আমি ঘুরিয়া ঘুরিয়া সন্ধানো করিয়া স্বপ্নেরও পাখি ধরতে চাই আমি স্বপ্নেরও কথা বলতে চাই আমার অন্তরের কথা বলতে চাই... আমি গত প্রায় বছর খানেক ধরে রাজাকারদের চৌদ্দগুষ্ঠি নিয়া লিখার চেষ্টা করছি। প্রায় প্রত্যেকটা রায়ের আগে হারামিগুলোর আমলনামা একসাথে
প্রকাশ করার চেষ্টা করি। আমার লেখা গুলো হয়ত তেমন অর্থপূর্ণ আর প্রাঞ্জল হয় না কিন্তু তবুও এতটুকু করা আমি জরুরী মনে করি,
আর মাত্র কয়েকটা বাকি, এরপর সবগুলো লেখা নিয়ে একটা ই-বুক বের করার স্বপ্ন দেখি।
কিছু দিন আগে গোলাম আজমের আমলনামা নিয়ে দীর্ঘ একটি লেখা প্রকাশ করি
বিশ্বাস করবেন না দীর্ঘ এই লেখাটা প্রস্তুত করতে সম্ভবত সাত ঘণ্টার মোট লেগেছিল।
"আধ্যাপক "গোলাম আযম" যাকে আমরা আদর করে "গু" আযম ডাকি ......"- শেরোনামে
লেখাটার লিঙ্কঃ-
Click This Link
এই লেখায় গু কে অধ্যপক সম্বোধন করা হয়েছে, আদতে গোলাম মোটেও অধ্যাপক ছিল না।
করমাইকেল কলেজে কিছুদিন মাস্টারি করার পর
ঘাড় ধরে বের করে দেয়া হয়েছিল। কলেজের মাস্টাররা প্রথমে থাকেন প্রভাষক। গু প্রভাষকও ছিলেন না, চাকরীচ্যুত হবার পর আপনি
পূর্বের পদবি ব্যাবহার করতে পারেন না।
আমি ঐ লেখায় মূলত তাকে ব্যাঙ্গ করেই অধ্যাপক ডাকি। এরপর লেখার নিচে আমার এক পরিচিত সুশীল গু কে অধ্যাপক ডাকার তীব্র প্রতিবাদ
জানান, আমি ওনার প্রতি সম্মান জানিয়ে তৎক্ষণাৎ ভুল স্বীকার করি।
কিন্তু ফেসবুকে লেখা ঠিক করা যায় না বিধায় মূল লেখা থেকে অধ্যাপক অংশটি
কাটতে পারিনি, কমেন্টের সময় এবং লেখাটি উপরের লিঙ্কে দেয়া আছে।
যাই হোক, এর পর সেই সুশীলজনা রাস্তা-ঘাটে ঘরে-বাইরে এই ব্যাপারটা নিয়া ত্যানা পেচাইতে খুব আরাম পাইতেন, আসলে উচ্চমর্গীয় সুশীল তো
ছাগু কিংবা শিবিরদের সাথে ওনারা ঠিক ঝগড়া করেননা। তাদের বিরোধটা স্বজাতিদের সাথেই। এই সুশীল আবার গ্যানের ভারে মাঝে মাঝে পড়ে যান।
কিছুদিন আগে একটা আলোচনায় দেখি তিনিই গোলাম আযমকে ভাষা সৈনিক প্রমাণের ঐকান্তিক চেষ্টায় লিপ্ত হলেন !!!!!!!!
সেখানে আমাদের মত বরহ শাবকদের কথা বলার তেমন সুযোগ ছিল না, আসলে ওনাদের সামনে আমরা বরাবরই কথা বলার সুযোগ পাই না।
তবে সুসিল ভাই, গুর প্রসঙ্গ এলে আমি নিরপেক্ষ থাকতে পারি না। ক্ষমা করবেন.........
ফেব্রুয়ারিতে লেখা একটা পোস্ট তুলে দেই যেখান থেকে সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হয় গু আজম ভাষা সৈনিক নয়।
জামাতের ভণ্ডামির চালচিত্র পর্ব-১ গুলাম আজম ভাষা সৈনিক !!!
