১/১১ এর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলেন ২৭তম বিসিএস ১ম ফলে নিয়োগের জন্য সুপারিশ প্রাপ্তরা। তাদেরকে ভিত্তিহীন দূর্নীতির অভিযোগ এনে চাকুরিচ্যুত করা হয়। ২৭তম বিসিএস এ মৌখিক পরীক্ষায় নম্বর ছিল মাত্র ১০০। যা ৩০ তম থেকে পুনরায় ২০০ করা হয়েছে। অবশ্যই দূর্ণীতির ক্ষেত্রকে প্রসারিত করার জন্য।
২৭ এর ১ম রেজাল্টে উত্তির্ণরা যদি দূর্নীতি করে থাকেন তাহলে ৩০ তমের ২০০ মার্কসের ভাইবাওয়ালারা কত বেশি দূর্নীতিবাজ একবার ভাবুনতো।
২৭তম বিসিএস ২য় ফলাফলে উত্তীর্ণদের নিয়ে পত্রপত্রিকায দূর্নীতির লেখা হলে সেটা আর বাতিল করা হলো না। দ্রুত নিয়োগ দেয়া হলো অস্বাভাবিক দ্রুত গতিতে। এটা তো আরও স্পষ্ট করে তুলল দূর্নীতির ব্যাপারটা। ঠুলাদের আর আমলাদের স্বজন প্রীতির মাধ্যমে নিয়োগের অভিযোগের প্রমান হয়ে থাকলো তা।
৪৫ দিনের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজটি হলো ৭ দিণে। কি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করলেন।
হাসিনা একাধিক বিবৃতিতে ১/১১ সরকারের চাটুকারিতা করেছেন। তাদের সকল গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়নের অঙ্গিকার করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় হাইকোর্টের ২টি নিয়োগের রায়কে বাস্তবায়নের পরিবর্তে সুপ্রিম কোর্ট দিয়ে তা বন্ধ করে দেন।
অথচ তিনি নিজে পূই নিয়োগের আশ্বাস দিয়েছিলেন। পি এসসিকে ২ খানা চিঠিও দিয়েছিলেন নিয়োগের নির্দেশ দিয়ে। আদালত যখন তিনমাসের মধ্যে নিয়োগের আদেশ দিল ঠিক তখনই সরকার আপিল করে বসল এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেল্। প্রহসনের এর চেয়ে বড় দৃষ্টান্ত আর কি হতে পারে।
পি এসসির সাবেক চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেনের ঘাড়ে বন্দুক রেখে তিনি সবাইকে বোকা বানানোর চেষ্টা করেন।
শেখ হাসিনা চাচ্ছে কিন্তু পিএসসি চাচ্ছে না তাই চাকুরী হচ্ছেনা এমন ভাব। ১/১১ এর পর আওমীলগের মদদপুষ্ট বিচারক ২৭ তম বিসিএস প্রথম ফলাফল বাতিল আর রায় দেন ও পুনরায় ভাইবা নেয়া হয়। রায়ের পর তিনি পটল তুলেছেন। এটা আরও স্পষ্ট করে তুলে যে ১/১১ আওমীলীগের সৃষ্টি। এবং তা তারা করেছে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বার্থে।
৯০০ মার্কসের লিখিত পরীক্ষা ও মাত্র ১০০ মার্কসের ভাইভার পরীক্ষায় উত্তির্ণদের বাদ দিবেন কেন?আর এখন ৮০০মাকস এর লিখিত আর ২০০ মার্কসের মৌখিক পরীক্ষার সমন্বয়ে দূর্নীতিবান্ধব পরীক্ষা পদ্ধতি আনলেন কেন?একটি মানবিক অধিকার হত্য করার জন্য নয়কি?দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়ে দলীয় ক্যাডারদের নিয়োগের জন্য নয়কি?দূর্নীতিকে ফুলিয়ে ফাপিয়ে বৃক্ষে পরিনত করার জন্য নয়কি?
পদ্মাসেতুর জন্য সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে না দূর্নীতির অভিযোগে। হলমার্ক কেলেংকারী। শেয়ার বাজারে ধ্বস। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্ধগতি। চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত মন্ত্রী।
আইন শৃঙ্খলার অবনতি। গুম সংস্কৃতি। আর একজন মুসার আক্ষেপ এই সরকারের যাকেই দেখবেন বলবেন তুই চোর কতটা অযৌক্তিক?শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত চাকরি দিচ্ছেন না কেন?এখন তো সেই চেয়ারম্যান সা'দত হোসেন নাই। ১১৩৭ জন বঞ্চিতরাতো এদেশেরই মানুষ। তারা আমাদেরই ভাইবোন।
তাদের কেউ আত্নহত্যা করে মরেছে। কেউ পথে বসে গেছে?কেউবা চরম মানসিক দৈন্যতায় পাথর হয়ে গেছেন।
bdnews24blog a সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।