রাত ১১ টায় কমলাপুর স্টেশনে দেখা হলো আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এ নির্মলেন্দু গুণের সঙ্গে। হাবীবুল্লাহ সিরাজী, মুহম্মদ নূরুল হুদাসহ আমরা একদল মানুষ ট্রেনে উঠলাম। ট্রেনে ঘুম হলো না। চট্টগ্রাম পৌঁছেই আমলাতন্ত্রের শিকলে পরাধীন হলাম। সারাদিন চাটগাঁই সিডিউলের বাইরে যাবার সুযোগ পাইনি। বিকালে 'বাতিঘর'এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনেক মানুষের ভিড় ঠেলেও একবার দেখা হলো সায়ীদ স্যার ও গুণ দার সঙ্গে। রাতে,বাংলোতে ঘুমোতে গেছি রাত ৪ টায়। সকাল ৬ টায় ডেকে ওঠানো হলো। তারপর কক্সবাজার, সব সিডিউল মোতাবেক। নির্ধারিত অনুষ্ঠান। ওদিকে, রামু, উখিয়াতে যা হচ্ছে, তা অনভিপ্রেত, অনাকাঙ্ক্ষিত এবং বেদনার। আবার রাত, ঢাকার পথে নির্ঘুম ফেরা। আজ সকালে ফিরেই, সারাদিন ঘুম। ক্লান্তি তুই দূর হ।
কিন্তু কিছু মানুষ, যাদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক দেখা হবার কথা ছিল, আড্ডার কথা ছিল, তা তো হয়নি। যারা ফোন করেছেন বারবার, ফোনেও কথা বলতে পারিনি ঠিকমতো। এতে, খারাপ লাগা আছে আমার। তবে, দেখা নিশ্চয়ই হবে, কথা হবে, দুর্দান্ত আড্ডাও হবে, এই আশা জারি থাকছে নিজের ভেতর।
গেলে,অনানুষ্ঠানিক যাওয়াই সুখকর, মানছি...