রাত ০২.৩০.
ফস করে সিগারেট ধরাতেই অন্ধকার রুমে হালকা আলো,
শুনতে পাই না ক্রন্দনরত নবজাতকের কান্না,
শুনিনা সদ্য পরিচিত জোর করে বিয়ের সঙ্গমরত বেদনা,
আমার বাড়ীর দেয়ালে বাড়ি খেয়ে দুরে চলে যায়.
বাচ্চাটার মা মারা গেছে-
বাচ্চার বড় শখ ছিল.
কিছু দিন পর বাবু বড় হবে,
বাপের নতুন বিয়েতে নেচেকুদে সত্ ভাইয়ের সাথে থালা ভাগ করে মানুষ হবে.
মৃত মেয়েটির কথা সবাই ভুলে যায়.
প্রেমিক ছেলেটা মদের বোতলে,গাঁজার আসরে- ডুব মেরে , চুপ হয়ে যায়.
প্রেম বড় সস্তা.
সবাই জানে,কেউ মানে না
মেয়ের ভাল জায়গায় বিয়ে হয়েছে-
১৭ বছরের বাপ মা মরা মেয়ে-
ছেলের ভাল ব্যাবসা.
যৌতুক নেয় নি.
বয়স ৫৭,ভাল লোক,
হাসিমুখে কিনে ফেলে কৈশোরের অবুঝ প্রেম.
ফালতু ট্রাজেডি.
আজ তারাদের ঝাঁক দলও বেধে ডুবে যায়.
তোমাদের চোখ রাঙ্গানি আমার ভাল লাগে না.
কাশিতে বুক ব্যাথা করে,
সিগারেটে আরাকটা টান দেই.
বেয়াদপ কমলা আগুন আমার আঁধার ঘরের সঙ্গী.
ভাল লাগে যে সব আওয়াজ ঘরে ঢোকে না.
কারণ এমন অনেক কিছুই হয়,
যা হওয়া উচিত নয়