আমি বাংলাদেশকে ভালবাসি। দেশ কারো একার নয়। দেশ আমার আপনার সকলের।
রাজনৈতিক কচকচানি আছে বলেই আজকাল অনেকের মতো আমিও এই টিভির দুএকটি অনুষ্ঠান দেখেছি।
সেদিন দেখলাম যুদ্ধাপরাধিদের আইনজীবী তাজুল ইসলামের লাইভ টক শো।
তিনি একা এক দিকে আর চারজন আওয়ামী ঘড়নার ইনক্লুডিং উপস্থাপিকা সহ পাচজনের সঙ্গে বিতর্ক করে যাচ্ছে। এই অল্প বয়সেই তাজুল যেভাবে পাচ জনের সঙ্গে লড়ে গেলেন তাকে বাহবা দিতেই হয়।
এরপরের পর্ব ছিল শাখওয়াত হোসেন বকুলের দ্বিতীয় কিস্তি। প্রথম পর্ব আমি দেখিনি কিন্তু শুনেছিলাম শাহ আজিজ শেখ মুজিবের সঙ্গে পাকিস্থানে গিয়েছে কি যায়নি সেই নিয়ে বিতর্ক হয়েছে আওয়ামি সংস্কারবাদি নেতা তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে। তাই ২য় পর্ব দেখতে বসেও পেলাম একদিকে একা বকুল অন্যদিকে উপস্থাপিকাসহ ওরা পাচজন।
শুরুতে বকুলকে বলতে দেয়া হলো তারপর শুরু হলো জিয়গ্রাফি চ্যানেলে দেখা একটি হরিণ শিকারে একদল নেকড়ে যেমন ঝাপিয়ে পড়ে তেমনি ৭১ টিভির পূর্ব পরিকল্পিত আক্রমন। বকুল একা যদি ১০ মিনিটও বলে থাকে তবে ওরা চারজনে ৫মিনিট করে হলেও ২০মিনিট বিরুদ্ধাচরন করেও বকুলকে মাইক না দিয়ে বলে যাচ্ছিল আপনি অনেক বলেছেন। ২৪ ডট কমের তৌফিক এলাহি ইন্টারনেট অজ্ঞবলে যখন বকুলকে অবজ্ঞা করছিলেন প্রয়োজন ছিল বকুলকে কেউ সাপোর্ট করুক কিন্তু চক্রান্তের ছক হিসেবে সেখানে বকুলের সঙ্গে কেউ নেই!
এরপর এলেন ওয়ান ইলেভেনে আওয়ামি লিগের বিশ্বাসঘাতক নেতা তোফায়েল আহমেদ। তার শিষ্টাচার বহির্ভূত কথা বার্তা শুনে আমরা হতবাক। একজন চল্লিশের বয়সি বর্তমান এমপি বকুলকে সে তুমি করে কথা বলা শুরু করে যেভাবে শাসিয়ে যাচ্ছিল তা শুধু আপত্তিকরই নয় রীতিমত বেয়াদবি।
তোফায়েল আহমেদ ক্ষমতায় থেকে একজন মাননীয় বিরোধী দলের এম্পিকে যেভাবে বকাবকি করেছেন টিভি টকশোর ইতিহাসে তার নজির নেই। উপস্থাপিকা যেকোনভাবে এই পরিবেশ ঠান্ডা করতে পারতেন কিন্তু করেননি। আর এর সবই ব্যবস্থা করেছেন ৭১ টিভির পচা বাবু।
পাদটিকাঃ ওয়ান ইলেভেনের শেষে এসে এই বিশ্বাসঘাতক তোফায়েল আহমেদ যখন দূর্নীতির মামলায় ফেসে গিয়ে গ্রেফতার হচ্ছিলেন তখন চ্যানেল আই টিভিতে নিজের সাফাই গাইতে গাইতে চোখের পানি ঝড়াচ্ছিলেন!আমাদের আর বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবেনা সে আবারো এসে চোখের পানি ঝরাবে আর আমরা আম জনতা তা দেখে বলবো ,”যেমন কর্ম তেমন ফল”।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।