somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাজনৈতিক ভূল!

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রাজনৈতিক ভূল! প্রত্যকে রাজনৈতিক দলের কিছু না কিছু ভূল থাকে। যেগুলো তাদের শুধরে নেয়া উচিত। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অবশ্য ভূল শুধরে নেয়া বলে কিছু নেই। কারণ দলগুলো ভূলকে ভূল বলে মানতেই নারাজ। তারা সেই ব্রিটিশ মতবাদে বিশ্বাসী। লর্ড ইজ অলওয়েজ রাইট। বাঙালী দেখে শেখার চেয়ে ঠেকে শেখায় বেশী আগ্রহী। যদিও ঠেকে শেখা তাদের কিছু শেখাতে পারে বলে আমার মনে হয় না। গত বিএনপি সরকারের শেষ বছরে তাদের বড় ভূলের একটি ছিল সকল ছাত্র নেতাকে সরকারী চাকুরী দিয়ে দেয়া। যে ছাত্রদলের একখান সার্টিফিকেট জোগাড় করতে পেরেছে সে কোথাও না কোথাও সরকারী রুজীর বন্দোবস্ত করে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। আওয়ামী লীগ সেই একই পথের যাত্রী এখন। অনেকেই বলতে পারেন এটা অবশ্যই ভাল উদ্যোগ। কিছু বেকার ছাত্রের কর্মসংস্থান হয়ে গেল। ছাত্রনেতাদের ঠিক বেকার বলা যায় কিনা এই বিষয়ে বাংলা অভিধানে যথেষ্ট মতবিরোধের অবকাশ আছে।

ছাত্রনেতাদের চাকুরী দিয়ে দেয়ায় বিএনপি’র কি সমস্যা হল সেটাই বলি। সব ছাত্রদল নেতাকে চাকুরী দিয়ে দেয়ায় ছাত্রদলের মেরুদন্ড ভেঙে গেল। মাঠে থাকার মত তেমন কেউ অবশিষ্ট ছিল না। যারা ছিল তারা সবাই দাবার বড়ে। বড়ে দিয়ে বাজি মাত পাক্কা খেলোয়ার ছাড়া সম্ভব নয়। তারেক রহমানকে আমি পাক্কা খেলোয়ার বলতে নারাজ। খালেদা জিয়ার যথেস্ট প্রজ্ঞা থাকা সত্বেও তিনি মাতৃত্বের প্রশয়ে নিজের পরাজয়ের রাস্তা খোলসা করলেন। শুভাকাংখীদের অনেকেই তার কান পর্যন্ত পৌঁছাতে সফল হলেন না।

তারপর যখন ফকরুদ্দিন সরকার মাঠ খালি করতে শুরু করল, যদিও সেটা এক তরফা, তখন মাঠ ধরে রাখার মত কাউকে পাওয়া গেল না। মন্ত্রী এমপিরা গম-টিন চুরির মামলা নিয়ে জেলের ভাত খেতে লাগলেন কিছুকাল নিশ্চিন্তে। তাদের জেলে যাওয়া যতটা সহজ হয়েছিল ততটা সহজ হত না যদি ছাত্রদল মাঠে থাকত। সেই সময় টাতে আমরা কিন্তু ছাত্রদলের কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাই না বাংলার রাজপথে। পাই ছাত্রলীগের তান্ডব। পাই রাজনৈতিক কারণে শিবিরের কর্মীদের রক্তাক্ত লাশ। যদিও আমি ছাত্র রাজনীতি সমর্থণ করিনা। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ছাত্র রাজনীতি একটি গলিত লাশ ছাড়া কিছুই নয়। যার গন্ধে দলগুলোই মাঝে মাঝে নাকে রুমাল চাপা দিতে বাধ্য হয়।

তত্বাবধায়ক ব্যবস্থা নিয়ে বর্তমান আওয়ামী সরকার যে খেলা শুরু করেছে তাতে আরেকজন ফকরুদ্দিন সরকার আসা ফরজ হয়ে পড়েছে। হয়তো এবারের মন্ত্রী-এমপিরা টিন চুরির মামলায় পড়বে না কিন্তু তারা সেতু চুরি, রেল চুরি, গ্যাস চুরি, ব্যাংক চুরির মামলা এড়াতে পারবে না। তাদেরও বিনা বাধায় জেলে যেতে হবে। কারণ মাঠ একদম ফাঁকা। এতদিনে ছাত্রলীগের সব নেতাদের চাকুরীর কোটা পুর্ণ হতে চলল। আমার এক ক্লাস ফ্রেন্ড আছে। আমি গত পাঁচ বছরে একদিনও জানি নাই সে দল করত। আমি কেন, কোন বন্ধুই জানত না। ইদানিং দেখছি সে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গঠনমূলক কথা বলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সে নাকি ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী ছিল। সম্ভবত সেও একখান সার্টিফিকেট পেতে যাচ্ছে।

বাংলার আকাশ কবে এই নোংড়া ছাত্র রাজনীতির হাত থেকে মুক্ত হবে বলতে পারো?
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=কবিতাগুলো যেনো এক একটি মধুমঞ্জুরী ফুল=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:২০



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনের মাধুরী মিশিয়ে যে কবিতা লিখি
কবিতাগুলো যেনো আমার এক একটি মঞ্জুরী লতা ফুল,
মনের ডালে ডালে রঙবাহারী রূপ নিয়ে
ঝুলে থাকে কবিতা দিবানিশি
যে কবিতার সাথে নিত্য বাস,
তাদের আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে দেখা - ১৩ মে

লিখেছেন জোবাইর, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:০৩

১৩ মে ২০০৬


দমননীতির অদ্ভুত কৌশল
সরকার নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলের ওপর দমন নীতির আশ্রয় নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দ্রুত বিচার আইন ও পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে দমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×