ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. মাহমুদ আহমাদিনেজাদ বলেছেন, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের হামলা নিয়ে পশ্চিমা প্রভাবিত গণমাধ্যমগুলো মাতামাতি করছে আর এতে আড়ালে পড়ে যাচ্ছে অন্তত ১০ লাখ আফগান ও ইরাকি নাগরিকের জীবন দেয়ার ঘটনা। তিনি পশ্চিমা গণমাধ্যমের সমালোচনা করে বলেছেন, এরা সুস্পষ্টভাবে ইরাক ও আফগানিস্তানের লাখ লাখ মানুষের জীবন দেয়ার ঘটনা উপেক্ষা করে যাচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ বলেন, ইহুদিবাদিদের বস্তুবাদী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে আজ গণমাধ্যমের পবিত্রতা নষ্ট হয়ে গেছে। এর ফলে আজ আর গণমাধ্যমগুলো মানব সভ্যতার সম্পর্ককে নিয়ন্ত্রণ করে না বরং এখন এগুলো পরিণত হয়েছে ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব দখলের হাতিয়ারে।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের ঘটনাকে তিনি নিতান্তই গণমাধ্যমের অপারেশন বলে অভিহিত করেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, যদি এগুলো গণমাধ্যমের প্রচারণা না হতো তাহলে মার্কিন বাহিনী আজ ইরাক, আফগানিস্তান কিংবা পারস্য উপসাগরে উপস্থিত হতো পারত না।
তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ১১ সেপ্টেম্বর নিয়ে কেন গণমাধ্যমগুলো এত মাতামাতি করছে অথচ ওই ঘটনার পর ইরাক ও আফগানিস্তানের যে ১০ লাখ মানুষ জীবন দিল তাদের বিষয়ে একেবারে চুপ রয়েছে।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কের বিশ্ব বাণিজ্যকেন্দ্র এবং পেন্টাগনে হামলার ঘটনায় তিন হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল। আজ পর্যন্ত এ হামলার আসল রহস্য এবং মূল পরিকল্পনাকারীকে বের করা যায়নি। কিন্তু, ওই হামলার পরপরই বাহুল্য অজুহাতে আফগানিস্তান ও ইরাকে সামরিক আগ্রাসন চালায় আমেরিকা।
এ দু'টি যুদ্ধে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ১০ লাখের বেশি নিরীহ মানুষ। আর এ হামলার নেতৃত্ব দিয়েছিল সাবেক বুশ প্রশাসন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।