আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ওরেএএএএএএ.....ভূত নাকি ???!!!

একজন সাধারণ বাঙ্গালী । হলে আসার বেশ কিছুদিন পর জানলাম-কোন এককালে কে্উ একজন এখানে আত্মহত্যা করেছিলো । সেই রমণীর আত্মা নাকি এখনও রাতে ঘুরঘুর করে । অবশ্য এর সত্যতা বিচার করা কঠিন । এটি হতে পারে ভয় দেখানোর কোন চেষ্টা ।

কারণ সব জায়গায় এরকম দুই একজন থাকে যারা সবাইকে ভয় দেখিয়ে আনন্দ পায় । এটাও সে ধরনের কোন অপপ্রচার হতেই পারে । অপপ্রচারই হোক বা সত্যিই হোক-মনে মনে একটু একটু করে বিশ্বাস জাগ্রত হতে শুরু করলো যে এমন কিছু থাকলেও থাকতে পারে । এমন একটা কিছু দেখার ইচ্ছা আমার বহু দিনের । অনেকেই বলে থাকে-আসলে ভূত বলে বাস্তবে কিছু নেই ।

সবই নাকি মানুষের কল্পনা মাত্র । মানুষ মনে যা কল্পনা করে তাই নাকি সে দেখতে পায় । এসব জ্ঞানীগুণী টাইপ কথা শোনার পর থেকে অনেক চেষ্টা করি মনে মনে অস্বাভাবিক কিছু কল্পনা করার । কিন্তু কখনই এ টাইপ কিছু দেখার কপাল হয় নাই । যাই হোক -একবার অনেক রাতে রুমের বাহিরে বের হলাম পানি আনতে ।

চাঁদের আলোয় আলোকিত চারিদিক । পানি নে্য়া শেষে লক্ষ্য করলাম- হলের মাঝের ফাঁকা জায়গাটায় কেউ একজন । দূর হতে চেহারা বোঝা গেল না । মনের মাঝে কিছুটা ভয় বাসা বাঁধলো । একবার মনে হল- সামনে যেয়ে দেখা দরকার ঘটনাটা কি ।

পরক্ষণেই ভাবলাম- বেশি সাহস ভালো না । কিন্তু এ সুযোগও তো হাতছাড়া করা যায় না । কি করি কি করি- ভাবতে ভাবতে অগ্রসর হলাম । কাছে যেয়ে যা দেখলাম তাতে আর হাসি আটকাতে পারলাম না । রাত তখন তিনটা বা চারটা ।

আমাদেরই একজন তখন অতি মনোযোগের সহিত ফোনে প্রেমালাপে ব্যস্ত । আমার উপস্থিতিতে সে একটুও অবাক হলো না । তাকে দেখে পূর্বোক্ত সকল কথা ভুলে শুধু একটা কথাই তখন মাথায় আসছিলো- চাঁদনী রাত, মনে রং, ভাব একটু ঢং ঢং । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।