গ্রাজুয়েট, মাস্টার্স, ফাজিল, কামিল, দাওরাসহ বড় বড় ডিগ্রি লাভ করলেই সমঝদার হওয়া যায় না, জ্ঞানী হওয়া যায় না, ছহীহ সমঝ তথা সঠিক জ্ঞানের অধিকারী হওয়া যায় না। বরং ছহীহ সমঝ সঠিক বুদ্ধিমত্তা দানকারী হচ্ছেন খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনিও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। উনারা যাদেরকে ছহীহ সমঝ, ছহীহ বুঝ দান করবেন উনারাই জ্ঞানী, উনারাই বুদ্ধিমান।
অতএব, যে সমস্ত নামধারী মাওলানা, মুফতী, শাইখুল হাদীছ, শাইখুত্ তাফসীর, ছূফী, পীর, দরবেশ, আমির-উমরাহ, রাজা-বাদশাহ, জ্ঞানী-মহাজ্ঞানীরা বলে থাকে- সিসি ক্যামেরা নিরাপত্তা দেয় তারা মূলতঃ গ- মূর্খ, নাদান, অথর্ব এবং ইবলিছ ও গিরিশ চন্দ্র মার্কা জ্ঞানী, মহাজ্ঞানী তথা পথভ্রষ্ট, গুমরাহ। কারণ সিসি ক্যামেরা ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম ও নাজায়িয। যেহেতু এটা ছবি তুলে, বেপর্দা করে। আর ছবি তোলা ও বেপর্দা সম্পর্কে কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া আজ পর্যন্ত এমন কোনো ব্যক্তি বলতে পারবে না, দলীল- প্রমাণ দিতে পারবে না যে, সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে কোনো চোর, ডাকাত, সন্ত্রাসীদেরকে সনাক্ত করতে পেরেছে। বরং কোথাও যদি বোমা ফুটছে, দেখা গেছে সিসি ক্যামেরাও ধ্বংস হয়ে গেছে। অতএব, যে সিসি ক্যামেরা নিজেই নিজের নিরাপত্তা দিতে পারে না, সে আবার কিভাবে জান মালের নিরাপত্তা দিবে?
তাহলে যে বা যারা বলে সিসি ক্যামেরা নিরাপত্তা দেয়, তারা মূলতঃ আহমক, নাদান, গণ্ডমূর্খ বৈ কী হতে পারে?