একটা শিশু যেমন ধীরে ধীরে কথা বলতে শেখে,তেমনি একজন মানুষও ধীরে ধীরে হয়ে উঠে কবি। লিখতে লিখতে,আরও বেশি লিখতে লিখতে। তবে কি জানেন, শুধু মুখ থাকলে যেমন কথা বলা হয় না, কার্যকর মন থাকতে হয়,না হলে প্রতিবন্ধীদের মতো অর্থহীন কথা সৃষ্টি হয়।তেমনি চেতনা না থাকলে কবি হওয়া যায়না,কবিতা লিখা আর কবি হওয়া যে বহু দূরের বস্তু তা আমরা কয়জন মানি? সবাই যে মানেনা তা আমি জানি। দুঃখবোধ থেকে যে পঙক্তিমালা উত্থিত হয় আর কবিতা লিখবো ভেবে লিখতে বসলে যা লিখা হয়, তার মধ্যে ফারাক বিস্তর।
কবিকে তুলনা করা হয় নীলকণ্ঠের সাথে, বিষ পিয়ে পিয়ে যার কণ্ঠ নীল হয়ে গেছে, তবু সে প্রশান্তির গান গায়, মুগ্ধ করে সবাইকে, নিজেকে নিঃশেষ করে অন্যের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার মধ্যে এক আনন্দ আছে। কবি এই অবিশ্বাসের পৃথিবীতে, প্রতারিত প্রত্যাখ্যাত হৃদয়ের রক্তপাত থেকে প্রেরণার গান গায়। এত শক্তি সে পায় কোত্থেকে? এ শক্তি বিশ্বাসের, এ শক্তি মানবতাবাদের, এ শক্তি অসাম্প্রদায়িকতার, এ শক্তি ভালবাসার।
কবিতা আমরা লিখছি অনেকেই, কিন্তু সিরিয়াস কয়জন? আমাদের দেশে নাকি কবিতার আকাল পড়েছে, বেশি বেশি কবিতা লিখতে হবে কবিদের। এমনি করে হয়তো বেরিয়ে আসবে আজকের জীবনানন্দ, যার হাতে প্রাণ পাবে হয়তো অন্য কোন বনলতা সেন। কিন্তু শুদ্ধতার মাপকাঠির কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করা উচিৎ। জীবনানন্দ হচ্ছেন শুদ্ধতম কবি। আসুন বেশি বেশি জীবনানন্দ চর্চা করি আর শুদ্ধতা অর্জন করি।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৪৮