ধর্ম হচ্ছে আগুনের মতো। অন্ধকারকে আলো দ্যায়, সোনাকে করে খাঁটি, বাতিলকে করে নিশ্চিহ্ন। অধর্ম বা নিধর্ম হচ্ছে গরুর গোবরের মতো। সার হিসেবে খুব কাজের, জ্বালানি হিসেবেও ভালো। কিন্তু গোবর তো গোবরই, পদ্মফুল না।
অধর্ম যখন ধর্মের গায়ে হুমড়ি খায়, স্বভাবতই ধর্ম তাকে জ্বালিয়ে দিতে চায়। অন্যদিকে, ধর্ম যখন নিধর্মের লেজে পা দ্যায়, স্বভাবতই নিধর্ম ছোবল তোলে।
ধর্ম যারা ধারণ করেন, তাদের একটি অংশ ভেতরে ভীতু, বাইরে তীব্র প্রতিক্রিয়াশীল। এরা অস্তিত্বের সংকটে ভোগে, ধর্মকে পুরোপুরি আত্মস্থ করতে পারেনি। আর অধর্ম যারা ধারণ করেন, তাদেরও একটি অংশ ভেতরে কাপুরুষ, বাইরে নগ্ন প্রতিক্রিয়াশীল। এই নিধর্মের মালিকরা নির্বোধ পতঙ্গের মতো, বারবার ধর্মের আগুনে ঝাঁপিয়ে পরে। অস্তিত্বের জানান দিতেই অধর্মের এই তৎপরতা।
ধর্ম ছাড়া অধর্মের কোন অস্তিত্ব নেই। আবার অধর্ম ছাড়া ধর্ম অবোধগম্য। ধর্ম ও অধর্মের এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক চিরকালীন। কেউ কাউকে উপেক্ষা করতে পারে না।
বলেছিলাম, কিছু ধর্ম-ধারণকারী তীব্র প্রতিক্রিয়াশীল। কেন?
কারণ কিছু অধর্ম-ধারণকারী উন্মাদ অস্থিতিশীল।
বলেছিলাম, কিছু ধর্ম-ধারণকারী দারুণ ভীতু। কেন?
কারণ কিছু অধর্ম-ধারণকারী গুপ্ত আততায়ী।
অধর্মের কাজই হচ্ছে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করা, নিজের বিক্রি বাড়ানো।
বক ধর্মধারীদের কাজ হচ্ছে নারীর চরিত্র হরণ, রাজপথে ধ্বংসলীলা খেলা।
ধার্মিকের কাজ হচ্ছে নিমগ্নে নিজ ধর্ম পালন করা; অধার্মিক কি বললো, কি করলো থোড়াই কেয়ার করা।
প্রতিক্রিয়া থাকবে, কিন্ত উগ্র প্রতিক্রিয়াশীলতা ধর্মের ধর্ম না!
মনে রাখবেন - অধর্ম দাহ্য, ধর্ম নিজেই আগুন!
_______
☛ ধর্ম নিয়ে কিছু অধার্মিক কথা- ১
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:১৭