শাফিক আফতাব------- একটিবারও মুখ তুলে তাকায়নি আঞ্জুমান, অথচ জৈবিকতার সূত্রে আমরা এক ও অভিন্ন ছিলাম, আমাদের একই বৈজ্ঞানিক নাম : হোমোসোপিয়ান্স ; আমাদের কামনা-বাসনা, হর্ষ-বিষাদ, আনন্দ-বেদনা, দেহের অঙ্গাবলী (অবশ্য একটি জায়গায় দুজনার দুরকম, সেখানে অবশ্য পরস্পর পরস্পরের পরিপূরক)। আমাদের হৃদয়বৃত্তির পাঁপড়িরগুলো একই বসন্তে দোল খেতো, আমাদের ক্ষুধা, যৌনতা মৌনতা সবই একই সমতল থেকে উৎসারিত। একটি জায়গায় অবশ্য আঞ্জুমানের সাথে আমার বিস্তর ব্যবধান, ও বিলাসী ; অহমিত শব্দগুচ্ছ ওর খইয়ের মতোন ফুটতো অহোরাত্র : রাজরাড়ির পাশে এসে ক্ষুধার্থ ভিখেরির উপাদেয় রাজভোগের জন্য যেমন লালা ঝরে মুখে, আমারও লাল ঝরতো আঞ্জুমানকে দেখে ; অথচ আঞ্জুমান ভুলেও কোনোদিন দেখেনি একটি বারের জন্য ; এই ক্ষুদে মেধাবীর জট লাগা চুলে, শ্যামবর্ণের গ্রামীন ছেলেটির মুখ। আজ দেখা হলো আঞ্জুমানের ; ভিজিটিং কার্ড দেখে তাকালো চোখ তুলে ; কিছু বলতে চাইলো ; কিছু শুনতে চাইলো ; আমি নির্বাক চোখে শুধু ফ্যাল ফ্যাল তাকালাম ; ওর গভীর নীল চোখ থেকে বিচ্ছুরিত হতে থাকলো গুচ্ছ গুচ্ছ জোনাক, আর দামী পারফিউমের ঘ্রাণ, ওর শাড়ির ভাঁজ থেকে বেরিয়ে পড়তে থাকলো নীল ফড়িং, ছায়ার গিট খুলে গিয়ে বইতে থাকলো নায়াগ্রা প্রপাত। ও আচমকা বলেই ফেললো : কেমন আছো ? যার জন্য আমি একদিন পাগল ছিলাম, আজ সে। কিছু পাবো কি এতগুলো বছর পর তাকে ভালোবেসে। ২২.০৪.২০১৩
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।