somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সুখবর ! সুখবর ! সুখবর ! বাংলােশী মোটরসাইকেল রপ্তানি করতে যাচ্ছে রানার

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মোটরসাইকেল রপ্তানি করতে যাচ্ছে দেশীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রানার অটোমোবাইলস। ২০১৩ সালের মাঝামাঝি ভারতের কয়েকটি রাজ্য ও নেপালে এই মোটরসাইকেল রপ্তানি শুরু হতে পারে।
‘ডায়াং’ এবং ‘ফ্রিডম’—এ দুটি ব্র্যান্ড নামে ২০০০ সাল থেকে মোটরসাইকেল বাজারজাত করে আসছে রানার। তবে সামনের দিনগুলোতে রানারের তৈরি মোটরসাইকেল বাজারজাত হবে ‘ডায়াং-রানার’ ব্র্যান্ড নামে। আর রপ্তানি হবে ‘রানার’ ব্র্যান্ড হিসেবে।
এ লক্ষ্যে কাজও শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার চীনের মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ডায়াং অটোমোবাইলসের সঙ্গে ১০ বছর মেয়াদি একটি কারিগরি সহযোগিতা চুক্তি সই করেছে রানার। চুক্তির আওতায় ডায়াং এখন থেকে মোটরসাইকেল উৎপাদনে প্রয়োজনীয় কারিগরি, প্রযুক্তিগত এবং গবেষণা ও উন্নয়নে সহযোগিতা করবে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে রানারের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান বলেন, ‘ভারত, নেপালসহ কয়েকটি দেশে আমরা রপ্তানির সম্ভাবনা দেখছি। সেখান থেকে ইতিবাচক সাড়াও পাচ্ছি। আশা করছি ২০১৩ সাল নাগাদ আমরা রপ্তানিতে যেতে পারব।’ তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে মোটরসাইকেল ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আমদানি হয় বছরে ৩০ কোটি ডলারের। মোটরসাইকের রপ্তানির মাধ্যমে আগামী দিনে রানারই ৩০ কোটি ডলার আয় করবে।
রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে শিল্প প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরী, ডায়াংয়ের মহাব্যবস্থাপক ও প্রধান নির্বাহী লিউ বো থাও, রানারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুজ্জামান বক্তব্য দেন।
হাফিজুর রহমান খান বলেন, দেশীয় মোটরসাইকেল শিল্পকে উৎসাহী করতে হলে প্রয়োজন এ খাতের জন্য দীর্ঘমেয়াদি নীতিমালা, যে নীতিমালা দেশে মোটরসাইকেল আমদানিকে নিরুৎসাহী করবে ও দেশীয় উৎপাদনকে সহায়তা করবে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে অনুষ্ঠানে শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি শিল্পনীতি নিয়ে দেশের শিল্পায়ন হতে পারে না। এ জন্য অঞ্চলভেদে এবং শিল্পের সমস্যা চিহ্নিত করে আলাদা আলাদা শিল্পনীতি করতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০০০ সাল থেকে যাত্রা শুরু করে রানার। প্রাথমিকভাবে প্রতিষ্ঠানটি ডায়াং থেকে আমদানি করা মোটরসাইকেল এ দেশে বাজারজাত করত। এ ছাড়া চীনের আরও দু-তিনটি প্রতিষ্ঠানের মোটরসাইকেল আমদানি করে তা ‘ফ্রিডম’ নামে বাজারজাত শুরু করে। পরে পূর্ণাঙ্গ মোটরসাইকেল আমদানির পাশাপাশি এ দেশে সংযোজন করে তা বাজারজাত শুরু করে।
তবে ২০০৭ সালে ময়মনসিংহের ভালুকায় সরঞ্জাম তৈরির কারখানা করার মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে মোটরসাইকেল উৎপাদন শুরু করে রানার। ২০১১ সালে ওই কারখানায় পানচিং, ওয়েল্ডিং, পেইন্টিং, টেস্টিং করার সরঞ্জাম স্থাপন করে এসব কাজও শুরু করে। স্বীকৃতি হিসেবে ওই বছর মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী হিসেবে সরকারি অনুমোদন পায় রানার। কারখানাটিতে এখন প্রতিদিন ২০০ মোটরসাইকেল তৈরি হচ্ছে। এই কারখানা থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে বছরে তিন লাখ মোটরসাইকেল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে প্রতিষ্ঠানটি। দেড় কোটি টাকা পুঁজি নিয়ে যাত্রা শুরু করা রানার অটোমোবাইলসের পরিশোধিত মূলধন এখন ৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
রানারের উপমহাব্যবস্থাপক মামুনুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘একটি মোটরসাইকেল তৈরিতে প্রায় ৩০০ ধরনের সরঞ্জাম লাগে। প্রাথমিকভাবে রানার বড় ধরনের ছয়টি সরঞ্জাম নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল। এখন সিট, হেডলাইট, বেকলাইট, চেইনসহ অনেক সরঞ্জামই আমরা তৈরি করছি। বলা যায়, এখন ইঞ্জিনটাই আমাদের আমদানি করতে হয়।’
ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুজ্জামান বলেন, দেশে মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন তৈরি করতে হলে সে প্রযুক্তি আমদানি করতে হবে। ডায়াংয়ের সঙ্গে চুক্তির ফলে সেসব প্রযুক্তি পাওয়ার পথ সহজ হলো।
হাফিজুর রহমান খানের দাবি, শিগগিরই নিজস্ব ডিজাইনে মোটরসাইকেল প্রস্তুতের কাজ শুরু হবে। ২০১৪ সালের মধ্যে তা বাজারজাত করা হবে।
দেশীয় চাহিদা: ২০০০ সালে রানার দেশে দুই হাজার ৯০০ মোটরসাইকেল বিক্রি করে। তবে ২০১১ সালে বিক্রির পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৮ হাজারে।
উপমহাব্যবস্থাপক মামুনুর রশিদের দাবি, দেশে যত মোটরসাইকেল বিক্রি হয়, তার ১৫ শতাংশের চাহিদা মেটায় রানার। রানার ৫০ সিসি, ৮০ সিসি, ১০০ সিসি, ১৩৫ সিসি মোটরসাইকেল বাজারজাত করে থাকে। এর মধ্যে ৫০ সিসির মোটরসাইকেলের ৯০ শতাংশ এবং ৮০ সিসির ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ বাজারই রানারের দখলে।
কপি করা হয়েছে মাত্র।
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×