মরণ আমার ভালো লাগে
কমল দাশগুপ্ত (জন্মঃ ২৮ জুলাই, ১৯১২ - মৃত্যুঃ ২০ জুলাই, ১৯৭৪), ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সুরকার, প্রথিতযশা সঙ্গীতশিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালক। ত্রিশ এবং চল্লিশের দশকে তাঁর কণ্ঠে ও তাঁর সুরে গাওয়া নজরুলগীতি ও অসংখ্য আধুনিক গান অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল। তাঁর জন্ম শতবার্ষিকীতে ও তাঁর মৃত্যুর তিন যুগের পরও, তাঁর গান ও সুরের আবেদন পূর্বাপর অটুট, তথা কালজয়ী।
১৯১২ সালের ২৮ জুলাই, নড়াইলের কালিয়ায় এক সঙ্গীতমনস্ক পরিবারে কমল দাশগুপ্তের জন্ম। তাঁর বাবা তারাপ্রসন্ন দাশগুপ্ত ছিলেন ধ্রুপদ গায়ক , সবার বড় ভাই, অধ্যাপক বিমল দাশগুপ্ত ছিলেন সঙ্গীত শিক্ষক।
তাঁর দুই বোন, ইন্দিরা সেন, সুধীরা সেনগুপ্তা ছিলেন সঙ্গীত শিল্পী। ছোট ভাই, সুবল দাশগুপ্ত পরে সঙ্গীত পরিচালক ও শিল্পী হিসাবে নাম করেন।
শৈশবে বড় ভাই অধ্যাপক বিমল দাশগুপ্তের কাছে খেয়াল গান দিয়ে সঙ্গীতে তাঁর হাতেখড়ি। পরে তিনি দিজেন্দ্রলাল (ডি. এল.) রায়ের পুত্র দিলীপ রায়, কৃষ্ণচন্দ্র দে (কানা কেষ্ট) এবং ওস্তাদ জমিরউদ্দিন খাঁর কাছে খেয়াল, ঠুমরী, দাদরা ও গজলের তালিম গ্রহণ করেন।
তাঁর অসামান্য সঙ্গীত প্রতিভা অচিরেই বিকশিত হয় ও ছড়িয়ে পরে।
মাত্র ২৩ বছর বয়সে হিজ মাস্টার্স ভয়েস গ্রামোফোন কোম্পানীর সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার হিসেবে তিনি নিযুক্ত হন। পাশাপাশি, কলাম্বিয়া রেকর্ড কোম্পানীতেও তিনি জড়িত হন। এইচএমভিতে এক মাসে তিপ্পান্নটি গান রেকর্ড করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
এই সময়কালেই, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের সাথে তাঁর পরিচয় ও প্রগাঢ় বন্ধুত্ব রচিত হয়। ফলশ্রুতিতে তিনি কবির তত্ত্বাবধানে নজরুলগীতিতে সুরারোপ করতে শুরু করেন।
নজরুলগীতির সুরকার হিসাবে প্রতিষ্ঠা পেয়ে, ১৯৩৪ সাল থেকেই তিনি স্বাধীনভাবে নজরুলগীতিতে সুরারোপ করতে থাকেন। প্রায় তিনশো নজরুলগীতির সুরকার ছিলেন কমল দাশগুপ্ত।
কমল দাশগুপ্ত তাঁর সঙ্গীত জীবনে কমবেশি আট হাজার গানে সুরারোপ করেন। এছাড়াও তিনি সঙ্গীতে নানা ভাবে অবদান রেখে চলেন। অল ইন্ডিয়া রেডিও অডিশন বোর্ডের প্রধান ছিলেন তিনি।
স্বরলিপির শর্টহ্যান্ড পদ্ধতির উদ্ভাবক হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছেন। আ-কার মাত্রিক পদ্ধতি ও স্টাফ নোটেশন পদ্ধতি স্বরলিপি স্থাপনে কমল দাশগুপ্ত সিদ্ধহস্ত ছিলেন।
