রূদ্ধ সম্ভাবনার অসম্ভবে অবিরত কর্ষণে উচ্ছল পংক্তিমালা কান্ত হয়নি কখনও উচ্চারণ-রূদ্ধ সময়ের পাশে অবরূদ্ধ সম্ভাবনার বৈরী বাতাসে ছেপে যায় তবু সঞ্জীবন ছবি হৃদয়ের ছাপাখানা। উন্মুক্ত হয় অচেনা সান্ত্বনা একটা সবুজ মন হাতড়ে ফেরে সুন্দর। ঝুলে থাকে সময়, নিস্তব্ধ নিথর ...
যাদের জন্য কথা বলি, তাদের প্রতি তোমাদের শোক প্রকাশ করতে বলছিনা, তাদের রুগ্ন দেহ দেখে তোমাদের আঁতকে উঠতে বলছিনা, তাদের জন্য ব্যাথিত হয়ে তোমাদের কাঁদতে বলছিনা। তোমাদের চোখের জলে ওদের পিপাসা ফুরোবেনা তোমাদের সহমর্মিতা ওদের আহার যোগাবেনা তোমাদের মুখের বাণী ওদের কান...
সুখীমানুষ গতি নেই গন্তব্যও না একলা চলি, একলা থামি একলা আমার পথ চলা। বসি বসেই থাকি যাত্রী ছাউনি ভালোই লাগে। ব্যাস্ত মানুষ সত্য মিথ্যা কত কথা কত ব্যাস্তা মানুষ সবাই। আমর কোন সত্য নেই, মিথ্যাও না। আমার কেবল পথ চলা পথেই থামা একা একা একলা একলা। ...
পত্রিকার পাতা উল্টাচ্ছি হতাশ কিংবা আবেগে উদ্বেলিত হচ্ছি এ কি দৃশ্য হিংস্রতা, রক্তস্রোত..... রক্তস্রোতে ভেসে যাচ্ছে তোমার নগ্ন দেহ অথর্ব পাথর আমি। হেটে যচ্ছি আনমনে শত-সহস্র মানুষ আপন গন্তব্য পানে বিকট শব্দ..... একটু এগিয়েই একি বিস্ফোরিত গাড়ি ...
একজন ইউনুস খান বেঁচে থাকতে চান গণ মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং উদ্যেগ গ্রহণের মাঝে। শুষ্ক সাদা মেঘে যেমন ভরে আছে আকাশের বুক তেমনি কষ্টের অঝর ধারায় ভিজে আছে চোখ। আজ আমি শোকে হয়ে গেছি পাথর কষ্ট আমাকে বদলে দিয়েছে করেছে নিথর। কখনও কি বুঝেছ কষ্টের চাপা...
নিথর রাত্রি তিমির উল্লাস হৃদয়ে জাগছে এ কোন উচ্ছ্বাস !
মস্তিষ্কের সেক্স নিউরণের অনবরত সাময়ীক অনুরনণ; যেন হঠাৎ ঢিল পড়ল নিথর জলের মাঝখানে। তার পর এ মহজগতের সব সম্পর্ক বেমালুম ভুলে- অদৃশ্য স্বর্গের পরম সুখের পারাবারের গহীনে বিচরণ ; যেন ঢিলের কেন্দ্র বিন্দুতে ঝড়ের মাতম । রক্তের সব কনিকার টগবগে নাচন, ঘন ঘন উত্তপ্ত...
এই পৃথিবীর সব কিছুই পাতানো, কলকাঠি নাড়ছে....... একজন; শুধুই একজন। নেচে ওঠ নিথর সময় নেচে ওঠ থমকে যাওয়া বেজে ওঠ বুকের মধ্যে নতুন গানের নৌকো বাওয়া নেচে ওঠ সৃষ্টি ছড়া নেচে ওঠ ক্ষাপার মতন বেজে ওঠ বুকের মধ্যে না লেখা সব পদ্য যত নেচে ওঠ একলা পুরুষ নেচে ওঠ একলা মেয়ে ...
