somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মৌলবাদীরা ইতিহাস চর্চা করে না।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


প্রথাবিরোধী লেখক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগরে অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় ও জেএমবি সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এ অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হল।
চার্জশিট দাখিলের মাধ্যমে হত্যার ৮ বছর ৩ মাস পর ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার তদন্তের বেড়াজাল ছিড়ে বিচারের শুরু হওয়ার পথ সুগম হয়।
২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে বাংলাদেশ পরমানুশক্তি কমিশনের সামনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন হুমায়ুন আজাদ। এ সময় তাকে চাপাতি ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে মাথায় , মুখে ও ঘাড়ের ওপর মারাতœক জখম করা হয়।
হামলায় শিকার হওয়ার পর ড. আজাদ ২২ দিন সি এম এইচ হাসপাতালে এবং ৪৮ দিন ব্যাংককে চিকিৎসারত ছিলেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য স্কলারশিপ নিয়ে ২০০৪ সালের ৭ আগষ্ট জার্মানি যান তিনি। এই বছরের ১২ আগষ্ট ড. আজাদ মিউনিকে মারা যান।
সিএমএইচ হাসপাতালে যখন ড. আজাদ সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়েছিলেন, তখন তাকে এক নজর দেখার জন্য ছুটে গিয়ে ছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী এবং আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখনকার সরকার ঐ বিশ্ববরেণ্য পন্ডিতকে দেখার জন্য বিরোধী দলীয় নেত্রীকে অনুমতি দেয়নি। আজ যারা আদা জল খেয়ে বিএনপি জামায়াতের পক্ষে মাঠে নেমেছেন তারা ভুলে গেছেন কথাটি।
জেএমবি তথা রাজাকার আলবদর ও বাংলা ভাইদের পক্ষ থেকে প্রতিদিন ড. হুমায়ুন আজাদকে হত্যার হুমকি দেয়া হতো। একজন গবেষক, পন্ডিত, কবি, কথাশিল্পী, ভাষাতাত্ত্বিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মানসিক যন্ত্রনায় বিপন্ন হয়ে দৈনিক পত্রিকায় আবেদন কেরছিলন প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রীর কাছে তার জীবনের যেনো নিরাপত্তা দেয়া হয়ে। তৎকালীন জামায়েত নির্ভর সরকার ড. আজাদের আবেদনে কোন রকম সাড়া দেয়নি।
এ ঘটনার পর পরই ড. আজাদদের এক মাত্র ছেলে কে কিডন্যাপ করে জেএমবির সদস্যারা। ছেলেটি বুদ্ধি খাটিয়ে পালিয়ে এসে প্রাণ রক্ষা করে। জানিনা এর চেয়ে কাপুরুষতা আর কি হতে পারে? এ ঘটনার পরই ড. আজাদ সহস হারিয়ে ফেলেন এবং মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন।
জাতীয় সংসদে বাজখাঁই মওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ড. আজাদের সাড়া জাগানো উপন্যাস পাক সার জামিন সাদবাদ এর বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছিলেন। তিনি পরোক্ষভাবে ডানপন্থী সশস্ত্র ক্যাডারদের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ড. আজাদকে হত্যা করতে। এর পর পরই বাংলা ভাই, শায়খ রহমান নেতৃত্বাধীন জে এম বির সদস্যরা ড. আজাদকে হামলা করে কুপিয়ে জখম করে।