তিনি ছিলেন প্রথম বাঙ্গালী যিনি উর্দু ভাষায় কাওয়ালি গান পরিবেশন করেন। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মির মার্চিং সং, ‘কদম কদম বাড়ায়ে যা’ তাঁর সুরে রেকর্ড করা হয়। রেকর্ডসংখ্যক গানে সুর করার জন্য ১৯৫৮ সালে এইচএমভিতে তাঁর সিলভার জুবিলি অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া, হায়দ্রাবাদের নিজামের গোল্ডেন জুবিলির বিশেষ গান রেকর্ড করেন। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধকালে মার্কিন চিত্র পরিচালক, এলিস জনসন, তাঁর ওয়ার প্রপাগান্ডা বিষয়ক সিনেমায় কমল দাশগুপ্ত সৃষ্ট আবহ সঙ্গীত ব্যাবহার করেন।
বাংলা চলচ্চিত্রের সুরকার হিসেবেও প্রভূত খ্যাতি অর্জন করেন কমল দাশগুপ্ত। তুফান মেল, শ্যামলের প্রেম, এই কি গো শেষ দান সিনেমার গানগুলো এককালে বিপুল সাড়া তুলেছিল। প্রায় আশিটি ছায়াছবির সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন তিনি।
হিন্দি আধুনিক গান ও গীতে তাঁর অবদান অপরিসীম। ভজন গানে বিশেষ দক্ষ ছিলেন। বাংলা-হিন্দি-উর্দু গান, গজল, ভজন, উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত, হামদ, নাত, নজরুলগীতিসহ সঙ্গীতের সব শাখায় সমান দক্ষতার অধিকারী ছিলেন তিনি।
১৯৫৫ সালে, কমল দাশগুপ্ত ধর্মান্তরিত হয়ে, কামাল উদ্দিন নাম নিয়ে, নজরুলগীতির শ্রেষ্ঠ শিল্পী ফিরোজা বেগমকে বিয়ে করেন। তাঁদের তিনটি সন্তান হয় - তাহসিন, হামীন ও শাফীন।
পরবর্তীতে, এ দেশের সন্তান কমল দাশগুপ্ত এক বুকভরা প্রত্যাশা নিয়ে ১৯৬৭ সালে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্যে দেশের মাটিতে ফিরে আসেন। কিন্তু তাঁর সে প্রত্যাশা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) সংগীতের সীমিত জগৎ ও পরিবেশ তাঁর শিল্পী মনকে ব্যথিত করে তোলে। তিনি গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন এদেশের সংগীত জগৎকে; কিন্তু তদানীন্তন সরকারের সঙ্গীত পৃষ্ঠপোষকদের অবমূল্যায়ন ও অবহেলায় সঙ্গীত জগতের কোন অঙ্গনেই তাঁর সামান্য স্থানও হয়নি।
নিদারুণ হতাশা ও দুঃখ দৈন্যর মধ্য দিয়েই এ সময়কার (ঢাকার) দিনগুলি অতিবাহিত হয়েছে কমল দাশগুপ্তের।
জীবিকার অন্বেষণে অর্থের প্রয়োজনে ঢাকার হাতিরপুলে ‘পথিকার’ নামে একটি ছোট স্টেশনারী দোকান খুলেছিলেন তিনি।
জীবন সায়াহ্নে মৃত্যুর পূর্বে কমল দাশগুপ্তকে বাংলাদেশ বেতারের ট্রান্সক্রিপসন সার্ভিসের প্রধান সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। মৃত্যুপথযাত্রী কমল দাশগুপ্ত রেডিওতে এই সল্পকালেই আব্দুল গাফফার চৌধুরী রচিত একুশের জনপ্রিয় সঙ্গীত ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারী’ গানটির স্বরলিপি প্রণয়ন করেন।
অসংখ্য বিষাদময় কালজয়ী গানের সুরকার ও রুপকার কমল দাশগুপ্ত, সকল মর্মবেদনাকে নিজের জীবনেই ধারন করেছিলেন, সৃষ্টি যেন তার স্রষ্টাকেই গ্রাস করেছিল। ২০ জুলাই, ১৯৭৪ এ অযত্নে, অবহেলায় ও প্রায় বিনা চিকিৎসায় কালজয়ী কমল দাশগুপ্ত পরলোকগমন করেন।
