এমন অনেক বধ্যভূমি । সংস্কার ও সংরক্ষণে অবহেলার কারণে নিশ্চিহ্ন হতে বসেছে এই বধ্যভূমিগুলো। সরকারীভাবে এখনই উদ্যোগ না নেয়া হলে হয়তো আগামী প্রজন্ম জানতেই পারবে না এখানে কেমন পৈশাচিকতার শিকার হয়েছিলেন নিরস্ত্র সাধারণ মানুষ। স্বাধীনতার ৪১ বছর পূর্তিতে রংপুর অঞ্চলের মানুষের সামান্যই চাওয়া, বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণ করা আগামী প্রজন্মের জন্য। এখনও যে বধ্যভূমিগুলোতে কান পাতলে যেন শোনা যায় অজস্র শহীদি আত্মার করুণ আহাজারি ও কাতর আকুতি- “আমরা বাঁচতে চাই, আমরা বাঁচতে চাই”।

১) অর্জন : ঐতিহাসিক ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবসের বীর শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে রংপুর শহরের প্রবেশ দ্বার হিসেবে পরিচিত মডার্ন মোড়ে নির্মিতি স্মৃতি স্তম্ভ "অর্জন"। ভাস্কর : অনীক রেজা।



২) পায়রা : মুক্তিযুদ্ধে রংপুর অঞ্চলের সকল শহীদদের স্মরণে নগরীর প্রাণ কেন্দ্র পুরাতন প্রেসক্লাব মোড় (তিন কোনিয়া মোড়) এ নির্মিত হয় স্মৃতিস্তম্ভ "পায়রা" । পরে ভাস্কর্যের নামে এলাকাটির নাম হয়ে গেছে পায়রা চত্বর। ভাস্কর : অনীক রেজা।



৩) "মুক্ত বিহঙ্গ" : রংপুর শহর থেকে কয়েক কিমি দূরে বেসরকারী উদ্যোগে নির্মিত থীম পার্ক ভিন্ন জগতে নির্মিত মুক্তিজুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ "মুক্ত বিহঙ্গ"।



৪) দমদমা ব্রীজ বধ্যভূমি স্মৃতি ফলক : ৩০ মে ১৯৭১। মধ্যরাতে কারমাইকেল কলেজ ক্যাম্পাসে অতর্কিতে ঢুকে পড়লো পাক হানাদার বাহিনীর কনভয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই এক এক করে ধরে নিয়ে আসা হলো অধ্যাপক সুনীল বরণ চক্রবর্তী, অধ্যাপক রামকৃষ্ণ অধিকারী, অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন রায় এবং অধ্যাপক কালাচাঁদ রায়কে। শুরু হলো রাইফেলের বাট দিয়ে বেধড়ক পিটুনি। অধ্যাপক কালাচাঁদ রায়ের সহধর্মিণী মঞ্জুশ্রী রায় সহ্য করতে পারলেন না তাঁর পতিসহ অন্যান্য শিক্ষকদের উপরে এমন অমানুষিক নির্যাতন। এক ছুটে তিনি বেরিয়ে আসলেন এবং সাথে সাথে ঘাতকের দল তাঁকেও রেহাই দিলো না। কারমাইকেল কলেজের ক্যাম্পাস থেকে মিলিটারীদের গাড়ির কনভয় বের হয়ে রংপুর-বগুড়া মহাসড়কের দমদমা ব্রীজ এর কাছে গিয়ে হানাদারদের কনভয় থামলো। রাস্তা সংলগ্ন একটি বাঁশের ঝাঁরে নিয়ে যাওয়া হলো হাত পিছ মোরা করে বাঁধা শিক্ষকদের। দাড় করিয়ে দেওয়া হলো সারিবদ্ধভাবে। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই গর্জে উঠলো হানাদারদের রাইফেল। মুহূর্তের মধ্যে লুটিয়ে পড়লেন কারমাইকেল কলেজের শিক্ষক অধ্যাপক সুনীল বরণ চক্রবর্তী, অধ্যাপক রামকৃষ্ণ অধিকারী, অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন রায়, অধ্যাপক কালাচাঁদ রায় এবং তাঁর সহধর্মিণী মঞ্জুশ্রী রায়। পরবর্তীতে এই স্থানে আরও অনেক মানুষকে ধরে এনে নির্বিচারে হত্যা করে হানাদারেরা। এখনও সেখানে কোন স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ না করা হলেও কারমাইকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি স্মৃতি ফলক নির্মাণ করে ঐ বাঁশ ঝাড়ে।



