somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জোড়া ঝর্ণা

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১০:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ঝর্ণা! ঝর্ণা! সুন্দরী ঝর্ণা! তরলিত চন্দ্রিকা! চন্দন-বর্ণা!-- জোড়া ঝর্ণা, যার স্থানীয় নাম ক্লাবং, ইহা ঠিক এমনি সুন্দরী ঝর্ণা ।

কেওকারাডাং এর চুড়া পেরিয়ে সামনে পরবে পাসিং পাড়া, পাসিং পাড়া থেকে আকাবাঁকা বিপদ জনক খাড়া পাহাড় বেয়ে প্রায় দুই ঘন্টার পথ হাটলে পাহাড়ীদের গ্রাম সুংসাং পাড়া । সুংসাং পাড়া থেকে জোড়া ঝর্ণা আরো ঘন্টা খানেকের দূর্গম পথ । এই দূর্গম পথকে আরো দূর্গম করে তুলেছে বৃষ্টি আর পাহাড়ি জোঁক ।

সুংসাং পাড়ার লোকারণ্যহীন গহীন সবুজ পাহাড়ের কোল বেয়ে চোখ ধাঁধাঁনো সৌন্দর্য্য নিয়ে পাশাপাশি নেমে এসেছে দু'টি ঝর্ণা । বর্ষাকাল বলে ওরা এখন পুরো যৌনবতী ।

পাহাড়, সবুজ আর ঝর্ণার অপূর্ব মিলন মেলা, এক কথায় নৈসর্গ । এখানে এসে পথ কষ্ট, জোঁকের কামড় আর শারীরিক অবসাদ মূহুর্তেই ভুলে গিয়ে আপনি হারিয়ে যাবেন অন্য এক ভুবনে । তবে হ্যাঁ বর্ষাকালের এই রূপ কিন্তু অন্য সময় পাবেন না ।


এটা পাসিং পাড়া, এখানেই আমরা একটা রাত্রী অবস্থান করেছিলাম ।


সকালে ঘুম থেকে উঠেই পাসিং পাড়া পাস হয়ে আমরা ছুটলাম জোড়া ঝর্ণার উদ্দেশ্যে ।


ওনারা ও সকালে উঠে লেফ-রাইটে ব্যস্ত হয়ে পড়ল, ওনাদের নিয়ে আর পাসিং পাড়া নিয়ে একটা মজার গল্প আছে সেটা অন্য কোনদিন বলব ।


পাসিং পাড়া থেকে বের হলেই সামনে পড়বে এমন অবারিত সবুজ আর সবুজ ।


এক সময় এমন ঝোপ জঙ্গলের ভেতর দিয়ে যেতে হবে, যার কারণে আপনি জোঁকের কামড় থেকে বাঁচার কোন সুযোগই পাবেন না, দুই পাশের ধারালো পাতাগুলো আপনার শরীরে জ্বালা ধরিয়ে দেবে এমনকি রক্তাক্ত হতে পারেন ।


আর ঝিরি পথের এমন শ্যওলা জমা পিচ্ছিল পাথরগুলোতে সাবধানে যদি পা না ফেলেন তাহলে ঠ্যাং ভাঙ্গার সমূহ সম্ভাবনা ও রয়েছেই ।


একপাশে খাড়া ঢাল বিশিষ্ট বিপদ জনক সুড়ঙ্গ পথ বিশেষ ।


সামনে যারা ছিল তারা সুড়ঙ্গ পথে হারিয়ে গেছে, এবার আমাকে ও হারাতে হবে ।


সামন আবারো ঝোপ-ঝাড়ের সুরঙ্গ ধরে খাড়াভাবে নেমে যাওয়া শেষ পথটুকু, এটুকু পার হতে পারলেই আমাদের কাঙ্খিত লক্ষে পৌছে যাব । এখান থেকেই ঝর্ণার মধুর শব্দ আপনাকে শিহরিত করবে ।


ঐ তো আমাদের কাংখিত লক্ষ্য.......


আপাত দৃষ্টিতে ঝর্ণাটার উচ্চতা কম মনে হয়, কিন্তু বাস্তবে তা না, ঝর্ণার একেবারে কোল ঘেষে দাড়ানো আমাদের তিনজন সঙ্গীকে দেখলেই তা বুঝতে পারবেন ।


সৌম্য ভাই আর আমি ।


আমাদের গাইড আর টিমের আরো কয়েকজন ।

এই ট্যুরটায় গিয়েছিলাম ভ্রমণ বাংলাদেশের সৌজন্যে ..........
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১০:৫৪
১৮টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জলদস্যুরা কি ফেরেশতা যে ফিরে এসে তাদের এত গুণগান গাওয়া হচ্ছে?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭


জলদস্যুরা নামাজি, তাই তারা মুক্তিপণের টাকা ফেরত দিয়েছে? শিরোনাম দেখে এমনটা মনে হতেই পারে। কিন্তু আসল খবর যে সেটা না, তা ভেতরেই লেখা আছে; যার লিংক নিচে দেওয়া হলো।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ঋণ মুক্তির দোয়া

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৯



একদিন রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববিতে প্রবেশ করে আনসারি একজন লোককে দেখতে পেলেন, যার নাম আবু উমামা। রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘আবু উমামা! ব্যাপার... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×