somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"কয়েকটা ফালতু কথা"

১২ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্লেটো কইছিল তিন ধরনের মানুষের কথা। প্রথমত শাসক এবং শাসক মানেই দার্শনিক হবে। দ্বিতীয়ত সাহসী মানুষের কথা কইছে যারা কি-না নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। তৃতীয়ত কইলেন উৎপাদক শ্রেণীর কথা যারা সরাসরি উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত থাকবে। অবশ্যই গড়ে সবাই-ই আলোকিত মানুষ হবে।

এরপরে আইল ধনী আর গরীবের বিষয়। দুনিয়া হতে শুরু করল অর্থনীতি নির্ভর। অথবা অর্থনৈতিক কারনেই দুই শ্রেনী ধরা হইল। কিন্তু একসময়ে সেটাও হালে পানি না পেয়ে তিন রকম করা হইল। ধনিক শ্রেনী, মধ্যম শ্রেনী এবং গরীব শ্রেনী। চলছে নানান ভাগাভাগি। এই তিনটারে ভেঙ্গে ভেঙ্গে কম করে হলেও বারোটা তো হবেই। উচ্চবিত্ত, উচ্চমধ্যবিত্ত এরকমভাবে মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্তের ক্ষেত্রেও এরুপ করলে হয়ত অনেকগুলো শ্রেনীই পাওয়া যাবে।

আসলে এসব শ্রেনীর উত্থান এবং বিভাজন ক্ষমতার ভাগ নিতেই। এইসব শ্রেনী তৈরি করে এবং এদের উপরে সওয়ার হয়ে ক্ষমতার ভাগ নেয়াই আসল উদ্দেশ্য। নইলে এদেশসহ নানা দেশেই কত শ্রেনীর মানুষই ক্ষমতায় গেলেন! কই তাতে তো ক্ষমতার ভাগীদারের দুদিন আগের সাগরেদেরও কোন লাভ হয় নাই। সবার উন্নয়নের জন্যও এসব শ্রেনী ফ্রেনীর উত্থান ঘটে নাই।

প্লেটোর উদ্দেশ্য কল্যান রাষ্ট্র বা যাই থাকুক না কেন অন্তত কোন অন্যায় উদ্দেশ্য যে ছিলনা এতে সন্দেহ নাই। এটাকে যারা প্রথমে ভেঙ্গে তিন শ্রেনী করল তাদেরও কোন অন্যায় উদ্দেশ্য ছিল বলে মনে হয় না। কিন্তু সমস্যা হইছে যারা এগুলোকে বাস্তবে রুপ দিতে গিয়ে 'শ্রেনী'র প্রতিনিধি করার রাজনীতি করছে তাদেরকে নিয়া।

যার যা খুশি করুক ভালো কথা। কি আর করা! আসল কথা হইল সবাইকে ক্ষমতার ভাগ দিতে হবে। এই থিউরি কপচাইয়া যে যেটার যোগ্য নয় তাকে সেটাই দিতে হয়েছে। এরকম হতে হতে গনেশ এখন পুরাই উল্টাইয়া গেছে। যোগ্য যায়গায় অযোগ্যরাই পশ্চাদদেশ লাগাইয়া বসেছে। সে আবার আরেকটা তারচেয়েও অযোগ্যরে ধরে আইনা বসায়। এই করতে করতে দুনিয়াটা চলছে বেশ মন্দ নয়।


আসলে অর্থনীতি নিভর সমাজে দর্শন নিতান্তই খেলো বিষয় হয়ে গেছে। সাহিত্য কোনরকমে টিকে আছে টাকামুখী হয়ে। ইতিহাস সে-তো রীতিমত ফালতু বিষয়ে পরিনত হইছে। এখানে আবার দশন এলো কেন? এটা এই কারনে যে প্লেটোর সেই ভাবনাসহ অপরাপর ব্যক্তিগনের নতুনতর ভাবনা মুলত দাশনিকতা। আর ইতিহাসই বা কেন? কারন এই যে আমি স্মরন করলাম প্রায় আড়াই হাজার বছরের কিছু ঘটনাপ্রবাহের কথা এটাই ইতিহাস। ওহ হ্যা এই একথা কয়টা লিখে যে নির্মল আনন্দ উপভোগ করছি মননে যে উচ্ছাস এসে অনুরনন বাজাচ্ছে এখানে লেখার জন্য এটাই তো সাহিত্য নাকি?

যদিও আমরা বলার সময় এগুলোকেই বেশি করে উল্লেখ করি। এটাও একটা প্রতারনা নয় কি!
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ঋণ মুক্তির দোয়া

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৯



একদিন রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববিতে প্রবেশ করে আনসারি একজন লোককে দেখতে পেলেন, যার নাম আবু উমামা। রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘আবু উমামা! ব্যাপার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×