৫) দখিগঞ্জ শ্মশান বধ্যভূমি স্মৃতি স্তম্ভ : ৭১ সালের ৩ এপ্রিল, শনিবার। রংপুর জেলায় ঘটেছিল এক অকল্পনীয় হত্যাযজ্ঞ। হটাত করেই মধ্য রাতে দখিগঞ্জ শ্মশানের কাছে গুলির শব্দে ঘুম ভাঙে আশপাশের মানুষের। ঠিক ২৫ মার্চের কালো রাত্রির মতোই। রংপুরবাসী কোন দিন কল্পনাও করতে পারেনি হাত পা বাঁধা অবস্থায় এমনভাবে বাঙ্গালীদের হত্যা করতে পারে পাক হানাদার বাহিনী। রংপুরের সর্বজন শ্রদ্ধেয় সবার প্রিয় জররেজ ভাই( শহীদ এ্যাডঃ ইয়াকুব মাহফুজ আলী, যিনি ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ রংপুর শহরের নবাবগঞ্জ বাজারে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন) সহ ১১ জন বাঙ্গালীকে দখিগঞ্জ শ্মশানে হাত ও চোখ বাঁধা অবস্থায় লাইন ধরে দাঁড় করে গুলি চালিয়ে হত্যা করে হায়েনার দল। গুলিবিদ্ধ এক জন আর একজনের উপরে ঢলে পরে। নিমিষেই ঝরে যায় তরতাজা প্রাণ। সেই ধ্বংসযজ্ঞের সময় একজন অলৌকিকভাবে বেঁচে যান। অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া সেই ব্যক্তি হচ্ছেন রংপুরের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব তাজহাটের দীনেশ চন্দ্র ভৌমিক (মন্টু ডাক্তার)। তিনি এলাকায় পরিচিতি মন্টু ডাক্তার নামে।



৬) "একটি ফুলের জন্য" : রংপুরের ব্যস্ততম স্থান শাপলা চত্বর। এখানেই ১৯৯৯ সালে পৌরসভার ব্যবস্থাপনায় শহীদ স্মরণে নির্মাণ করা হয়েছে একটি স্মারক। এই স্মারক ভাস্কর্যের নাম কিন্তু শাপলা নয়। এর নাম "একটি ফুলের জন্য"। এর উচ্চতা ১৮ ফুট। বৃত্তাকার বেদিটি ১৩০ ফুট। মোট ৩০০ বর্গ ফুট। নকশা ও পরিকল্পনা : ভাস্কর অনিক রেজা।



৭) রক্তগৌরব : ১৯৭১-এর ১৪ মে শুক্রবার। মধ্যরাতে রংপুর শহরের ক্যান্টনমেন্ট এলাকা সংলগ্ন নিসবেতগঞ্জের আশপাশ ছিল প্রায় জনমানবশূন্য। দু’একটি বাড়িতে যারা অবস্থান করছিলেন তারাও প্রাণভয়ে কোনো রকম শব্দ করার সাহস পায়নি। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে বহনকারী কনভয়ের গোঁ গোঁ শব্দে সচেতন হয়েছিল তাদের অনেকেই। মধ্যরাতের কিছুক্ষণ পর শুরু হলো একটানা গুলিবর্ষণ। প্রায় আধঘণ্টা পর পর থেকে থেকে আবার বিকট শব্দ। রাতেই এক সময় থেমে গেলো গুলির শব্দ। চলে গেল হায়েনাদের কনভয়।

