মালয়েশিয়ার নির্বাচনে ক্ষমতাসীন জোটের জয়

মালয়েশিয়ায় রোববারের সাধারণ নির্বাচনে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কোয়ালিশন।পার্লামেন্টে দুই-তৃতীয়াংশ আসনও নিশ্চিত হয়েছে তাদের।

.রয়টার্স
Published : 4 May 2013, 11:56 PM
Updated : 5 May 2013, 12:28 PM

দেশটির নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের নেতৃত্বাধীন বরিসন ন্যাশনাল (বিএন)বা ন্যাশনাল ফ্রন্ট পার্লামেন্টের ২২২ আসনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ১১২’র বেশি আসন পেয়েছে।অন্যদিকে, বিরোধী জোট পেয়েছে ৬০ আসন।

ন্যাশনাল ফ্রন্ট তাদের ঐতিহ্যবাহী নির্বাচনী এলাকা বোর্নিও দ্বীপের সারাওয়াক রাজ্যে পার্লামেন্টের বেশির ভাগ আসন জিতেছে।অন্যদিকে, বিরোধী দল অর্থনৈতিক দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী এলাকা পেনাং রাজ্যে তাদের অবস্থান ধরে রাখে।

দলটির নেতা আনোয়ার ইব্রাহিম এ রাজ্যে ২০০৮ সালের নির্বাচনে দলের বিস্ময়কর জয়টাই এবারের ভোটে ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছিলেন।

সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে যে কোনো পক্ষের জন্যই ২২২ আসনের পার্লামেন্টে ১১২ আসন পাওয়া জরুরি ছিল।

সোমবার সকালে ভোটের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ভোটে ক্ষমতাসীন জোট জয় পাবে বলে আশা থাকলেও নির্বাচনপূর্ব জনমত জরিপগুলোতে নাজিবের সঙ্গে প্রতিপক্ষের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়েরই আভাস পাওয়া যাচ্ছিল।

এতে করে এবারের নির্বাচন বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি জোট সরকারের অবস্থান দুর্বল করে দেয়া এমনকি পতনও ডেকে আনতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।

রাজনীতিকে স্বচ্ছ ও বিভিন্ন নৃগোষ্ঠি-ভিত্তিকতা থেকে মুক্ত করার প্রত্যয় নিয়ে সাবেক অর্থমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্ত্বাধীন বিরোধীদলীয় জোট পাকাতান রাকাইয়াত প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোটকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন।

২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে মালয়েশিয়ার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ক্ষমতাসীন বরিসন ন্যাশন্যাল (বিএন) জোট পার্লামেন্টে এক-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়। প্রথমবারের মতো উল্লেখযোগ্য আসন পায় বিরোধীদল।

সেই সাফল্যকে পুঁজি করে এবার আরো ভালো করার আশায় ছিল বিরোধীদলীয় জোট।
রোববার আংশিক ফল প্রকাশের আগেই আনোয়ার এক বিবৃতিতে আকস্মিকভাবে জয় ঘোষণা করেন।এটি বিরোধীপক্ষের জনসমর্থন দলে টানার কৌশল বলেই মনে করছিলেন বিশ্লেষকরা।
কিন্তু নির্বাচনী ফলে ক্ষমতাসীন দলের জয় স্পষ্ট হয়ে ওঠায় পরাজিত প্রার্থী আনোয়ার ইব্রাহিম ভোটে ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ করেছেন।নির্বাচনের আগেও তিনি একই অভিযোগ করে আসছিলেন।

রোববার সকালে ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার আগে থেকেই ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের দীর্ঘ সারি চোখে পড়ে। নির্বাচন কমিশনের হিসাবমতে, এবার রেকর্ড সংখ্যক ৮০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি ছিল।

ভোট দিতে যাওয়া অনেক ভোটারই এবার প্রথমবারের মতো ভোট দিয়েছেন।নবীন এসব ভোটার জীবনযাপনে ক্রমবর্ধমান ব্যয় বৃদ্ধি, উচ্চ অপরাধপ্রবণতা এবং ৫৬ বছর ধরে একটানা ক্ষমতায় থাকা সরকারের দুর্নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল।