সেই ১৯৯৪ এর আইসিসি ট্রফি থেকে শুরু। এখনো এই ধারাটি বদলায়নি। ৯৪ সালের আইসিসিতে বাংলাদেশ ছিল সবচেয়ে ফেভারিট। কিন্তু বাংলাদেশের বদলে সুযোগ পেয়েছিল হল্যান্ড, আরব আমিরাত আর কেনিয়া। একই দল পরবর্তী আইসিসিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। দলে শুধু কোচ পরিবর্তন করা হয়েছিল। অমরনাথের বদলে গরডন গ্রিনিজ বাংলাদেশ দলের হাল ধরেছিলেন।
গরডন গ্রিনিজ ৯৯ বিশ্বকাপেও বাংলাদেশের সাফল্যে অসামান্য অবদান রেখেছিলেন। বাংলাদেশে কি ফুটবল, কি ক্রিকেট অথবা হকি। কোন খেলায়ই কোচ না বদলালে ফেডারেশনের কর্তারা বোধহয় শান্তি পান না!!!
গ্রিনিজ বিদায় নেয়ার পর এবার পাকিস্তান থেকে দুই কোচ(!) আনা হল যাদের নামই আগে কেউ শুনেনি। মহসিন কামাল আর আলী জিয়া। এই দুইজন নাকি করাচি ক্রিকেট একাডেমীর কোচ ছিলেন। যাইহোক, এই দুইজন ২০০৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে ভিন্ন ধরনের সাফল্য উপহার দিলেন। সবগুলো বড় দলের পাশাপাশি কেনিয়া আর কানাডার সাথে পরাজয়।
একই খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া বাংলাদেশ দল ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারত, দঃ আফ্রিকাকে পরাজিত করে চমক সৃষ্টি করে। এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সাফল্যের রুপকার ছিলেন ডেভ হয়াটমোর। তিনি ইতোপূর্বে শ্রীলংকাকেও বিশ্বকাপ ৯৬ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন।
অনেকেই হয়তো বলবেন ক্রিকেটে কোচের চেয়ে অধিনায়কের ভুমিকাই বেশি। কোচতো আর মাঠে যেয়ে খেলে আসবেন না। কিন্তু বাংলাদেশ দলের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যখনি বাংলাদেশের জন্য উপমহাদেশিয় কোচ আনা হয়েছে, দলের পারফরম্যান্স আগের চেয়ে খারাপ হয়েছে। কোন ক্রিকেট দলের জন্য ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকার কোচ ভাল কিছু করতে পারেননি। সর্বশেষ বাংলাদেশের স্পিন শক্তি বাড়ানোর জন্য সাক্লায়েন মুশতাককে আনা হল কিন্তু যেই স্পিন বাংলাদেশ দলের মূল চালিকা শক্তি তা এবার টি-২০ বিশ্বকাপে পুরোপুরি প্রতিপক্ষের ব্যাটিঙের সামনে মুখ থুবড়ে পড়েছে।
বাংলাদেশের জন্য ভারত, পাকিস্তানের কোচ কখনওই উপকারি ছিল না। সামনেও এসব নিম্নমানের কোচ দেশের ক্রিকেটের আরও ক্ষতি বয়ে আনবে। ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা বিষয়টি যত তাড়াতাড়ি বুঝবেন ততই বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য সেটা মঙ্গলজনক হবে।