১০-১২ দিন আগে মুবাইলে ১২১২ থাইক্যা কল আইলো। রিসিভ বাটন চাইপ্যা কানে নেওয়া মাত্র এক রূপবতী(কণ্ঠ শুইন্য বুজছি!!)কইন্যা আমার লগে কতা কওনের অনুমতি চাইলো।
অনুমতি দিলাম।
-স্যার রবি থেকে বলছি। আপনার নাম এবং লোকেশান জানতে চাচ্ছি।
-ক্যান?
-স্যার আপনি রবি থেকে ঘন্টায় সবচেয়ে বেশি টাকার কথা বলে nokia-101 পেয়েছেন।
-আগে কইবেন না।
নাম-ধাম সব কইলাম। আমার নিকটবর্তী রবি সেবার নাম দিয়া কইলো ৪ তারিখে ১০ থাইক্যা ২টার মইধ্যে গিয়া মুবাইল নিয়া আসতে।
যেই জায়গায় চাকরি করি সেইখান থাইক্যা কোনো ভাবেই ১০ থাইক্যা ২টার মইধ্য বের হওন পসিবল না।
অহন আমার যেই ইনচার্জ খুব কড়া। অনেক কস্টে ম্যাডামের কাছ থাইক্যা ছুটি লইয়া আইজকা সাড়ে চাইর ঘটিকায় রবি অফিসে গেলাম।
ঢুকা মাত্রই টোকেন ধরাইয়া দিল। টোকেনের নম্বরটা ৪১৯। আরেক জন পরে আইলে নম্বর হইতো ৪২০।
যে সিরিয়াল ডাকে হে তহন কইতো,৪২০ আসেন!
বইসা নয়ন বুলাইয়া দেখলাম সব কাউন্টারে পোলা। শুধু ৮নম্বরে রূপবতী(দেইখা বুজছি) মাইয়া।
ঝিমানো আইতাছে এইরাম সময় ৪১৯ কইয়া ডাক দিল। তড়াক কইরা খাড়াইলাম।
১০ নম্বর কাউন্টার দেখাইয়া দিল।
আগমনের হেতু জানতে চাইল।
কইলাম। মোবাইলের ব্যাপারে ম্যাডাম দেখে বইলা,আমারে ৮নং কউন্টারের রূপবতী মাইয়ার নিকট ট্রান্সফার কইরা দিল।
-স্যার আপনার সিমের কাগজপত্র আর ভোটার আইডি কার্ড দেন।
দিলাম।
ভোটার আইডি কার্ড টা মেলাক্ষণ উল্টাইয়া পাল্টাইয়া দেইখ্যা কইলো,এইডা নাকি অরজিনাল না।
আমি দাঁত-মুথ শক্ত কইরা কইলাম ,এইডা অরজিনাল।
মাইয়া আইডি কার্ড লইয়া ভিতরে কই জানি গেল। কিছুক্ষণ পর ফিরা আইসা জানতে চাইলো,ভোটার আইডি কার্ড ছাড়া আর কোনো আইডি কার্ড আছে কিনা।
মানিব্যাগ হাতাইয়া ক্রেডিট কার্ডের কয়েকটা স্লিপ দেইখা কইলাম কইলাম,ক্রেডিট কার্ড আছে।
পরে ক্রেডিট কার্ড এবং ভোটার আইডি কার্ড দুইডার ফটোকপি নিল।
এইবার রবি থাইক্যা যে ম্যাসেজ গেছিল হেইডা দেখাইতে কইলো। ম্যাসেজ বাইর কইরা সনির স্মার্ট মুবাইল ডা মাইয়ার হাতে দিলাম।
মাইয়া দেহি মুবাইলে কী খুজতাছে। সুবিধা করতে না পাইরা কইলো ,ডায়াল অপশনটা আইনা দেন ।
কইলাম, কী করবেন।
কইলো,মোবাইল নম্বরটা চেক করবো। পরে *১৪০*২*৪#চাইপ্যা নিজেই নম্বরটা দেখাইয়া দিলাম। একটা ফরম দিল সই করলাম।
মাইয়া এইবার একজনরে ডাক দিল।
তারে মোবাইল সেট নিয়া আইতে কইলো ।
হেই লোক যে গেল আর খবর নাই । ফিনল্যান্ড নকিয়ার হেড অফিসে গেল নাকি!
মাইয়া কম্পুর কী বোর্ড চাপাচাপি করতাছে। আমি কী করুম!
দেরি দেইখ্যা মাইয়া উইঠা মুবাইল নিয়া আসল । আইনা টেবিলে রাখলো।
আমারে দেওেনের কোনো লক্ষণ না দেইখ্যা কইলাম,দেন যাইগা।
-কিছু ফরমালিটিজ আছে।
-কী?
-ছবি তোলার।
-তোলেন।
-আমার সাথে না।
-কার লগে।
-বসের সাথে।
-ডাক দেন।
-নামাজ পড়তে গেছেন।
মাইয়া আবার কী বোর্ড লইয়া বিজি হইয়া গেল।
আমি সাউন্ড মিউট কইরা আংরি বার্ডস খেলা শুরু করলাম।
মিনিট দশেক পরে বস আসলেন। আইসা আমারে অভিনন্দন জানাইল। মনে মনে কইলাম,অফ যা।
ক্যামেরা নিয়া একজন আইলো।
ক্যামেরা দেখলে আমার চোখ মুখ এমনেই শক্ত হইয়া যায়। বস যে হাসি মুখ নিয়া ছবি উঠাইছে,মনে হইলো আমি উনারে পুরস্কার দিছি!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।