ঢাকার আজিমপুর গোরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়।
তাঁর জন্ম শতবার্ষিকীতে রইল শত কমলের শ্রদ্ধাঞ্জলি।
কমল দাশগুপ্ত - জন্ম শতবার্ষিকীর শ্রদ্ধার্ঘ্য
ট্রিবিউট টু কমল দাশগুপ্ত - ৩ সিডি সেট
গানচিল ভাইয়ের উদ্দেশ্যে নিবেদিত।
ট্রিবিউট টু কমল দাশগুপ্ত - সিডি ১
শিল্পী (স্বকণ্ঠে) ও সুরকার - কমল দাশগুপ্ত
০১ কতদিন দেখিনি তোমায় (১৯৪৪), কথা - প্রনব রায়
০২ তব মুখখানি খুঁজিয়া ফিরি (১৯৪১), কথা - কাজী নজরুল ইসলাম
০৩ আমি চাঁদ নহি, অভিশাপ (১৯৪১), কথা - কাজী নজরুল ইসলাম
০৪ বলেছিলে তুমি তীর্থে আসিবে (১৯৪২), কথা - কাজী নজরুল ইসলাম
০৫ এসেছিল মধুযামিনী (১৯৪২), কথা - প্রনব রায়
০৬ তুমি হাতখানি যবে রাখ (১৯৪৪), কথা - কাজী নজরুল ইসলাম
০৭ কণ্ঠে আমার নিশিদিন (১৯৪৫), কথা - প্রনব রায়
০৮ ঝুমকো লতার চিকন পাতায় (১৯৩৪), কথা - কাজী নজরুল ইসলাম
০৯ গভীর নিশীথে (১৯৪৫), কথা - কাজী নজরুল ইসলাম
১০ তোমার হাসিতে জাগে (১৯৩৬), কথা - প্রনব রায়
১১ জানি ফুরাবে এ মধু চৈতালী বেলা (১৯৩৬), কথা - প্রনব রায়
১২ প্রভাত বীণা তব বাজে হে (১৯৩৬), কথা - কাজী নজরুল ইসলাম
১৩ জাগো অমৃত পিয়াসী চিত (১৯৩৬), কথা - কাজী নজরুল ইসলাম
১৪ মোরা কুসুম হয়ে কাঁদি কুঞ্জবনে (সাথে যূথিকা রায়) (১৯৪১),
কথা - কাজী নজরুল ইসলাম
১৫ মম যৌবন সাথী বুঝি এলো (১৯৩৪), কথা - কমল দাশগুপ্ত
১৬ প্রিয় আসিল রে (১৯৪১), কথা - কাজী নজরুল ইসলাম
১৭ কৃষ্ণমুরারী গোপী মনোহারী (সঙ্গে সুধীরা সেনগুপ্তা) (১৯৩৪),
কথা - কাজী নজরুল ইসলাম
১৮ মিনতি রাখো প্রিয় (১৯৩৬), কথা - প্রনব রায়
১৯ যোগী ফিরে আয় (১৯৩৬), কথা - প্রনব রায়
২০ বিফলে যামিনী যায় (সঙ্গে সুবল দাশগুপ্ত) (১৯৩৪),
কথা - কমল দাশগুপ্ত
২১ কে আজি দিল দোলা (সঙ্গে সুবল দাশগুপ্ত) (১৯৩৪),
কথা - কমল দাশগুপ্ত
ট্রিবিউট টু কমল দাশগুপ্ত - সিডি ২
সুরকার - কমল দাশগুপ্ত
০১ মেনেছি গো হার মেনেছি, কথা - সুবোধ পুরকায়স্থ (১৯৪৩)
- জগন্ময় মিত্র
০২ পৃথিবী আমারে চায়, কথা - মোহিনী চৌধুরী (১৯৪৬) - সত্য চৌধুরী
০৩ চরণ ফেলিও ধীরে, কথা - প্রনব রায় (১৯৪০) - যূথিকা রায়
০৪ শোন গো সোনার মেয়ে, কথা - প্রনব রায় (১৯৪৪) - তালাত মাহমুদ
০৫ যদি কোনদিন ফিরে আস প্রিয়, কথা - প্রনব রায় (১৯৩৯)
- সুধা বন্দ্যোপাধ্যায়
০৬ ভেবেছিনু চিরদিন, কথা - প্রনব রায় (১৯৪৪) - হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
০৭ নিও না গো অপরাধ, কথা - শৈলেন রায় (১৯৪৫)
- গৌরীকেদার ভট্টাচার্য
০৮ কভু পাই কভু পাই না, কথা - প্রনব রায় (১৯৪৫) - ফিরোজা বেগম