আমি পার্থিব বাস্তবতায় অস্থির, অপার্থিব স্বপ্নপায়ী কেউ একজন . . . সেই কবে !... উন্মাদ বাতাস ছিড়ে নিস্তব্ধতার রাজ্যে ঢুকেছি... নিথর সময় ছুঁয়ে আলোড়নে সতর্ক কান পেতেছি! কিন্তু হতাশার আলিঙ্গণ থেকে ছাড়াতে পারি নি আমাকে... এ রাজ্যের সওব কিছু মোড়া বন্দিত্বের শক্ত...
রিজওয়ানুল ইসলাম রুদ্র সময় থেমে ছিলো ওখানে... নিথর কাঠের সিঁড়ি, জমাট রক্তের দাগ আধখাওয়া ধূসর পাইপ, ভারি চশমা রক্তে ভিজে লাল সফেদ পাঞ্জাবি মুজিব কোট, ঘাতকের অস্পৃশ্য পদচ্ছাপ বুকের ভেতর বাতাসের তুমুল হাহাকার বাইরে অমাবস্যা গাঢ় অন্ধকার প্রাণবন্ধুর শরীরে আঠারোটা বুলেট জ্বলে...
ভোরের জলাশয়ে ডুবে থাকা /আত্মপ্রবঞ্চক রোদের কফিন নিয়ে এসেছি /আমার পাঁচ ফুট আট ইঞ্চি দেহের /শেষকৃত্যে চিৎকার করে আবৃত্তি করি /'ঈশ্বর একাকী তাই বিষাদ্গ্রস্থময় /আমি কেন বিষন্ন হবনা' কাভারে পড়ে আছে নিথর শরীর শিয়রের সুগন্ধী মাখা মায়াবী চোখ তুমি নেই ভেসে ভেসে খবর এসেছে ধূসর বাতিতে মৃদু...
রাত দুইটা বাজে। এবার উঠতে হবে। টাইড খেলা অনেক হয়েছে। আর ভাল লাগছে না। যদিও তাসের এই পর্ব সারারাতই চলবে। মামুন বিদায় নিল। বন্ধুরা নাছড় বান্দা। কেউ ছাড়তে চাই না। চাদঁ রাত বলে কথা। সারারাত ক্লাবে হই হুল্লর। আজ আবার একটা ছাগল চুরি করা হয়েছে। রান্না ভাল হয়নি। কেমন একটা বমি বমি লাগছে। মামুন...
পুরনো আমিটাই ভাল ছিলাম... আজও নিঃশব্দ অপেক্ষা- ঘুমভাঙ্গা একাকীত্ব, অথবা দোলচেয়ার, কফির ফিউম, একলা চুমুক। সময়ঘোড়া গলে যায় চাবুকের পিঠে রোজ রোজ জমাট বাঁধে অভিমান স্পর্শকোমলহীন, নিরুত্তাপ, অগলন। পথের জ্বলন, সহস্র ফোঁটা ঘাম লেপ্টানো ধূলো-আঙ্গুলে, প্রতিদিন আবেগহীন,...
রিজওয়ানুল ইসলাম রুদ্র ছোঁয়া যায় সবকিছুই : চাইনিজ রেস্তোরাঁর বাইরে ভূতের মতো অন্ধকারে দাঁড়িয়ে কৃত্রিম শ্যাওড়াগাছের মাথায় অর্ধবৃত্ত চাঁদের দিকে তাকিয়ে; চোখ ছলছল করে ওঠা ভীত তরুণীর বুকে মাথা রেখে এক আশ্চর্য সুন্দর উদ্ভিদের শ্বাস-প্রশ্বাস অনুধাবন করে; বর্ষার প্রথম মেঘের ডাকে তৃষ্ণার্ত...
তোমার অপেক্ষায় আমার ধূধূ দিগন্ত স্মৃতির কপাট খুলতেই এক ঝাপটা ধূসর মরুঝড় আচ্ছন্ন করে আমায়। কষ্টের সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের তোড়ে ভেঙ্গে পড়ি বার বার। ভেসে যাই স্রোতে ভাসা খড় কুটোর মতো সেই হেমন্তের সোনালি সকালে। আমাদেরকে মুখোমুখি সুখী দেখে জীবন্ত হতো মরা শিশির ক্ষুধার্ত পাখিরা...