......সতয যে কঠিন,কঠিনেরে ভালবাসিলাম ..এই শহরে আমি যেএক নতুন সার্কাসওয়ালা...প্যারোডি গানের মধ্য দিয়ে মাইকে উৎসুক র্দশকদের টিকিট কাটার জন্য বারবার আহবান জানানো হচ্ছ। পুরুষদের জন্য আলাদা ও মহিলাদের জন্য আলাদা গেটের ব্যবস্থা। যা হোক লাইনে দাড়িঁয়ে ভেতরে ঢুকতে হবে। তিন ধরনের আসন ব্যবস্থা:চেয়ার,গ্যালারী ও মাটি। প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।
সার্কাস শুরু হবে একটি দেশাত্নবোধক গান দিয়ে। গানটি পরিবেশন করবেন বুলবুল সাকার্স শিল্পীগোষ্ঠীর মহিলা শিল্পীরা। তিন সারিতে দাড়িয়ে ঘুরে ঘুরে আর্কষনীয়ভাবে গানটি উপস্থাপন করবেন। তারপরই শুরু হবে বাদ্যযন্ত্রের র্মুছনা এবং দুইজন শিশুশিল্পীর নাচ। ভারতীয় বাংলা ছবির উত্তেজক গানে শরীরকে আকিঁয়ে বাকিঁয়ে সে এক অভাবনীয় উদ্দাম নৃত্য।
এখানেই শেষ নয়। এরপর দুইজন তরতাজা যুবতী শিল্পীর আকুল করা নাচের ব্যঞ্জনা। এই নাচের ফাকেঁই ডুয়্টে শিল্পী হিসাবে কিম্ভুত ও সৃষ্টিশীল ভঙ্গিমায় একজন বামন জোকারের অর্বিভাব ও সঙ্গ। দর্শক গ্যালারীও ঝুমুর নাচের দোলায় ও শিষে আপ্লুত। এক কথায় অর্বননীয় আমেজ।
এরপর যথারীতি দুজন অতিথি নারী শিল্পীর আর্কষনীয় সাজসজ্জা সম্বলিত গান ও দুজন বামন জোকারের মজার মজার কর্মকান্ড।
এরপরপরই সকল নারী ও পুরুষ খেলা পরিবেশনকারীদের ওর্য়াম আপ অ্যাথলেটিক্স শো। তারপর উপরে উঠেএকজন শিশু ও তার সহযোগীর খেলা প্রর্দশন। এভাবে অনেক উপর থেকে দুজন শিশুর শারীরিক কসরত প্রর্দশন ও লাফিয়ে নিচের জালে পড়া,একটি পোষা ছাগলের দড়ির উপর দিয়ে হেঁটে যাওয়া ইত্যাদির মাঝে আরও একজন কিম্ভুত সঙের অর্বিভাবও অসংলগ্ন মজার মজার আঞ্চলিক কথার্বাতা।
তারপর একেএকে অন্যান্য সকল খেলা যেমন,চোখ বেঁধে ছুরি ছোড়া,ড্রাম পায়ে নিয়ে খেলা, কপালে বাশ ঠেকিয়ে-তার উপর একজন শিশুকে রেখে-খেলা দেখানো,সাইকেল নিয়ে দড়ির উপর চালানো, দড়ির উপর বসে ও দাড়িয়ে বিভিন্ন কসরত প্রর্দশন(যথক্রমে নারী ও পুরুষের),বল নিয়ে নানা রকমের খেলা,লাটিম নানাভাবে দড়ির উপর ঘুরানো,পানি ও মাছ গিলে পুনরায় তা উগরে দেখানো,উপরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঝুলে গিয়ে পড়া এবং শেষের দিকে একজন নারীর একটি বাশেঁর দন্ডে এিশুল নিয়ে খেলা দেখানো ইত্যাদি নানা ধরনের বৈচিত্র্যময় ও আর্কষণীয় খেলা দিয়ে সাজানো হয়েছে পুরো আড়ই ঘন্টার অনুষ্ঠান।
অবশেষে সজারু,কুকুর,ভল্লুক ও হাতি কর্তৃক প্রর্দশিত নানা আযোজনের মধ্যে শো শেষ হবার বিদায় ঘন্টা বাজতে থাকে। আর দর্শকদের কানে ও মনে বাজতে থাকে ভাল লাগার এক মুগ্ধ আবেশ। হ্যাঁ ভাই সুদূর বগুড়া থেকে আগত দি নিউ বুলবুল সার্কাস এখন যশোরে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।