পরদিন ভোর বেলা সাহস সঞ্চয় করে এগিয়ে এলো আশপাশের গ্রাম থেকে কিছু মানুষ। তারা এসে দেখেছে অত্যন্ত ভয়াবহ চিত্র। একগাদা লাশ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে ছিল ঘাঘট নদীর পাড়ে। সেদিন শহীদদের সবার পরনে ছিল খাকি পোশাক। হাত পেছনের দিকে বাঁধা। হতভাগ্যরা সংখ্যায় প্রায় পঞ্চাশ থেকে ষাট জন। সকালে আটটার দিকে হঠাৎ করে ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেপরোয়া ভাবে ছুটে এলো চার-পাঁচটি আর্মি ট্রাক। উদ্ধত সঙ্গিন হাতে হানাদার বাহিনীর সদস্যরা ট্রাকে দাঁড়িয়ে ছিল। আশপাশের মানুষ প্রাণভয়ে পালিয়ে যায়। যে দু’চারজন আশপাশে দাঁড়িয়ে ছিল ঘাতক সেনারা তাদের ধমক দেয়। ভয়ার্ত মানুষের উদ্দেশে সেনারা বলেছিল ‘লাশগুলো যেন সেখানেই পড়ে থাকে। বাঙালিরা মুসলমান নয়। তাদের লাশের দাফন-কাফনের দরকার নেই'। বলেই ঘাতক সেনা দল চলে গেলো ক্যান্টনমেন্টের দিকে। ভীত সন্ত্রস্ত মানুষ জন আস্তে আস্তে সরে যেতে শুরু করলেন। বেলা গড়িয়ে এক সময় দূরের মসজিদের থেকে ভেসে আসলো জুম্মার নামাজের আযান। এই লাশগুলো শেষ পর্যন্ত পড়েই ছিল ঘাঘটের পাড়ে। আজো এদের পরিচয় জানতে পারেনি এলাকার লোকজন। তবে স্থানীয় লোক জনের ধারণা এরা সবাই ছিল বন্দি ইপিআর বাহিনীর সদস্য। শহীদ স্মরণে এখানে নির্মাণ করা হয়েছে স্মৃতিস্তম্ভ "রক্তগৌরব"।



৮) মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মৃতি ফলক : রংপুর শহরের সুরভী উদ্যানের ভিতরে, পুলিশ লাইন পুকুরের ঘেঁষে প্রধান সড়কের পাশে একটি স্মৃতি স্তম্ভ আজ প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে অসম্মানে-অবহেলায় দাঁড়িয়ে আছে। নির্মাণ কাজ সমাপ্ত, শুধু আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষায় সবাই। কিন্তু এ কি, “মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মৃতি ফলক’’ এ রংপুরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকায় শহীদ মুখতার ইলাহী (মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে রংপুর কারমাইকেল কলেজের ভিপি), বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক কর্মী রনী রহমান এর নাম নেই কেন?

রংপুরের সব মুক্তিযোদ্ধার সম্মতি থাকা স্বত্বেও এই দুই বীর শহীদের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়নি আজও। হায় আমলাতান্ত্রিক জটিলতা!! জানিনা এই দুই বীরের নাম শহীদদের তালিকায় উঠতে আরও কত বছর লাগবে? কবে উদ্বোধন করা হবে মুক্তিযুদ্ধে রংপুর অঞ্চলের শহীদদের নামের তালিকা সম্বলিত “মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মৃতি ফলক’’!



৯) নব্দীগঞ্জ বধ্যভূমিতে নির্মিত স্মৃতিফলক : ১৩ এপ্রিল ১৯৭১ মঙ্গলবার রংপুর শহর থেকে ৭ কিমি দূরে রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কের পাশে নব্দীগঞ্জে পাক হানাদার বাহিনী ঘটায় এক বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড। এখানে ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের ১১ জন বাঙ্গালী সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। রংপুরের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে যা নব্দীগঞ্জ গণ হত্যা হিসেবে পরিচিত। নব্দীগঞ্জ বধ্যভূমিতে নির্মিত স্মৃতিফলক।



১০) বালাইখাল বধ্যভূমি : এখানেই শহীদ হন সৈয়দপুর থেকে জাতীয় সংসদে নির্বাচিত সেখানকার বিশিষ্ট চিকিৎসক এবং আওয়ামী লীগ নেতা সর্বজনপ্রিয় ডা. জিকরুল হক এমপি সহ ৮৪ জন"

