আজ রোদ্রের আনা- গোনা ছিল অসীম।এই উষ্ণতার মধ্যে মাঝে মাঝে মৃদু-মৃদু মন মাতানো মায়াবী বাতাস বয়ে যাচ্ছে।আর সেই মায়াবী বাতাসের সাথে-সাথে আমার কিশোর কালের দিনগুলোর কথা ভীষণ ভাবে মনে পড়ে গেলো।আহা কি দারুন না ছিল কিশোর বয়সটা।বুঝতাম না রাজনীতি কাকে বলে।বুঝতাম না প্রেম কাকে বলে।বুঝতাম না কর্ম কাকে বলে।বুঝতাম না অন্যায় কাকে বলে।
আজ যখন বুঝেছি অন্যায় কাকে বলে।কিন্তু মুখ ফুটে প্রতিবাধ করতে পারি না।যেন আমার সমস্ত বিবেক আজ লোহার শিকরে বাঁধা।দিনের পর দিন অত্যাচারীরা অত্যাচার করে যাচ্ছে।দুর্নীতিবাজরা দাপটের সাথে দুর্নীতি করে যাচ্ছে।আর সেই দুর্নীতির প্রতিবাধ করতে গেলে ওরা বলে,আমি নাকি দেশ ও সমাজ বিরোধী।আরও বলে আমি নাকি মৌলবাদি।বল হে অত্যাচারীর বিরদ্ধে বিদ্রোহী জননী আমার।আমি কি করবো এখন।তোকে আজ বলতে হবে।চুপ করে থাকিস না মা।যদি চুপ করে থাকবি তাহলে কেন শিখালি অন্যায়ের বিরদ্ধে প্রতিবাদি ভাষা।ওরা কিছু সংখ্যক লোক বিশাল জনগোষ্টিকে জিম্মি করে তাদের আরাম –আয়াশের পথ দিন দিন বৃ্দ্ধি করে যাচ্ছে।জানিস মা ওরা ওদের হাতিয়ার হিসেবে আমাদের কে ব্যবহার করে যাচ্ছে।এই অন্যায় –অত্যাচার আর সহ্য করার মত নয়।মা তুই দোয়া করিস।।ওদের বিরদ্ধে বিদ্রোহী করবো নিজের অধিকারের জন্য।ওদের বিরদ্ধে সংগ্রাম করবো অন্যায়- অত্যাচার থেকে মুক্তি লাভের জন্য।আর এই সংগ্রামে যদি আমার রক্তে রাজ পথ রাঙ্গা হয়।তুই চোখের অশ্রু বিসর্জন দিস না মা দোহাই তোর।কারন মা তুই চোখের জল বিসর্জন দিলে তোর হাজার সাহসি ছেলে ভেঙ্গে পড়বে।ও আমার সাহসি প্রতিবাদি ভাইরা তোরা আর নিরব থাকিস না।গর্জে উঠ আবার । উঠবি কি না বল।আর ঘুমের কাছে নিজেকে বিসর্জন দিস না।কান পেতে শুন প্রতিবাদি জননী আমাদের কে ডাকছে।কেনরে তোরা এখনো ঘুমিয়ে আছিস।উঠ ভাই আমার বেলা ধিরে ধিরে শুভম হয়ে যাচ্ছে ।এই তোরা উঠবি কি না বল ।
যদি যৌবনে অন্যায়- অত্যাচার নীরবে দেখতে হবে।তবে কেন যৌবন এলো এই জীবনে।চাই না এই দুর্বল যৌবন। যে যৌবন প্রতিবাদি হতে জানে না। আমাকে ফের নিয়ে যা আমার সেই অবুঝ কিশোর বয়সে।
আজ মনো হচ্ছে না বুঝার বয়স টা অনেক ভালো ছিল ।কিশোর বয়সের স্মৃতি গুলু মনে পড়লে নিজেকে ধরে রাখতে পারি না নিজের মাঝে।মনে মনে পৃথিবিকে হাজার বার বললাম।হে পৃথিবি তোর কাছে মিনতি করি আমাকে ফের নিয়ে যা আমার সেই মনমাতানো কিশোর বয়সে। স্কুলের নতুন বই পাওয়ার আনন্দে মনটাকে আরো একবার মাতিয়ে তুলতে চাই।নতুন বই খোলার সাথে-সাথে যে সুবাস টা আসে।।তার মজা টা আলাদা।নতুন গল্প,কবিতা পড়ার সাধটা অন্য রকম।আর আমের মকুল নজরে পড়লে কত যে,ভাল লাগে তা ঠিক বুঝাতে পারবো না।কদম ফুলের সৌন্দর্যটা কি যে আকর্ষণ লাগতো।ভাই-বোনদের কি নিয়ে গল্পে মেতে উঠা । এবং মাঝে-মাঝে ছোট-খাটো বিবাদ।মায়ের মিষ্টি বকুনি,বড়দের শাসন এবং বাবার উপদেশ।সব গুলু মিলে হাজার আনন্দ ছিল।