ইসলামেই বিধানে আছে, শহীদের রক্তের চেয়ে পন্ডিতের কলমের কালি অনেক পবিত্র। ড. হুমায়ুন আজাদও ছিলেন একজন প্রবাদ প্রতীম পন্ডিত। সর্বোপরি ছিলেন তিনি হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীর শিক্ষক। আমি তার ভক্ত হওয়া সত্ত্বেও তার সব কথার সঙ্গে এক মত পোষণ করি না। তাই বলে তাকে হত্যা করতে হবে? যুদেধর মাঠ ছাড়া কাউকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা যায়না। মার্কিন ওপন্যাসিক আর্নেস্ট হেমিংওয়ে বলেছেন, একজন মানুষ ধ্বংস হতে পারে কিন্তু পরাজিত হয়না। ড. আজাদের মত বিশ্ববরেণ্য পন্ডিত কে হত্যা করা হলেও তার দর্শন ও তার যুক্তিশীল বক্তব্যকে হত্যা করা কোনদিন সম্ভব হবেনা। লক্ষ লক্ষ পাঠক "পাক সার জমিন সাদ বাদ' উপন্যাস পাঠ করেছে। দেশের সীমানা ছেড়ে বইটি বিদেশে বাঙালীদের হাতে পৌছে গেছে। মৌলবাদের ভয়ংকর চেহারা একমাত্র আজাদছাড়া আর কেউ অংকন করতে পারেন নি। পাকসার জমিন সাদ বাদ পড়লে যে কোন পাঠক মৌলবাদের মনোগ্রাম চিনতে পারবে। তদুপরি উপন্যাসটিতে মৌলবাদী দৃষ্টির হিংস্রতা যথার্থ চিত্রিত হয়েছে। মৌলবাদীদের ফতোয়া হচ্ছে, তাদের সম্প্রদায়ের বাইরের লোকদের নির্দয় ভাবে হত্যা করলে কোনো গুনাহ হয় না, তাদের সম্প্রদায়ের বাইরের নারীদের ধর্ষণ করলেও গুনাহ হয় না। গুনাহ হবে মার্কসবাদ চর্চা করলে, ধর্মনিরপেক্ষতা চর্চা করলে। মৌলবাদী এই জঙ্গী সাম্প্রদায়িক মনস্তত্ত্ব বিশ্লেষনে ড. আজদের তার উপন্যাসে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।
ড. হুমায়ুন আজাদকে হত্যা করা অর্থ দাড়ায় তার শানিত যুক্তিকে খন্ডন করার বিদ্যার দৌড় খুনীদের ছিলো না। মৌলবাদীরা ইতহাস চর্চা করে না, বিজ্ঞান ও যুক্তি চর্চা করে না, তুলনামূলক জ্ঞানচর্চা মৌলবাদীদের ধৈয্যের আওতায় নেই। মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব তার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা দারাশিকোকে হত্যা করেছিলেন ফারসি ভাষায় উপনিষদ অনুবাদ করার অপরাধে । তিনি নাকি জিন্দাপীর ছিলেন!
পৃথিবীতে ধর্মের অভাব নেই, ধর্ম বিশ্বাস করে না এমন লোকেরও অভাব নেই, একই ধর্মের মধ্যে বিভিন্ন শাখা প্রশাখায় আছে। লাদেনকে বলা হতো "সৌদি ভিন্নমতাবলম্বী 'এ কথার অর্থ কী?
মোল্লা মওদুদী পাকিস্তানে কয়েক হাজার কাদিয়ানী হত্যা করিয়ে ছিলেন উস্কানিমূলক ফতোয়া দিয়ে বিচারে ফাঁসির রায হয়েছিলো । এতে প্রমাণিত হয় যে আইন হাতে তুলে নেবার ক্ষমতা কারো নেই। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সশস্ত্র জঙ্গীরা ইসলামের দোহাই দিয়ে সারা বিশ্বে আইন হাতে তুলে নিয়ে প্রতিটি জনপদকে রক্তাক্ত করে তুলছে।
প্রচলিত অর্থে পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা জিন্নাহ সাহেব এবং বিদ্রোহী কবি কাজী নজুল ইসলাম ধার্মিক ছিলেন না, তার ধর্মকর্ম পালন করতেন না। জিন্নাহ বিয়ে করেছিলেন অগ্নি উপাসক রতœবাঈকে আর নজরুর বিয়ে করেছিলেন হিন্দু প্রমীলাকে। নজরুলের ঘরে তার শাশুড়ি নিয়মিত পূজা করতেন, জিন্নাহ ভুলেও নামাজ পড়েননি।
যে যুক্তিতে হুমায়ুন আজাদকে হত্যা করা হয়েছে, ঐ একই যুক্তিতে জিন্নাহ ও নজরুলকে হত্যা করা উচিত ছিলো না? যদি মানুষের অমঙ্গল না চান, দয়া করে ধর্মকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে রাখুন।
ড. হুমায়ুন আজাদকে হত্যা মামলা এত বিলম্বে শুরু হলো, এটা আমাদের দুর্ভাগ্য।তবুতো শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসতে পেরেছেন বলে মামলাটি চালু হয়েছে, না হলে তাও হোত না। আমরা চাই ড. আজাদ হত্যাকারীদের আইনসঙ্গত বিচার হোক।


