নেংটা থাকি নেংটা চলি
পথের ধারের গাঁঞ্জা মাসি
গালি দিল খানকি মাগি
ভাতার খাকি, সর্বনাশী
তার নাকি এক রাজার পোলা
ফেঞ্চি বেচে ইষ্টিশনে
তার সাথে মোর বিয়া দিবো
ভাবনা করে মনে মনে।
ছোট্র বেলা পুকুর পাড়ে
খেলছি কত রান্না খেলা
ঝোপের ধারে ঘর বানিয়ে
পেন জামা সব খুলে ফেলা
কাঁটা লাগতো করাত লাগতো
ছিঁড়ে যেত গা
সন্ধ্যা বেলা ফিরলে বাড়ি
লাঠি নিতেন মা
ছোট আর কই বয়স তখন
দশ বার কি হবে তের
ধরা পড়লে মারতো বাবা
বলতো শুধু ‘ঘরতে বের’
কেন আমায় খুঁজতে যেত
বাবার সেকি মূর্তি তখন
মায়ের সঙ্গে করত কি সে
ছোট্ররা সব ঘুমাই যখন ?
কাকাতো ভাই কাকার মতই
গাছ কাটবে মাছ ধরবে
আমরা দুজন ঘুড়ি হবো
জ্বীন পরিরা গান করবে।
তার কথা আর বলে কি লাভ
সে তো গেছে বানের জলে
একদিন তো বাইরে গেলাম
মা কে একটু আসছি বলে
তার পর আর ফিরতে নাড়ি
বাড়ির রাস্তা গেলাম ভুলে
কোথা থেকে কোথায় গেলাম
বিষ উঠলো মাথার চুলে
তোমার পোলা তোমারই থাক
আমার কি আর পোলায় হবে
আমার একটা মেয়ে হলে
ঝুল বারান্দা কিনবো তবে
কিনবো আরও গাড়ি ঘোড়া
পায়ের তালা নাকের চাবি
তের বছর বয়স হলে
বলছে তারা ‘সবই পাবি’
যাবো আমি তাদের সাথে
পেটের মধ্যে কন্যা নিতে
জামা কাপড় পরেই যাবো
মাথায় বেধে রঙিন ফিতে
তাদের বাচ্ছা তারা নিবে
আমার এতো চিন্তা কিসের
পোলা হলে তরল দেবো
মুখের ভেতর সাপের বিষের
এটাই হলো স্বপ্ন এখন
‘চুপ থাক তুই বেশ্যাবুড়ি
তোর পোলারে তুই বিয়া কর
আমি একটু নেংটো ঘুরি’
তবেই তারা আসবে দেখিস
স্বর্গ থেকে গাড়ি চরে
একদিন তো নেবেই আমায়
জোর জবরদস্তি করে।
(অপ্রকাশিত)