somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দুটো কবিতা

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
১.
এটা এখনো কবিতা হয়ে ওঠেনি, তাই শিরোনাম নেই
মগ এবং গেলাশের কাজ এক হলেও
এবং গেলাশের চেয়ে মগ সুবিধাজনক হলেও
গেলাশই কিন্তু শেষ পর্যন্ত সুন্দর এবং গ্রহণযোগ্য
তন্বীরাই শেষ পর্যন্ত সুন্দর

২.
মূর্খ শয়তান

হীন চাটুকার চেলা চামচার চারদিকে শুধু ফাল
মেধাহীনদের সংখ্যার জোরে মেধাবী হারায় তাল
অসভ্যদের মাঝখানে পড়ে সৎ লোক গোনে কাল--
কখন ঝেঁটিয়ে দূর করা যাবে এই দঙ্গল-পাল

চোর জোচ্চোর ছ্যাঁচ্চরগুলো দল ভারী করে রোজ
জোর শোর তুলে একজোট হয়ে প্রতিদিন দেয় পোজ
এত সুন্দর সুট-বুট-টাই
জনগণ যেন সবাই ভোদাই
ঐসব দেখে ভাববো তাদের কেমন নায়ক ভাব!

বেতনের চেয়ে বেশি দামী জুতো কোত্থেকে করে লাভ--
ভাববো না এটা
ভাববো না বেটা
সেই দামী জুতো নিত্য নতুন কেন?
তোরা কি ভাবিস আমাদের কারো নেই এইটুক জ্ঞানও?
নেই আর কোনো ব্যবসা-চাকুরি
কোত্থেকে পাস এত ভুরি ভুরি?

বেহায়া বেলাজ বেশরমগুলো যখন কেলিয়ে দাঁত
বলতে চাইছে, ওরা সবচেয়ে সব থেকে ভালো জাত
কান্না না হাসি--কোনটা আনবো, উঠতে পারি না বুঝে
লজ্জায় মুখ কোথায় লুকাবো, জায়গা পাই না খুঁজে

সন্ত্রাসী খুনী চাঁদাবাজদের মহড়া রাষ্ট্রজুড়ে
ভদ্রলোকেরা ভদ্র থাকুন, থাকুন ফারাকে দূরে
তাদের ব্যাপারে মাথা না ঘামিয়ে নীতিগীতি গা’ন সুরে
চলনে বলনে তাদের মহড়া চলছে চলবে চলুক
সব ফেস্টুন পোস্টারজুড়ে ব্যানারে তাদের মুখ
তারা যে মহান! তাদের জন্য তোড়ন ডাইনে-বামে
চান বা না চান পুজো দিচ্ছেন নিত্য তাদের নামে
যখন যে পথে চলবেন তারা, কেউ চলবে না তাতে
তারা কি মানুষ? তারা পড়বেন মানুষের সাক্ষাতে?

শঠ প্রতারক প্রবঞ্চকের সুবিশাল সমারোহ
বরখেলাফির কৌশল ওরা পাল্টায় প্রত্যহ
মিথ্যে ছাড়া তো আর কোনো কিছু বেরোবে না মুখ থেকে
সত্য যদিও বেরোয় তাহলে ভুলে নয়তো বা ঠেকে
ভাঁওতাবাজির ছলচাতুরির আর কত কৌশল
নিত্য নতুন পাল্টাবি তোরা বর্ণচোরার দল?

দর্পী দম্ভী অহঙ্কারীরা দাপুটে কথার তোড়ে
মনে হয় যেন ষোল কোটি লোক ভাসিয়ে তাড়াবে ওরে!
রাস্তা করছে; বলছে এসব রাস্তা আমার করা
বিরিজ গড়ছে; বলছে এগুলো সকলি আমার গড়া
গুল্লি মারছি তোদের ঝাড়ির
টাকা কি তোদের বাপের বাড়ির?

জনগণ বুঝি ওদের টাকায় খেয়ে-পরে আছে বেঁচে?
কেন ফেলছে না কেউ এক্ষণও ওদের জিহ্বা ছেঁচে?
ওদের যতটা পোঁচপাচ আছে, কাদের টাকায় চলে?
কারা দেয় কর, সেই কর দিয়ে কারা বড় কথা বলে?
জনগণ দেয় কর এজন্য--করবি তাদের সেবা
তাই কর; আর মুখচুল্লির ঐ জিভাগ্নি নেভা

এসব মূর্খ শয়তান থেকে মুক্তি মিলুক জাতির
ওরা সব হোক বিতাড়িত আর চাই না ওদের খাতির
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×