প্রথাবিরোধী লেখক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগরে অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় ও জেএমবি সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এ অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হল।
চার্জশিট দাখিলের মাধ্যমে হত্যার ৮ বছর ৩ মাস পর ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার তদন্তের বেড়াজাল ছিড়ে বিচারের শুরু হওয়ার পথ সুগম হয়।
২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে বাংলাদেশ পরমানুশক্তি কমিশনের সামনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন হুমায়ুন আজাদ। এ সময় তাকে চাপাতি ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে মাথায় , মুখে ও ঘাড়ের ওপর মারাতœক জখম করা হয়।
হামলায় শিকার হওয়ার পর ড. আজাদ ২২ দিন সি এম এইচ হাসপাতালে এবং ৪৮ দিন ব্যাংককে চিকিৎসারত ছিলেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য স্কলারশিপ নিয়ে ২০০৪ সালের ৭ আগষ্ট জার্মানি যান তিনি। এই বছরের ১২ আগষ্ট ড. আজাদ মিউনিকে মারা যান।
সিএমএইচ হাসপাতালে যখন ড. আজাদ সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়েছিলেন, তখন তাকে এক নজর দেখার জন্য ছুটে গিয়ে ছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী এবং আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখনকার সরকার ঐ বিশ্ববরেণ্য পন্ডিতকে দেখার জন্য বিরোধী দলীয় নেত্রীকে অনুমতি দেয়নি। আজ যারা আদা জল খেয়ে বিএনপি জামায়াতের পক্ষে মাঠে নেমেছেন তারা ভুলে গেছেন কথাটি।
জেএমবি তথা রাজাকার আলবদর ও বাংলা ভাইদের পক্ষ থেকে প্রতিদিন ড. হুমায়ুন আজাদকে হত্যার হুমকি দেয়া হতো। একজন গবেষক, পন্ডিত, কবি, কথাশিল্পী, ভাষাতাত্ত্বিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মানসিক যন্ত্রনায় বিপন্ন হয়ে দৈনিক পত্রিকায় আবেদন কেরছিলন প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রীর কাছে তার জীবনের যেনো নিরাপত্তা দেয়া হয়ে। তৎকালীন জামায়েত নির্ভর সরকার ড. আজাদের আবেদনে কোন রকম সাড়া দেয়নি।
এ ঘটনার পর পরই ড. আজাদদের এক মাত্র ছেলে কে কিডন্যাপ করে জেএমবির সদস্যারা। ছেলেটি বুদ্ধি খাটিয়ে পালিয়ে এসে প্রাণ রক্ষা করে। জানিনা এর চেয়ে কাপুরুষতা আর কি হতে পারে? এ ঘটনার পরই ড. আজাদ সহস হারিয়ে ফেলেন এবং মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন।
জাতীয় সংসদে বাজখাঁই মওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ড. আজাদের সাড়া জাগানো উপন্যাস পাক সার জামিন সাদবাদ এর বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছিলেন। তিনি পরোক্ষভাবে ডানপন্থী সশস্ত্র ক্যাডারদের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ড. আজাদকে হত্যা করতে। এর পর পরই বাংলা ভাই, শায়খ রহমান নেতৃত্বাধীন জে এম বির সদস্যরা ড. আজাদকে হামলা করে কুপিয়ে জখম করে।
