মানসিক দৈন্যতা কতটা প্রকট হলে এ রকম একটি সিনেমা বানানো যায় তার প্রমাণ রাখলো মার্কিনিরা। যদিও বলা হচ্ছে সিনেমাটি তৈয়ার করেছে একজন ইয়াহুদি। আর প্রযোজনা করেছে ব্যাংক জালিয়াতির অভিযোগে দণ্ডিত এক খ্রিস্টান। কোনো ধর্মের প্রতি আমাদের বিদ্বেষ নেই। ইসলাম ধর্ম অন্তত এ শিক্ষাটা তার অনুসারীদের দিয়েছে।
যারা 'ইনোসেন্স অব মুসলিম' বানিয়ে ইসলামের নবী মুহাম্মদ সা: কে অবমাননা করেছে তাদের বিষয়ে ঘৃণা জানানোর ভাষা কী হতে পারে? আমার জানা নেই। যারা নবী মুহাম্মদ সা: এর কাল্পনিক চিত্র এঁকে তাকে অপমান করেছে, যারা তার স্ত্রীদের নিয়ে প্রশ্ন তুলে নোংরা মন্তব্য করেছে তাদের জন্য করুণা হয়।
কারণ এ তথ্যজ্ঞান ও বিজ্ঞানময়তার যামনায় এসেও নিজেদের পশুত্ব জাহির করেছে। এ পশুত্ব জাহির করতে বেছে নিয়েছে ইসলাম, ইসলাম ধর্মের নবী মুহাম্মদ সা: এবং তার স্ত্রী খাদিজাকে। ইসলাম ধর্মের মূলনীতিকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছে। বলেছে ইসলাম ধর্মানুসারীরা টেররিস্ট।
কিছুক্ষণ আগে ইউটিউবে সিনেমাটির সাড়ে ১৩ মিনিটের ট্রেলরটা দেখলাম। এ পর্ণো নির্মাতারা ইসলাম ধর্ম ও এর নবী মুহাম্মদ সা: কে আক্রমণ করেছে । তাদের আক্রমন নিতান্ত্ই তাদের দৈন্যতার। এ ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ জানাই।
মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে মুসলিমদের নিধনে নেতৃত্ব দিচ্ছে ইয়াহুদিরা। যারা মুসলিমদেরকে নিয়ে নানা রকমের কুৎসা রটনা করে যাচ্ছে।কিন্তু সফল হতে না পেরে এখন নোংরা পথে যাচ্ছে। এ সব মানুষের জন্ম সম্পর্কে আমার জানা নেই। তবে শুকুরের খামারে যেমন অবাধ কামচার দেখেছি , নোংরা পরিবেশ দেখেছি, তার কোনো সমজাতীয় স্থানে তাদের জন্ম হতে পারে। তাই এদের ভাবনায় মানব সভ্যতাকে ধ্বংশ করা এবং কাউকে হেয় করে বিকৃত আনন্দ লাভ করা।
এ পশুদের ক্ষমা নেই।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:০২