০৯ ভালবাসা মোরে ভিখারি করেছে, কথা - মোহিনী চৌধুরী (১৯৪৬)
- জগন্ময় মিত্র
১০ জানি বাহিরে আমার তুমি, কথা - প্রনব রায় (১৯৫১) - যূথিকা রায়
১১ কথার কুসুমে গাঁথা, কথা - প্রনব রায় (১৯৫০) - বেচু দত্ত
১২ ভীরু প্রদীপের নয়নে, কথা - নিতাই ঘটক (১৯৪৫)
- শ্যামলী চট্টোপাধ্যায়
১৩ আমি দুরন্ত বৈশাখী ঝড়, কথা - মোহিনী চৌধুরী (১৯৪৭) - জগন্ময় মিত্র
১৪ আমার এ ভালবাসা, কথা - সুবোধ পুরকায়স্থ (১৯৪২) - সন্তোষ সেনগুপ্ত
১৫ সেদিন তোমায় আমি, কথা - সুবোধ পুরকায়স্থ (১৯৪১) - জগন্ময় মিত্র
১৬ এমনি বরষা ছিল সেদিন, কথা - প্রনব রায় (১৯৫০) - যূথিকা রায়
১৭ ঘুমের ছায়া চাঁদের চোখে, কথা - প্রনব রায় (১৯৪৫) - তালাত মাহমুদ
১৮ মোর হাতে ছিল বাঁশি, কথা - শৈলেন রায় (১৯৪৫)
- গৌরীকেদার ভট্টাচার্য
১৯ কে যায় রে কে যায়, কথা - পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯৫৮)
- তরুন বন্দ্যোপাধ্যায়
২০ যেথা গান থেমে যায়, কথা - প্রনব রায় (১৯৪৬) - সত্য চৌধুরী
২১ তোমার জীবন হতে, কথা - প্রনব রায় (১৯৪৪) - হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
ট্রিবিউট টু কমল দাশগুপ্ত - সিডি ৩
নজরুল গীতি, সুরকার - কমল দাশগুপ্ত
০১ মনে পড়ে আজ (১৯৪১) - যূথিকা রায়
০২ না মিটিতে আশা (১৯৪১) - শান্তা আপ্তে
০৩ তুমি আমার সকাল বেলার সুর (১৯৪০) - সন্তোষ সেনগুপ্ত
০৪ তব গানের ভাষায় সুরে (১৯৪২) - অনিমা দাশগুপ্ত
০৫ জানি জানি প্রিয় এ জীবনে (১৯৪১) - যূথিকা রায়
০৬ কেন মনোবনে মালতী বল্লরী (১৯৪২) - ইলা ঘোষ
০৭ ভীরু এ মনের কলি (১৯৪২) - যূথিকা রায়
০৮ কত ফুল তুমি পথে ফেলে দাও (১৯৪০) - সন্তোষ সেনগুপ্ত
০৯ দিনের সকল কাজের মাঝে (১৯৪০) - বীণা চৌধুরী
১০ বল প্রিয়তম বল (১৯৪১) - যূথিকা রায়
১১ এসেছি দেওয়ালি জ্বালাতে (১৯৪৩) - সত্য চৌধুরী
১২ আমি যার নুপুরের ছন্দ (১৯৪২) - ইলা ঘোষ
১৩ আরো কতদিন বাকী (১৯৪১) - মীনা বন্দ্যোপাধ্যায়
১৪ আমার ভুবন কান পেতে রয় (১৯৪৫) - যূথিকা রায়
১৫ সাঁঝের পাখিরা ফিরিল কুলায় (১৯৪০) - ইন্দুবালা
১৬ স্বপ্নে দেখি একটি নতুন ঘর (১৯৪২) - যূথিকা রায়
১৭ মোরে ভালবাসায় ভুলিও না (১৯৪০) - সুধা বন্দ্যোপাধ্যায়
১৮ তুমি যদি রাধা হতে শ্যাম (১৯৩৯) - যূথিকা রায়
১৯ আধখানা চাঁদ হাসিছে (১৯৫১) - জগন্ময় মিত্র
২০ এসো প্রিয় মন রাঙায়ে (১৯৪২) - পারুল কর (সেন)
২১ আমার কালো মেয়ে রাগ করেছে (১৯৩৮) - মৃণালকান্তি ঘোষ
কোয়ালিটি - ১৬০ কেবিপিএস এমপি৩
ফাইল সাইজ - ৮৮ + ৮৯ + ৯০ মেগাবাইটস
ডাউনলোড -
ট্রিবিউট টু কমল দাশগুপ্ত - সিডি ১
ট্রিবিউট টু কমল দাশগুপ্ত - সিডি ২
ট্রিবিউট টু কমল দাশগুপ্ত - সিডি ৩ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।