ইসলামেই বিধানে আছে, শহীদের রক্তের চেয়ে পন্ডিতের কলমের কালি অনেক পবিত্র। ড. হুমায়ুন আজাদও ছিলেন একজন প্রবাদ প্রতীম পন্ডিত। সর্বোপরি ছিলেন তিনি হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীর শিক্ষক। আমি তার ভক্ত হওয়া সত্ত্বেও তার সব কথার সঙ্গে এক মত পোষণ করি না। তাই বলে তাকে হত্যা করতে হবে? যুদেধর মাঠ ছাড়া কাউকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা যায়না। মার্কিন ওপন্যাসিক আর্নেস্ট হেমিংওয়ে বলেছেন, একজন মানুষ ধ্বংস হতে পারে কিন্তু পরাজিত হয়না। ড. আজাদের মত বিশ্ববরেণ্য পন্ডিত কে হত্যা করা হলেও তার দর্শন ও তার যুক্তিশীল বক্তব্যকে হত্যা করা কোনদিন সম্ভব হবেনা। লক্ষ লক্ষ পাঠক "পাক সার জমিন সাদ বাদ' উপন্যাস পাঠ করেছে। দেশের সীমানা ছেড়ে বইটি বিদেশে বাঙালীদের হাতে পৌছে গেছে। মৌলবাদের ভয়ংকর চেহারা একমাত্র আজাদছাড়া আর কেউ অংকন করতে পারেন নি। পাকসার জমিন সাদ বাদ পড়লে যে কোন পাঠক মৌলবাদের মনোগ্রাম চিনতে পারবে। তদুপরি উপন্যাসটিতে মৌলবাদী দৃষ্টির হিংস্রতা যথার্থ চিত্রিত হয়েছে। মৌলবাদীদের ফতোয়া হচ্ছে, তাদের সম্প্রদায়ের বাইরের লোকদের নির্দয় ভাবে হত্যা করলে কোনো গুনাহ হয় না, তাদের সম্প্রদায়ের বাইরের নারীদের ধর্ষণ করলেও গুনাহ হয় না। গুনাহ হবে মার্কসবাদ চর্চা করলে, ধর্মনিরপেক্ষতা চর্চা করলে। মৌলবাদী এই জঙ্গী সাম্প্রদায়িক মনস্তত্ত্ব বিশ্লেষনে ড. আজদের তার উপন্যাসে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।
ড. হুমায়ুন আজাদকে হত্যা করা অর্থ দাড়ায় তার শানিত যুক্তিকে খন্ডন করার বিদ্যার দৌড় খুনীদের ছিলো না। মৌলবাদীরা ইতহাস চর্চা করে না, বিজ্ঞান ও যুক্তি চর্চা করে না, তুলনামূলক জ্ঞানচর্চা মৌলবাদীদের ধৈয্যের আওতায় নেই। মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব তার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা দারাশিকোকে হত্যা করেছিলেন ফারসি ভাষায় উপনিষদ অনুবাদ করার অপরাধে । তিনি নাকি জিন্দাপীর ছিলেন!
পৃথিবীতে ধর্মের অভাব নেই, ধর্ম বিশ্বাস করে না এমন লোকেরও অভাব নেই, একই ধর্মের মধ্যে বিভিন্ন শাখা প্রশাখায় আছে। লাদেনকে বলা হতো "সৌদি ভিন্নমতাবলম্বী 'এ কথার অর্থ কী?
মোল্লা মওদুদী পাকিস্তানে কয়েক হাজার কাদিয়ানী হত্যা করিয়ে ছিলেন উস্কানিমূলক ফতোয়া দিয়ে বিচারে ফাঁসির রায হয়েছিলো । এতে প্রমাণিত হয় যে আইন হাতে তুলে নেবার ক্ষমতা কারো নেই। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সশস্ত্র জঙ্গীরা ইসলামের দোহাই দিয়ে সারা বিশ্বে আইন হাতে তুলে নিয়ে প্রতিটি জনপদকে রক্তাক্ত করে তুলছে।
প্রচলিত অর্থে পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা জিন্নাহ সাহেব এবং বিদ্রোহী কবি কাজী নজুল ইসলাম ধার্মিক ছিলেন না, তার ধর্মকর্ম পালন করতেন না। জিন্নাহ বিয়ে করেছিলেন অগ্নি উপাসক রতœবাঈকে আর নজরুর বিয়ে করেছিলেন হিন্দু প্রমীলাকে। নজরুলের ঘরে তার শাশুড়ি নিয়মিত পূজা করতেন, জিন্নাহ ভুলেও নামাজ পড়েননি।
যে যুক্তিতে হুমায়ুন আজাদকে হত্যা করা হয়েছে, ঐ একই যুক্তিতে জিন্নাহ ও নজরুলকে হত্যা করা উচিত ছিলো না? যদি মানুষের অমঙ্গল না চান, দয়া করে ধর্মকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে রাখুন।
ড. হুমায়ুন আজাদকে হত্যা মামলা এত বিলম্বে শুরু হলো, এটা আমাদের দুর্ভাগ্য।তবুতো শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসতে পেরেছেন বলে মামলাটি চালু হয়েছে, না হলে তাও হোত না। আমরা চাই ড. আজাদ হত্যাকারীদের আইনসঙ্গত বিচার হোক।

