somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

না বলুন পলিথিন কে

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার কাছ থেকে ঘণ্টাখানেক জাটকা সম্পর্কে জ্ঞানগর্ভ লেকচারের পর মুনাওয়ার হালকা গলায় বলল, “তুই না খেলেই পারিস”। আমি থমকে গেলাম। বলে কি ব্যাটা। একজন নাগরিক হিসেবে কোন দায়িত্ব নেই? এটা কেমন কথা?
মুনাওয়ার ফালতু কথা বলার ছেলে না। বাল্যবন্ধু। সুদীর্ঘ ২৪ বছরের বন্ধুত্ব আমাদের। না ভেবে একটা কথা বলবে এটা হবার কথা নয়। মনটা খারাপ হয়ে গেলো। কিন্তু কিছুক্ষন পরেই ভালো লাগা শুরু হলো। সত্যিই তো। আমরা কিনছি বলেই তো জাটকা আসছে। সরকারের ঘাড়ে সব দায়িত্ব দিয়ে দিলেই হবে? গোড়ায় হাত না দিলে এ ক্যান্সার কমার নয়।
জাটকা প্রসঙ্গ এলো আমার বছর দুয়েক আগে নেয়া এক সিদ্ধান্তের কথা জানাতে। সিদ্ধান্ত ছিলো, আমি আর পলিথিন ব্যবহার করবো না। দু বছর হলো এ অভ্যাস চলছে। মানতে পারছি? ১০০% হয়তো নয়। কিন্তু খুব প্রয়োজন না হলে পলিথিন ব্যবহার করি না আমি। আমার বাসার কেউই নয়। আগে যে কোন দরকারেই বাসায় পলিথিন খুঁজে পাওয়া যেত, এখন পাওয়া দূরহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুনাওয়ারের বুদ্ধি কাজে লেগেছে। আপনারাও চেষ্টা করে দেখুন। পারেন কি না?

প্রথমেই বলে নেই পলিথিন কি কি ক্ষতি করতে পারে তা বিস্তারিত বলতে পারছি না। মাটির উর্বরাশক্তি কমায়, বিষাক্ত পদার্থ নিঃসরন করে ইত্যাদি ইত্যাদি। পলিথিন অপচনশীল বিধায় বহুবছর পরেও মাটিতে গলে যায়না এবং নর্দমায় পচে যায় না। নর্দমাগুলো বন্ধ হয়ে যাবার মূল কারনগুলোর মধ্যে পলিথিন একটি। পরিবেশের যাবতীয় দূষণের মূলে এই পলিথিন। সে যাই হোক, অভ্যস্ত হয়ে যাবার কারনে পলিথিন ব্যবহার শুন্য করাটা অসম্ভব। তবে কিছু কিছু চেষ্টা করে ব্যবহার কমানো যেতে পারে।

১। হাতে বয়ে নিয়ে আসার উপযোগী জিনিস পলিথিনে আনবেন না। আমি বিস্কুট, তরল দুধ, চিপ্স, চাপাতি, চানাচুর আনতে কখনোই পলিথিন ব্যবহার করি না। এমনকি কখনো যদি দু/চারটা ডিম আনতে বলা হয় (মাঝে মধ্যেই আনতে হয়) আমি দুইহাতেই ডিমগুলো নিয়ে আসি (কাগজের ঠোঙ্গা না পাওয়া গেলে অবশ্য)।
২। বাজারে যেতে হলে চটের ব্যাগ হাতে করে নিয়ে যান। বিশ্বাস করুন, অনেকগুলো পলিথিন ম্যানেজ করা কষ্ট। তারচেয়ে চটের ব্যাগেই সব আনুন। একেবারেই পলিথিন ব্যবহার করতে পারবেন না এমনটি নয়। অন্তত ঢালাওভাবে ব্যবহার বন্ধ করুন।
৩। অন্তত এক জনকে (তার পরিবার সহ) টার্গেট করে এই অভ্যাস গড়ে তুলতে উদ্বুদ্ধ করুন।

পরিশেষে একটা কথাই বলি, এখনই সাবধান না হলে পরে হয়তো আর সাবধান হওয়ার সময়ও না পাওয়া যেতে পারে। আফটার অল, দেশটাতো আমাদেরই। না কি বলেন?
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অতিরিক্ত বা অতি কম দুটোই সন্দেহের কারণ

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩০

অনেক দিন গল্প করা হয়না। চলুন আজকে হালকা মেজাজের গল্প করি। সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নেই৷ জোসেফ স্টালিনের গল্প দিয়ে শুরু করা যাক। তিনি দীর্ঘ ২৯ বছর সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধান নেতা ছিলেন। বলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সীমানা পিলার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৮



বৃটিশ কর্তৃক এদেশে ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপনের রহস্য।
ম্যাগনেটিক পিলার নিয়ে অনেক গুজব ও জনশ্রুতি আছে, এই প্রাচীন ‘ম্যাগনেটিক পিলার' স্থাপন নিয়ে। কেউ কেউ এটিকে প্রাচীন মূল্যবান ‘ম্যাগনেটিক’ পিলার... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাথায় চাপা ভূত ভূত ভূতং এর দিনগুলি

লিখেছেন শায়মা, ৩১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫


এই যে চারিদিকে এত শত কাজ কর্ম, ঝামেলা ঝক্কি, ক্লান্তি শ্রান্তি সব টপকে আমার মাথায় আজও চাপে নানান রকম ভূত। এক ভূত না নামতেই আরেক ভূত। ভূতেদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায় (দ্বিতীয় অংশ)

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:০৫


আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায় (প্রথমাংশ)
আমাদের সদ্য খনন করা পুকুরটা বৃষ্টির পানিতে ভেসে গেল। যা মাছ সেখানে ছিল, আটকানোর সুযোগ রইল না। আমি আর দুইবোন শিউলি ও হ্যাপি জালি... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিজের পাসওয়ার্ড অন্যকে দিবেন না ;)

লিখেছেন অপু তানভীর, ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৭



কথায় আছে যে পাসওয়ার্ড এবং জাঙ্গিয়া অন্যকে দিতে নেই । মানুষ হিসাবে, বন্ধু হিসাবে প্রেমিক/প্রেমিকা হিসাবে অথবা আজ্ঞাবহ হওয়ার সুবাদে আমরা অন্যকে ব্যবহার করতে দিই বা দিতে বাধ্য হই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×