মারিয়া আজ রাতে এখানে বৃষ্টি হচ্ছে।মনে পড়ে আমরা আজ থেকে ঠিক বারো বছর পাঁচ মাস ষোল দিন আগে একটা বৃষ্টির রাত কিনেছিলাম চরম ভালোবাসার দামে ? তারপর থেকে আমি বৃষ্টিতে আসক্ত যেমনটা তোমাতে।হয়ত তুমি জাননা।একদিন থিয়েটারের গ্রিন রুমে আমাকে একা পেয়ে নষ্ট হাসির মেয়েটা আলতো করে আমার গালে চুমু এঁকে ছিলো।অপ্রত্যাশিত ।সেদিনও বৃষ্টি পড়ছিলো।আর আমি কাঁচের টুকরুর মত অঝরে ভেঙ্গে পড়েছিলাম । ।তুমি শুনে নিশ্চয় ঈর্ষায় জ্বলে যাচ্ছো ?কষ্ট পেয়ো না মারিয়া মেয়েটি আজ তোমার মৃত শত্রু।বরং আজকের ক্ষোভটুকু জীবিত শত্রুর জন্য জমা রেখো।
মারিয়া আমি যেখানটায় থাকি এখানে রাতে বৃষ্টি চরম,দিনে চরমরোদ আর শীতে চরম শৈত্য।মানুষ গুলো আঞ্চলিকতায় চরম আর ধর্মে চরম আর সরলতায়ও চরম।এই চরমপন্থী সবুজে পাহাড়ে অরণ্যের বৃষ্টির দেশে খুব একা একা লাগে।তোমার অভাব তাও চরম ভাবে ঝেকে ধরে প্রতিবৃষ্টির রাতে।
মারিয়া আমাদের রাতগুলো যতই একাকিত্বের হোক বুনো বৃষ্টি যতই প্ররোচণা দিক,যতই কাঁদাক-
বৃষ্টিকে ভুল বুঝোনা ।বৃষ্টিকে ভালোবেসো।হয়ত আবার কোন এক রাত বৃষ্টিময় হবে তোমার জন্য জন্য আমার জন্য।কীসের এত কষ্ট বলো বিষ্ঠাবুড়ীর দুর্গন্ধময় পৃথিবীতে কত মানুষ বৃষ্টি বঞ্চিত!মরূতৃষ্ণায় কাতরায়!আমরা নাহয় তাদের দেখে কষ্ট ভুলে থাকি।আমরা নাহয় তাদের দেখে প্রতিক্ষায় থাকি ।আমরা নাহয় তবু বৃষ্টি ভালবাসি।
মারিয়া,এখন বৃষ্টি হচ্ছে বালিশের পাশে ভাজ করা থাকে তোমার সেলাই করা নকঁশি কাঁথা।এখানে দিনগুলো খররৌদ্রে জ্বলে রাতগুলো ভিজে খরস্রোতা বৃষ্টির জলে।
মারিয়া জানালাটা আলতো ভেজানো,দমকা বাতাস টেনে নিয়ে আসছে তোমার আমার কষ্টে চৌচির হয়ে আসা মিহিকণা জল।বিজলীবুড়ি বাতি জ্বেলে আমাদের চোখের জল দেখে মিটমিট হাসে ।
মারিয়া বৃষ্টি হচ্ছে ।আমি বাহিরে হাত বের করেছি।ক'ফোঁটা জল ধরি তোমার নাম করে।
তুমি নাহয় অপেক্ষায় থাকো।
কোন একরাতে আমরা নাহয় বৃষ্টির ঝুম নামাবো।
মারিয়া বৃষ্টি হচ্ছে ।
মারিয়া ভিজে যাচ্ছি।
(বানান ভুলভাল হলে ক্ষমা প্রার্থী।আমি যে পিসিতে লিখছি এখানে আ-কার ই-কার সব উল্টা পাল্টা দেখায় ।সব অভ্যাসে মেরে ছি।)
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৮