somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"নারীর সুহৃদ ইসলাম"

০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ১০:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বয়স তখন ১১ থেকে ১২ এর
মাঝামাঝি ।কোনো এক সকালে আব্বু
পড়িয়ে দিলেন বোরকা ।
একটু লজ্জা ,একটু ভয় ,একটু বিব্রত
ভাব আর অনেক ভালোলাগা ।বড়
হয়ে গেছি এমন
একটা অনুভব ।সেই থেকে আজ পর্যন্ত
প্রায় একযুগ ধরে বোরকা আমার
সংগী ।পর্দা
আমার গৌরব ও অহংকার ।আর এ
গৌরব
আমাকে আমার স্রষ্টা দান করেছেন

প্রগতিশীলদের ভাষায়
অতিরক্ষণশীল
কিংবা গোড়া ধার্মিক
আগাগোড়া আলেম পরিবারে
আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা ।
আমাদের ছেলেরা এমনিতেই
বুঝে যায় ১২বছর
হয়ে গেছে ,চাচী -
মামী কিংবা "তো"
বোনদের সামনে যাওয়া যাবেনা ।
তেমনি করে মেয়েরাও কিতাব
ছাড়াই "১৪ জনকে"
চিনে ফেলে ।
এ আল্লাহর এক
বড়ো নেয়ামত ,বড়ো অনুগ্রহ ।
আমাদের জাঁদরেল
মুহাদ্দিস ,মুহতামিম
কিংবা পীরসাহেবগণ তাঁদের পদ
পদবী
ঘরের বাইরে রেখে ঘরে আসেন -
একজন দায়িত্বশীল
স্বামী .স্নেহপরায়ণ পিতা
,কর্তব্যপালনকারী ভাই
কিংবা অনুগত সন্তান হয়ে ।ঘরের
কাজকে তারা নিজের কাজ
মনে করেন ।
এ ছবি শুধু আমার পরিবারের
নয় ,সারা দেশে লাখো আলেম
পরিবারের এই একই ছবি ।
হয়ত প্রাচুর্য নেই তবে প্রাণ
আছে ।
দেশের শীর্ষ ইসলামী প্রকাশনীর
মধ্যে একটির
কোটিপতি মালিককে নিয়মিত ঘর
ঝাড়ু দিতে দেখে ,একজন বিখ্যাত
পীরকে ঘরের
মশারী খাটাতে দেখে অবাক হইনি
,কারণ এটাই তো আলেমের শান ।
মেয়েদেরকে তারা যত কম
ঝামেলা আর যত বেশি
স্বস্তি দিতে পারে তার কোশেশ
করে ।আমার
বাবা মোছা থেকে মাছকাটা,কাপড়
ধোয়া
সহ ছোট বড় সব
কাজে হাসিমুখে মাকে সাহায্য
করেন ।আমার বাচ্চাদের বাবাও ।
এমনই সব সুখের
প্রতিচ্ছবি এদেশের
আলেমদের ঘরে ঘরে ।
তারপরো এদেশের আলেম সমাজ
নারি নির্যানকারী ,নারীর
ক্ষমতা বিরোধী ,আলেমগণ
নারীকে ঘরের বাইরে বের
হতে দেন না
বোরকায় আবদ্ধ
করে রাখেন ,গোড়া .ধর্মান্ধ ,মৌলব
আমি বুঝিনা "তারা"
আসলে কি বলতে চান ?
আলেম সমাজ যৌতুক নেন না ,দেন
না এটা তাদের অপরাধ ?
তারা নযর হেফাজত
করেন ,বেগানা নারীদের
সাথে ঢলাঢলি করেন না ,স্ত্রী ই
তার
একমাত্র প্রেয়সী ।
সেটা কি নারী নির্যাতন ?
স্ত্রীকে মাকে বোনকে এই অসুস্হ
সমাজে বাইরে না নামতে দিয়ে ,হা
পুরুষের সাথে রোজগারের যুদ্ধে
করে রোজগার
করতে না পাঠিয়ে ,নিজের মাথার
ঘাম পায়ে ফেলে রক্ত পানি করে
হালাল রিযিক তুলে দেন
পরিবারের
মুখে
এটা নিশ্চয়ই অনেক বড় অপরাধ !
যে সকল নারী বাধ্য হয়ে রোজগার
করতে বাইরে বের হন তাদের জন্য
আলাদা
কর্মক্ষেত্র চাওয়াটা নারীর
ক্ষমতায়নের বিরূদ্ধে যুদ্ধ !
