খুব ছোটবেলাতে প্লেন দেখে পাইলট হতে চায় নাই, এমন ছেলে খুজে পাওয়া যায় খুব কম। আমিও তেমনই ছিলাম। কিন্তু বেশিরভাগ মা বাবা চায়, তাদের ছেলে মেয়েকে ডাক্তার বানাতে কিংবা ইঞ্জিনিয়ার।
আর স্কুলে গিয়ে আমার জীবনের লক্ষ্য রচনা লিখতে গিয়ে কখনো হয়েছি আদর্শ শিক্ষক আবার কখনো হয়েছি ডাক্তার। গ্রামের স্কুলের ছাত্রদের জ্ঞান দান করবো কিংবা শুক্রবার নিজের গ্রামে গিয়ে দাতব্য সেবালয় চালু করবো, সে সবই শুধু পরীক্ষা পাসের জন্য।
শৈশবের গন্ডি পেরিয়ে যখন কলেজে উঠলাম, তখনও ঠিক করা ছিলো না, কি হবো? পেশা নির্বাচনের ক্ষেত্রে কেউ আমাকে জোর করে নাই, পরিবার থেকেও কোনো চাপ ছিলো না। ভাগ্যক্রমে হয়ে গেলাম ইঞ্জিনিয়ার। এটা নিয়ে নিজের মাঝে তেমন আত্মতুষ্টি কিংবা অতৃপ্তি, কোন টাই নাই।
কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, চাটার্ড একাউন্টেট হলে মন্দ হতো না। তার মানে এই না, আমার ইঞ্জিনিয়ার হওয়া নিয়ে কোনো দুঃখবোধ আছে।
আমি যথেষ্ট সুখী আমার পেশা নিয়ে, অন্তত এখন পর্যন্ত। তবে কেন জানি না, ফিন্যান্স কিংবা ইকোনোমিক্স ধরণের বিষয়ে এখন অধিক আগ্রহবোধ করছি। কিন্তু এই বয়সে এসে তো পেশা পরিবর্তন করা সম্ভব না, তবে অর্থনীতি বিষয়ক যে কোনো বিশ্লেষণধর্মী লিখা আমি এখন খুব মনযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করি।
তবে প্লেন চালানোর ইচ্ছেটা এখনো রয়ে গেছে। ব্লগার আরিফ আরাফাত রুশোর পোস্ট পড়ে সেটা আরো জোড়ালো হলো, কিন্তু আমার আয় দিয়ে প্লেন চালানো শিখা কখনো সম্ভব নয়।
তারপরও ইচ্ছে করে।
আর একটা ছোট ইচ্ছে আছে, যদিও আমি কখনো কোনো গল্প কবিতা লিখি নাই, লিখার চেষ্টাও করি নাই, তারপরও মাঝে মাঝে মনে হয়, কোনো এককালে গিয়ে আমি পুরোদস্তুর লেখক হয়ে যাবো। সারাদিন চারপাশে যা দেখি, সেটা লিখলেই তো গল্প হয়ে যায়, এ আর এমন কঠিন কি?
আবার ইচ্ছে করে, হঠাৎ করে যদি কোনো মন্ত্রী কিংবা উপদেষ্টা হয়ে গেলে খুব একটা খারাপ হতো না। যদিও আমি কোনো রকম রাজনীতির সাথে সংযুক্ত নই, তারপরও এই ইচ্ছেটা কেন মনে আসে, সেটা বুঝতে পারি না।
আপনারা কি নিজ নিজ পেশা নিয়ে সুখী আছেন? কি হতে চেয়েছিলেন আর কি হলেন?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।