প্রথমেই আমার অবস্থানটা আগে ব্যাখ্যা করি। আমি ২০১১ সালে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) থেকে ইলেক্ট্রিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং এ বি.এস.সি করি।এবছরের মাঝামাঝিতে বিয়ে করি। আমার স্ত্রী একজন বাংলাদেশী আমেরিকান।সে আমেরিকার নাগরিক।আমার স্ত্রী'র ফ্যমিলি ফ্লোরিডা প্রবাসী।সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের দিকে আমি ইমিগ্রান্ট হিসেবে আমেরিকায় যেতে পারব বলে আশা করি।আমি সেখানে উচ্চশিক্ষা নিতে আগ্রহী।ইতিমধ্যে আমি জি.আর.ই. প্রিপারেশন নেয়া শুরু করেছি।এখন আমেরিকায় উচ্চশিক্ষারত বা এই বিষয়ে যারা বিশেষজ্ঞ তাদের কাছে আমি নিম্নোক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চাই:
১।আমেরিকার ইউনিভার্র্সিটি গুলোতে পোস্ট গ্রাজুয়েট কোর্সে এডমিশন নেওয়ার প্রসেসগুলো কী কী?আমার ক্লাসমেট যারা আমেরিকায় পড়াশুনা করতে ইচ্ছুক তাদেরকে দেখছি আমেরিকান ভার্র্সিটিগুলোর প্রফেসরদের ই-মেইলে তাদের জি.আর.ই/টোফেল ইত্যাদির স্কোর পাঠিয়ে প্রফেসরদেরকে কনভিন্সড করার চেষ্টা করছে যেন প্রফেসররা তাদেরকে স্কলারশিপ সহ ভর্তি হওয়ার সুযোগ দেন।এই ক্ষেত্রে প্রফেসরদের মেজাজ-মর্জির উপর অনেক কিছুই নির্ভর করে। ভর্তি হওয়ার এই পদ্ধতি ছাড়া আর কোন পদ্ধতি কি নেই?
২।প্রফেসরদের রিকমেন্ডেশন স্টুডেন্ট ভিসা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অপরিহার্য উপাদান হিসেবে কাজ করে।কিন্তু আমার ক্ষেত্রে যেটা হবে তা হলো আমি স্পাউস ভিসা পাব এবং ইমিগ্রান্ট হিসেবেই আমেরিকায় যাব।সেক্ষেত্রে ভিসা পাওয়ার জন্য আমাকে কোন প্রফেসরের শরাণাপন্ন হওয়া লাগছেনা।আর টিউশন ফি বা অন্যান্য খরচাদির (থাকা-খাওয়া ইত্যাদি) ব্যবস্হা আমি নিজেই করতে পারব বলে আশা করি।অর্থাৎ স্কলারশিপের খুব বেশি প্রয়োজন আমার নেই বলে মনে করি।তারপরেও কি আমার প্রফেসরদের সাথে যোগাযোগ করার কোনো প্রয়োজন আছে? আমেরিকায় গিয়ে সরাসরি কোন ভার্সিটিতে (বিশেষত: ফ্লোরিডায়) আমার জি.আর.ই,টোফেল, একাডেমিক স্কোর ইত্যাদি সাবমিট করে কোনো টেস্টে অ্যাটেন্ড করে ভর্তি হওয়ার কোন সুযোগ আছে কিনা?
৩। আমার 'ইমিগ্রান্ট হিসেবে আমেরিকাতে যাওয়া' এডমিশনের ক্ষেত্রে কোন বিশেষ সুবিধা হিসেবে কাজ করবে কিনা?
৪।যদি কোন কারণে উচ্চশিক্ষা নিতে ব্যর্থ হই, তবে ইন্জিনিয়ার হিসেবে ক্যারিয়ার বিল্ড আপ করতে হলে অর্থাৎ আমার বাংলাদেশী বি.এস.সি ডিগ্রী আমেরিকায় ভ্যালিড করতে হলে কোন টেস্টে অ্যাটেন্ড করতে হবে কিনা? যদি হয় তবে সেটা কি রকম?
উপরোক্ত বিষয়ে যে কোন প্রকার তথ্য দিয়ে সাহায্য করলে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ থাকব।