সুত্র
মাহমুদুল বাসার
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মাটির কাছে যেতেই..

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

মাটির কাছে
যেতেই..


ছবি কৃতজ্ঞতাঃ https://pixabay.com/

ঠিক যেন
খা খা রোদ্দুর চারদিকে
চৈত্রের দাবদাহ দাবানলে
জ্বলে জ্বলে অঙ্গার ছাই ভস্ম
গোটা প্রান্তর
বন্ধ স্তব্ধ
পাখিদের আনাগোনাও

স্বপ্নবোনা মন আজ
উদাস মরুভূমি
মরা নদীর মত
স্রোতহীন নিস্তেজ-
আজ আর স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাকা ভাংতি করার মেশিন দরকার

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:১০

চলুন আজকে একটা সমস্যার কথা বলি৷ একটা সময় মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা ছিল৷ চাইলেই টাকা ভাংতি পাওয়া যেতো৷ এখন কেউ টাকা ভাংতি দিতে চায়না৷ কারো হাতে অনেক খুচরা টাকা দেখছেন৷ তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেলা ব‌য়ে যায়

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩০


সূর্যটা বল‌ছে সকাল
অথছ আমার সন্ধ্যা
টের পেলামনা ক‌বে কখন
ফু‌টে‌ছে রজনীগন্ধ্যা।

বাতা‌সে ক‌বে মি‌লি‌য়ে গে‌ছে
গোলাপ গোলাপ গন্ধ
ছু‌টে‌ছি কেবল ছু‌টে‌ছি কোথায়?
পথ হা‌রি‌য়ে অন্ধ।

সূর্যটা কাল উঠ‌বে আবার
আবা‌রো হ‌বে সকাল
পাকা চু‌ল ধবল সকলি
দেখ‌ছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পর্ণআসক্ত সেকুলার ঢাবি অধ্যাপকের কি আর হিজাব পছন্দ হবে!

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৩ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:২৭



ইন্দোনেশিয়ায় জাকার্তায় অনুষ্ঠিত একটা প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশি নারীদের একটা রোবোটিক্স টিম। এই খবর শেয়ার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপিকা। সেখানে কমেন্ট করে বসেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:১৪


কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়
আমার বাবা-কাকারা সর্বমোট সাত ভাই, আর ফুফু দুইজন। সবমিলিয়ে নয়জন। একজন নাকি জন্মের পর মারা গিয়েছেন। এ কথা বলাই বাহুল্য যে, আমার পিতামহ কামেল লোক ছিলেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×