আপনি যদি ১০ বছরের জন্য এস,এস,সি পরীক্ষা বন্ধ করে দেন তাহলে কি পরবর্তি দশ বছর আপনি গ্রাজুয়েট, পোস্ট গ্রাজুয়েট খুঁজে পাবেন? ঠিক তেমনি ছাত্র রাজনীতির দশা হয়েছে। এখন আর ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে প্রকৃত ও পরিপক্ক নেতা বের হওয়া অসম্ভব। ব্যবসায়ীরা দেশ ও সরকারকে নিয়ন্ত্রন করছে তা যে সরকারই আসুক না কেনো।
যাই হোক, আমি চারজনের বাংলাদেশীর নাম বলবো যারা এখন যে অবস্থায় আছে তার চেয়ে অনেক আগে মারা গেলে ভালো হতো। দয়া করে কেউ আমাকে ভুল বুঝবেন না। দেশের এই পরিস্থিতিতে অনেক দুঃখে লেখাটি লিখছি। আমি কোনো ভাবেই এই গুণী মানুষদের মৃত্যু কামনা করি না। আমি চাই তারা শত বছর জীবিত থাকুক। চারজনের কথা বলছিঃ
১. ড. মোহাম্মদ ইউনুস
বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী। নোবেল বিজয়ের পরের দিন ড. মোহাম্মদ ইউনুস মারা গেলে আজ তার এই নাজেহালের দৃশ্য দেখতে হতো না। আমার মনে হয় না এই অরাজনৈতিক বিশ্ব বরেন্য ব্যাক্ত্বিত্বকে তারই করা গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদ থেকে বাদ দেওয়া ঠিক হয়েছে। অহেতুক তাকে বাংলাদেশে রাজনীতি নামক নোংড়া পানিতে নামিয়ে নাকানী-চুবানী খাওয়ানো ঠিক হয় নি।
২. ড. কামাল হোসেন
বাংলাদেশের সংবিধান প্রনয়ণ কমিটির প্রধান ও বিশ্ব বরেন্য আইন ব্যাক্তিত্ব ড. কামাল যদি সংবিধান প্রনয়ণ করার পর পরই মারা যেতেন তাহলে বর্তমান জীবিত ড. কামালের চেয়ে মৃত্য ড. কামালকে মানুষ বেশী মনে রাখতো। নির্বাচনে পরাজিত হওয়া, রাজনৈতিক ভাবে বার বার ব্যার্থতা ও তার চোখের সামনে তারই প্রনয়ীত সংবিধানের এই বলৎকার তাকে দেখতে হতো না।
৩. বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী
কাদের সিদ্দিকীর মারা যাওয়া উচিৎ ছিলো স্বাধীনতার যুদ্ধের সময়। তিনি স্বাধীনতার সময় মারা গেলে অবশ্যই বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভুষিত হতেন। আর আজ? সময়ের প্রবাহমান ধারায় এই বনের বাঘ আজ সর্কাসের বাঘে রুপান্তরিত হয়েছেন। তিনি এখন বসে বসে কলাম লেখেন আর তার ইদানিং কালের কলামের ৩০% অশংজুড়ে থাকে তার বউয়ের কথা।
৪. হোসাইন মুহাম্মদ এরশাদ
এরশাদ সাহেবই হয়তো পৃথিবীর একমাত্র সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান যিনি গণঅভ্যুত্থানের শীকার হয়ে এতদিন পরোও দেশের তৃতীয় রাজনৈতিক দলের প্রধানের আসনটি অলংঙ্কীত করে রেখেছেন। এরশাদ ক্ষমতা ছাড়ার একদিন আগেও যদি মারা যেতেন তাহলে হয়তো বর্তমান অবস্থার চেয়ে জাতীয় পার্টি অনেক ভালো অবস্থানে থাকতো। হয়তো নতুন নেত্রীত্ব যেমন রওশন এরশাদ পার্টি চালাতেন কিন্তু মৃত্যু এরশাদের শক্তি হতো শহীদ জিয়ার থেকেও বেশী।
যাই হোক, হায়াৎ মওয়ত সম্পুর্ণ আল্লাহ্ র মর্জিতে হয় তাতে বিন্দু পরিমান সন্দেহ করার অবকাশ নেই। দোয়া করি এই ব্যাক্তিবর্গ তাদের স্বমহীমায় তাদের জীবনের শেষটা আবার আলোকিত করবেন। লিস্টে আরও অনেকের নাম দেয়া যেতে পারে কিন্তু মনে রাখতে হবে এটাই ইতিহাস ও বাংলাদেশের ট্রাজিটি।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:১৬