তুইও যে আমার কবিতার খাতায় হানা দিবি
এমন ভাবনা আমার অবচেতন মনেও কখনও আসেনি।
অথচ সেই আমি এখন সচেতন মনে
তোকে নিয়ে কবিতা লিখতে বসেছি।
তোর যে এমন কাব্যপ্রীতি ছিল আমি জানতাম না!
পাঠ্য বইয়ের বাইরে কখনও কবিতা পড়িসনি জানি,
অথচ এখন সাড়ম্বরে হানা দিচ্ছিস আমার খাতায়
তুই তো জানিস না তোকে নিয়ে কবিতা লেখা
কতটা কষ্টের, কতটা শোকের, কতটা কাঁন্নার!
তবু এই নির্মম নিষ্ঠুর কদর্য কাজটি
তুই আমাকে দিয়ে অবলীলায় করিয়ে নিলি।
ছেলেবেলায় খেলার মাঠে অমনোযোগী হলে
তোকে কত বকেছি। দুষ্টুমীতে সীমা ছাড়ালে
রেগে গিয়ে কখনওবা দু-একটা চড়-থাপ্পড় মেরেছি
তাই বুঝি কবিতা লিখিয়ে প্রতিশোধ নিলি তুই!
ব্যথা জমে জমে পাথর হলো
অভিমানে ধূসর হলো বুকের সবুজ জমিন
অমনি অতিথি পাখির মতো উড়াল দিলি
কোন দূর দেশের অজানা পথে!
এই সমাজ-সভ্যতা, মানুষ
কারো পথেই গালিচা বিছিয়ে দেয় না!
তবু এই ঘুণে ধরা সমাজের কাঁকড় বিছানো পথেই
হাঁটতে হয়, বাঁচার মতো বাঁচতে শিখতে হয়।
আত্মদ্রোহী হয়ে আত্মহনন নয় বিদ্যুৎ,
আত্মশোধনের পথ খুঁজতে হয়।