পথ হারা পাখি কেঁদে ফিরি একা!!! আজকের একটি ছোট্ট অভিজ্ঞতা দিয়ে আপনাদের একটি বিষয়ে অবহিত করতে যাচ্ছি। আমি আজ ডিবিবিএল এর এটিএম বুথে টাকা তুলতে যাই। গিয়ে দেখি একটি ১৮-২০ বছরের ছেলে বুথের সব কয়টা মেশিনে বার বার টাকা তোলার জন্য চেষ্টা করছে। একটা পর্যায়ে ওখানকার ইনচার্জ ছেলেটিকে বলে ১০০ টাকার নোট নাই। আরো বলে ১০০টাকার নোট এখন থেকে আর পাওয়া যাবে না।
ছেলেটির মুখ মলিন। মলিন মুখ দেখে আমার ছেলেটির প্রতি মায়া হয়। আমি তাকে তার মন খারাপ সম্পর্কে জানতে চাইলাম।
জানতে পারলাম ও একজন স্টুডেন্ট। ওর ডিবিবিএল একাউন্টে ৮৭৪ টাকা আছে।
যা থেকে ৩০০টাকা তুলতে পরার কথা। আর ওর পকেটে আছে ১২টাকা। বাড়ী থেকে মাসের ১০ তারিখ ওর একাউন্টে টাকা পাঠায়। এ মাসে ওর বাবা বলেছে ১৫ তারিখের আগে টাকা পাঠাতে পারবে না। ছেলেটি ম্যাচে থাকে।
খাওয়া দাওয়া করে হোটেলে। আমি ওকে ২০০টাকা দিলাম ধার বাবদ। ও বললো “ভাইয়া আমি আপনার টাকা কিভাবে পরিশোধ করবো”। আমি মোবাইল নম্বর দিয়ে বললাম যখন টাকা হাতে আসবে তখন আমার নম্বরে পাঠিয়ে দিও।
কিন্তু কেন এই ভোগান্তি?
১০০টাকার নোট যদি বন্ধ করে দেয়াই হোয় কিংবা সাময়িক ভাবে বন্ধ থাকে তা কি কোনো মিডিয়ায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্পষ্ট ভাবে জানানো যেতো না? দেশে কি ১০০টাকার নোটের কি অভাব পড়েছে।
আমরা এটিএম কার্ড ব্যবহার করি যাতে ২৪ ঘন্টা টাকা পাওয়া যায় আর ১০০টাকা সর্বনিন্ম তোলা যায় এই কন্ডিশনে। ব্যাংক আমাদের আমানত যথা নীয়মে দিতে বাধ্য। কিন্তু কেনো এর উল্টোটা ঘটছে?
আমি জানি বুথের অনিয়ম নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে। এমনকি জাল টাকাও বুথ থেকে বেড় হয়ে আসে। বুথে টাকা থাকে না।
নেটওয়ার্ক সমস্যা। কার্ড আটকে যাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি।
এ সমস্যার প্রতিকার কি?
এই লিংকটি দেখুন এখানে এখনও ১০০টাকার কথা বলা আছে। যদি ১০০টাকার নোট বুথ থেকে আর দেয়ার ইচ্ছে না থাকে তাহলে মিডিয়ায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানোর জন্য ডিবিবিএল কর্তৃপক্ষকে অনূরোধ করছি। অহেতুক মানুষকে হয়রানি করা অন্যায়।
আজকের ঐ ছাত্রটির মলিন মুখ কোনোদিন ভুলতে পারবো না। হয়তোবা ছেলেটিকে না খেয়ে থাকতে হতো। এই না খেয়ে থাকার দ্বায়ভার কে নেবে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।