মায়েরা ছেলে বা মেয়ে সন্তানের সাথে কেমন ব্যাবহার করেন? যেমন সন্তান অনেক বড় অপরাধ করে ফেললে মা তাকে সরাসরি বকবেন। ঐ পর্যন্তই। একটু পরেই তা ভুলে যাবেন।
উদাহরন, আমি প্রথম প্রথম সিগারেট খেয়ে বাসায় ঢুকলেই মা বাবা কে শুনিয়ে শুনিয়ে বলতেন, "পোলাডা একদম নষ্ট হইয়া গেলো। দিনের পর দিন ওর সাহস বাইরা যাইতাছে।
" আমি মাথা নিচু করে ঠোটের কোনায় মিষ্টি হাসি নিয়ে নিজের ঘরের দিকে চলে যেতাম। কিছুক্ষন পরেই দেখতাম আম্মু ডিম সিদ্ধ কইরা নিয়া আসছে।
আবার কোন মেয়ে যদি একটু দেরী করে বাসায় ফিরে তাহলে মা বলেন, "কিরে তুই এতো দেরী করলি কেন? কই গেছিলি? মাইয়া বেশি বড় হইয়া গেছো না? খারাও তোমার বাপেরে কইয়া বাইরে বাইরে ঘোরন বন্ধ করতাছি। " এর কিছুক্ষন পরেই দেখা যায় মা মেয়ে একসাথে হিন্দি সিরিয়াল নিয়া গল্প জুইরা দিছে।
এখন একটি মেয়ে যখন বিয়ের পর শশুর বাড়িতে যায় তখন শাশুড়ির কাছে তার বউ আরেক বাড়ির মেয়ে।
সেই মেয়ের সাথে তিনি ঠিক সেই ব্যাবহারটি করতে পারেন না যেটি তিনি তার নিজের মেয়ের সাথে করেন। যেমন উপরের ক্ষেত্রে শাশুড়ি চক্ষুলজ্জার কারনে হয়তো কিছু বলবেন না কিন্তু বিষয়টা তার ভালো লাগবে না। এবং মনে মনে তিনি ছেলের বৌয়ের উপরে রেগে থাকবেন এবং সেটা খুব সহজেই চলে যাবে না। অনেকে আবার বৌয়ের সামনে নিজের মুখটি কালো করে রাখেন তখন মেয়েটির কাছেও খারাপ লাগবে আর সেও শাশুরিকে মায়ের মতো ভাবতে পারবে না। এভাবে ছোট খাটো অনেক বিষয়ের জন্য শাশুড়ি আর ছেলের বউয়ের মাঝে দূরত্ব সৃষ্টি হয়।
শাশুড়ি যদি মেয়েটির সাথে তার মেয়ের মতো ব্যাবহার করতো তবে মেয়েটিও মায়ের বকা ভেবে ভুলে যেতো...
দায়িত্বটি প্রথম শাশুড়ির কাধেই আসে। শাশুড়ি যদি নিজেকে মা বানাতে পারেন তাহলে বউটিও নিজেকে মেয়ে বানাতে পারবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।