এই যে প্রতিবছর
সারা বিশ্বে খেলার আসর
গুলো অনুষ্ঠিত হয় -অলিম্পিক
,ক্রিকেট ,ফুটবল টেনিস
এতে মেয়েদের
ইভেন্টগুলি আলাদা হয় কেন ?কেন
সমান
যোগ্যতার ভিত্তিতে নারী পুরুষ
একটিমে নেয়া হয়না ?
কারণ নারীর মানসিক ও শারিরীক
গঠনে পুরুষের সাথে অনেক ফারাক ।
সেই কমজোর ও নাযুক বদনের
নারীকে পুরুষের সাথে খেলার
টিমে নেয়া হয়না অথচ
সমান পরিশ্রম করে রোজগার
করতে বাধ্য
করা জুলুম ,এটা আলেমরা বললেই
নারী
বিদ্বেষী হয়ে যায ।
পুরুষের কুনযর থেকে বাঁচার জন্য
মুসলিম নারী হিযাব ও
নিকাবে শরীর ও মুখ
ঢাকলে উদ্ভট ও কিম্ভুত কিমাকার
বলে উপহাস করা হয় ,তুষার পাত
থেকে রক্ষা
পাওয়ার জন্য ওভার কোট ও
মাঙ্কি ক্যাপ
পরলে তো তা নিয়ে কোনো আলোচনা হ
!অথচ হিযাব নেকাব
থেকে ওভারকোট ক্যাপে উদ্ভট
দেখা যায় !
তেমনি করে বাইক চালকের
হেলমেটে সমস্যা নেই ,ধুলাবালি থ
জন্য
মাস্কে সমস্যা নেই ,নেকাবে মুখ
ঢাকলে এলার্জি আছে ।নেকাবে চোখ
ঢাকলে
অস্বস্তি আর রোদচশমায়
ঢাকলে ফ্যাশান !
ডাক্তারের গ্লাভসকে কেউ
ঠাট্টা করেনা তবে হাত মোজায়
ভুত !
বুঝতে পারিনা ,জাগতিক এই
দেহটাকে রোদ ,শীত ,ধুলো ,জীবাণু
থেকে বাঁচাবার
জন্য এইসব প্রশংনীয়
হলে পরজগতে এই দেহটাকে আগুনের
হাত থেকে বাঁচাতে
পর্দার প্রতি তাদের এত
আপত্তি কেন ?তাছাড়া এ জগতেও
তো এতে নারী মান
সম্মান ইজ্জত আব্রু ও ঈমান
হেফাজতে থাকে !
হিযাব তথা পর্দা যখন এই অসুস্হ
সমাজকে অনেকাংশে রক্ষা করতে পা
ধর্ষণ ওব্যাভিচারের মত কুত্সিত ও
জঘন্য সব অপরাধ
থেকে মুক্তি দিতে পারে
,তবু যখন প্রগতিশীলগণ
হিযাবে আঁতকে ওঠেন তখন ভাবতেই
পারি সমাজে এই
অসুস্হ্তা ও অস্হিরতার জন্য তারাই
দায়ী ।
আসলে নারীবাদ ও নারীর
ক্ষমতায়নের নামে কিছু মুখস্ত
বুলি -ধর্মান্ধতা
,মৌলবাদ ,ধর্মীয় গোড়ামী -
ঝেড়ে তাদের উদ্দেশ্য
নারীকে পণ্য
তথা ভোগ্যপণ্য
করে তোলা ।
বর্তমান প্রচার মাধ্যমগুলোতে চোখ
রাখলেই এর প্রমাণ মিলে অহরহ ।
সমস্ত পণ্যের বিজ্ঞাপণের মূল
উপজীব্য বিষয় অর্ধোলঙ্গ
নারীদেহ !
রাস্তাঘাটে স্কুল কলেজে মেয়েদের
রুচিহীন উদ্ভট পোশাক
দেখলে তাদের মানসিক
সুস্হতা নিয়ে সন্দেহ জাগে ।
এমন করে দিনরাত
নারী স্বাধীনতা ও ক্ষমতায়নের
নামে নারীকে নানাভাবে ভোগ ও
উপভোগ করে চলেছেন ,
নারীর প্রকৃত মুক্তিদাতা ইসলাম
ধর্ম তাদের কাছে বিষের মত
মনে হবেই
।নারীকে যারা সম্মান
করেন ,তাদের প্রকৃত অধিকার ও
পাওনা বুঝিয়ে দেন সেই
আলেম সমাজ তাদের মহাশত্রু হবেন
এটা তো স্বাভাবিক ।
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×