"উই উইল মেক দিস কান্ট্রি এ ল্যান্ড অব প্রস্টিটিউটস, এ ল্যান্ড অব স্লেভস, এ ল্যান্ড অব বেগারস্"। এটাই ছিল তখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কর্মকর্তাদের ঘোষণা এবং একমাত্র প্রতিজ্ঞা । এর মধ্যেই আসে ১২ এপ্রিল ১৯৭১। সেদিন ছিল সোমবার। সময় তখন মধ্যরাত। ক্যান্টনমেন্টের দক্ষিণ-পশ্চিমে ‘বালার খাইল’ প্রায় আট কিলোমিটার দুরে। সেখানে মধ্য রাতে এসে দাঁড়াল হানাদার বাহিনীর ৩টি ট্রাক। ট্রাক ভর্তি মানুষ। সবারই চোখ আর হাত বাঁধা। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষ সব হতভাগ্য মানুষের পরিচয় এক। তাদের একমাত্র পরিচয় তারা বাঙালি। নীলফামারীর সৈয়দপুর থেকে সেখানকার বেশ কিছু জনপ্রিয় মানুষকে ধরে ট্রাক তিনটিতে করে এনেছে ঘাতকরা। আশপাশের আতঙ্কিত মানুষের ঘুম ভেঙে গেল সশস্ত্র হানাদার বাহিনীর বুটের শব্দ আর অশ্লীল গালিগালাজের শব্দে। বেড়ার ফাঁক দিয়ে ঘটনা অবলোকন করবে সে সাহস ছিল না তাদের। মৃত্যুভয়ে সকলের দেহ যেন প্রাণহীন। পাকিস্তানিরা তাদের যে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র কার্যকর করার জন্য অসহায় বন্দি ৩ ট্রাক মানুষকে লাইনে দাঁড় করে গুলি করে হত্যা করল। বালার খাইল বধ্যভূমি এলাকায় নৃশংস এ গণহত্যা থেকে প্রাণে বেঁচে যান ২ সহোদর ভাই। একজন কমলা প্রসাদ অন্যজন নারায়ণ প্রসাদ। কমলা প্রসাদ কিছুদিন আগে সৈয়দপুরে মারা গিয়েছেন।



১১) রংপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার : সত্তরের দশকের শেষ দিকে এই শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধে রংপুর অঞ্চলের প্রথম শহীদ কিশোর শংকু সমজদারের মাতা দীপালী সমজদার। নকশা ও পরিকল্পনা : প্রয়াত স্থপতি তাজু চৌধুরী ।



১২) "মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য" : জামাত-শিবিরের বাঁধার মুখে শুরুর দীর্ঘ ১৯ বছর পরে কারমাইকেল কলেজে নির্মান কাজ শেষে ২০১০ সালের বিজয় দিবসে আনুষ্ঠানিক ভাবে হয়েছে উদ্বোধন করা হয় "মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য"। ভাস্কর : শামিরা শ্যামলী।



১৩) একটি কুখ্যাত বাসা : মুক্তিযুদ্ধে রংপুর অঞ্চলের প্রথম শহীদ ক্লাস সেভেনের ছাত্র কিশোর শংকু সমজদারকে এই বাসা থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ৩ মার্চ মিছিলের মধ্য থেকে শংকু অবাঙ্গালী ব্যবসায়ী সরফরাজ খানের বাসার দেয়ালে উর্দুতে লেখা সাইনবোর্ড নামিয়ে আনতে গেলে এই বাসার ছাদ থেকে গুলি করা হয়। এসম্পরকে বিস্তারিত এই লিংকে : "মুক্তিযুদ্ধে রংপুর অঞ্চল তথা বাংলাদেশের প্রথম শহীদ কিশোর শংকু সমজদার : ৩রা মার্চ ১৯৭১"
http://www.amarblog.com/riddha/posts/138520



রংপুরের বধ্যভূমিগুলো নিয়ে বিস্তারিত জানা যাবে এই লিংকগুলিতে :

"রংপুরের বধ্যভূমিগুলোতে আজও যেন শোনা যায় অজস্র শহীদী আত্মার করুণ আহাজারি"
http://www.amarblog.com/riddha/posts/143295
"রংপুরের যত বধ্যভূমি : 'বাঙালিরা মুসলমান নয় দাফন-কাফনের দরকার নেই' ... অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেন মন্টু ডাক্তার"
http://www.amarblog.com/riddha/posts/143370
"রংপুর টাউন হল হত্যাযজ্ঞ : একাত্তরে পাক বাহিনীর পৈশাচিকতা ও নৃশংসতার ছবি"
http://www.amarblog.com/riddha/posts/141171

(বিঃদ্রঃ - ছবিগুলির বেশীর ভাগই ফেসবুক ফ্যান পেইজ রংপুর সিটি কর্পোরেশন-Rangpur City Corporation থেকে নেয়া।)

কৃতজ্ঞতা : মহান মুক্তিযুদ্ধে বিএলএফ (মুজিব বাহিনী) এর বৃহত্তর রংপুর জেলার অধিনায়ক সদ্য প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মুকুল মুস্তাফিজ। বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ্‌ এমদাদুল হক।

তথ্যসূত্র :
মুক্তিযুদ্ধে রংপুর : মুকুল মুস্তাফিজ
রাজনীতি, আমার জীবন : কাজী মোহাম্মদ এহিয়া
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৩:০৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×