মনা পাগলা ১০০মিটার দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করতে গেছে। দৌড় প্রায় শুরু হয়ে যাবে এমন সময় রেফারী ১, ২, ৩ বলে বাঁশিতে ফুঁ দিতেই সবাই দৌড় শুরু করে দিল। কিন্তু মনা পাগলা তার জায়গাতেই ঠায় দাঁড়িয়ে রইল। মনা পাগলার দাঁড়িয়ে থাকা দেখে রেফারি বললেন, কি ব্যাপার সবাই দৌড়াচ্ছে, কিন্তু আপনি দাঁড়িয়ে...
মনা পাগলা পুলিশ স্টেশনে ফোন করছে- মনা পাগলা- স্যার, ফোন করে আমাকে এক ব্যক্তি বারবার হুমকি ধমকি দিচ্ছে। এর কিছু একটা বিহিত আপনাদের করতেই হবে। পুলিশ- তা আপনাকে ফোনে কে এই হুমকি ধমকিগুলো দিচ্ছে? মনা পাগলা- স্যার, টেলিফোন অফিস থেকে একই ব্যক্তি কয়েকদিন থেকেই ফোন করে বলছে, আগামী ১৫...
মনা পাগলা আর তার বন্ধু একসঙ্গে রাস্তা দিয়ে হাঁটছে। একসময় হুট করে মনা পাগলা দাঁড়িয়ে বন্ধুকে বলল- দোস্ত এই পথে আর হাঁটা যাবে না। এখান থেকে তাড়াতাড়ি সটকে পড়তে হবে। বন্ধু বলল- কেন? হুট করে তোর আবার এই পথে কি হলো? মনা পাগলা বলল- আরে বোকা দেখছিস না, সামনে আমার বউ আসছে, আর আমার বউয়ের পাশেই যে...
মনা পাগলা দেরি করে বাসায় ফিরলে জেরা শুরু করল স্ত্রী: —কোথায় ছিলে এতক্ষণ? মনা পাগলা : বন্ধুর বাসায়। —কী করছিলে? মনা পাগলা : দাবা খেলছিলাম। —তাহলে তোমার শরীরে ভোদকার গন্ধ কেন? মনা পাগলা : তবে কিসের গন্ধ থাকবে, দাবার?
মনা পাগলার একটা মোটর গাড়ী দুঘটনার একেবারে চুরমার হয়ে গেছে। তিনি তার গাড়ী যেখানে বীমা করেছিলেন সেখানে গিয়ে টাকার দাবী করলেন। কোম্পানীর ম্যানেজার বললেন যে আপনাকে তো টাকা দেয়া হবে না। আপনাকে গাড়ীর বদলে একটা নতুন গাড়ী দেয়া হবে। মনা পাগলা তো আৎকে উঠলেন। আরে আমার স্ত্রীর নামে বীমা করা, সে মরে...
মনাকে কাঁদতে দেখে মা জিজ্ঞেস করলেন— মা : বাবা মনা, কি হয়েছে, কাঁদছিস্ কেন? মনা পাগলা : আব্বু দেয়ালে পেরেক মারতে গিয়ে ব্যথা পেয়েছে। মা : এজন্য কাঁদার কি আছে? তুমি না বড় হয়েছ? মনা পাগলা : জি আম্মু, আমি তো হেসেছিলাম! কিন্তু বাবা সে জন্যই আমাকে পিঠের উপর...
ভীষণ সেজেগুজে মনা পাগলার সামনে গিয়ে দাঁড়াল স্ত্রী। স্ত্রী: দেখো তো, আমাকে কেমন দেখাচ্ছে? মনা পাগলা : মোটামুটি কম খারাপ না!
মনা পাগলা : আমার স্ত্রীর স্মৃতিশক্তি সবচেয়ে জঘন্য। বন্ধু : সব ভুলে যায়? মনা পাগলা : না, সব মনে রাখে।
শিক্ষক : বলো তো মনা, পৃথিবী কিসের মতো? মনা পাগলা : স্যার, আমার বড় আপুর মতো। শিক্ষক : (ধমক দিয়ে) কীভাবে? মনা পাগলা : স্যার, ইয়ে মানে আমার বড় আপুর নাম ‘কমলা’ কিনা...
মনা পাগলা গভীল মনোযোগ দিয়ে একটি বরফের টুকরোর মধ্যে কি যেন খুঁজছে। অনেকক্ষণ ধরে বরফের টুকরো নিয়ে নাড়াচাড়া করতে দেখে তার এক বন্ধু বলল- কিরে, বরফের টুকরো নিয়ে এত নাড়াচাড়া করার কি আছে? মনা পাগলা বলল- একটা জিনিস খুঁজছি, কিন্তু কিছুতেই সেটা বের করতে পারছিনা। বন্ধু বলল- তা কি সেই জিনিস? মনা...
মনা পাগলা : আপনাদের নার্সটা এতই সুন্দর যে, আমার গালে একটু হাত রাখতেই আমি সুস্থ হয়ে উঠেছি। ডাক্তার : হুঁ! থাপ্পড়ের আওয়াজটা আমিও শুনেছিলাম।
রাতের বেলা কেনাকাটা সেরে রিকশায় বাড়ি ফিরছে মনা পাগলা ও তার স্ত্রী। হঠাৎ স্ত্রী বলল, দেখো দেখো, চাঁদটা কী সুন্দর! মনা পাগলা গোমড়া মুখে বলল, রিকশা ভাড়া বাদে আমার কাছে আর একটা টাকাও নেই।
শিক্ষক : কী ব্যাপার মনা, তোমাকে গতকাল দেশপ্রেমের উপর রচনা লিখে নিয়ে আসতে বলেছিলাম। আননি কেন? মনা পাগলা : রচনাটা লিখেছিলাম স্যার। কিন্তু বাবা নিয়ে গেলেন যে। শিক্ষক : মানে? মনা পাগলা : বাবা রাজনীতি করেন তো। আজ এক জনসভায় তার বক্তব্য দেয়ার কথা।
মনাকে তার বন্ধু বলছে- আশ্চর্য, তোর সামনে দিয়ে সব ডাকাতি করে নিয়ে গেল আর তুই এরকম শক্তসমর্থ দুটো হাত দিয়ে কিছুই করতে পারলি না? মনা পাগলা : কি করে করব, আমি দুই হাত দিয়ে বাবার দুনলা বন্দুকটা ধরেছিলাম যে!
বন্ধু : শহরের সেরা ধনীর মেয়ের ঘরে একটা বাল্ব নষ্ট হয়ে গেল। সে কি করে বাল্বটা বদলাবে? মনা পাগলা : বাবাকে ফোন করে মেয়েটা বলবে- বাবা, আমার ঘরের বাতিটা নষ্ট হয়ে গেছে। আমার একটা নতুন ফ্ল্যাট লাগবে!