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৩
কাল একুশে ফেব্রুয়ারি, আমাদের পোড়া জাতির কয়েকজন তরুণ ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ চত্বর থেকে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সারিবদ্ধ হয়ে মিছিল বের করেন। মিছিলের অগ্রভাগে ছাত্রীরা। সকাল থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা মিছিল-মিটিংয়ে মেডিক্যাল কলেজের চারপাশ মাতিয়ে রাখেন।
দাবি একটাই— ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও এর আশপাশের এলাকায় দিনভর দারুণ উত্তেজনা, স্লোগান, পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি। বেলা ৩টার দিকে হঠাৎ গুলির শব্দ।
১৯৫২ সালের এই দিনটাতে মেডিকেলের সামনে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন কয়েকজন স্বপ্নবাজ তরুণ . . .
কি দাবী ছিল তাদের ?
বিশ্ববাসী অবাক হয়ে যায় শুধু মায়ের ভাষায় কথা বলতে চাওয়ার অপরাধে এই তরুণদের মেরে ফেলে হায়না গুলো,
সেই বাংলা ভাষার পথ ধরে একটা সংগ্রাম ৭১রে “বাংলা” নামের একটা দেশ নিয়ে আসল, পৃথিবীর একমাত্র দেশ যে দেশের নাম ঐ দেশের মানুষদের মুখের ভাষার নামে। সেই দেশটা পাওয়ার পথ সহজ ছিল না
পৃথিবীর কম সময়ে বৃহত্তম গণহত্যা, সবচেয়ে বেশী ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে আমাদের এই ভাষা দেশ।
যে দেশটার মূলই ভাষা সে দেশের বিরোধিতা যারা করেছিল আমরা ধরেই নেই তারা ভাষাটার ও বিরোধিতা করবে সেটাই তো স্বাভাবিক তাইনা ?
জী ভাই আমি রাজাকার গোলাম আজমের কথাই বলছি
কয়েক বছর ধরে রোল উঠেছে গোলাম আজম নাকি ভাষা সৈনিক
যে লোকটা মুক্তিবাহিনীকে শত্রুবাহিনী আখ্যায়িত করে বলেছিল “জামায়াত কর্মীরা রাজাকারে ভর্তি হয়ে দেশের প্রতিরক্ষায় বাধ্য। কেননা তারা জানে 'বাংলা দেশে' ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য কোন স্থান হতে পারে না। জামায়াত কর্মীরা শহীদ হতে পারে কিন্তু পরিবর্তিত হতে পারে না। (দৈনিক সংগ্রাম, ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭১)
আর সহ্য হয় না যে লোকটা দেশকে অস্বীকার করল মানুষ মারল আবার সেই নিজেকে ভাষা সৈনিক দাবী করে বসল !
ঘেঁটে দেখা দরকার দাবী গুলো কি কি
খোঁজ পাওয়া গেল একটা সুত্রঃ
“১৯৪৮ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকায় সফররত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকে গোলাম আযম রাষ্ট্রভাষা ও পূর্ব পাকিস্তানের সামগ্রিক দাবী সম্বলিত ঐতিহাসিক ‘অভ্যর্থনা স্মারকলিপি’ প্রদান করেন। ১৯৪৭ থেকে ১৯৪৯ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ঢাকসু) জি.এস. ছিল
গোলাম”
'৫২ সালের তমুদ্দুন মজলিসের ভাষা আন্দোলনের সাথে যুক্ত থেকে তিনি না কি এই কাজ সম্পাদন করেছেন.. এমন কি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে তিনিই প্রথম স্মারক লিপি দিয়েছেন বলে তার দাবি.. একই সাথে সেই সময়কার ডাকসু নেতা হিসেবেও নিজেকে পরিচয় দিতে পিছপা হন না তিনি . .
এই বিষয়ে ভাষা সৈনিক আবদুল মতিন বলেছেন, জামাতের সাবেক আমীর গোলাম আযম ভাষা সৈনিক ছিলেন না।
বরং তিনি ছিলেন উর্দুর পক্ষে। আবদুল মতিন বলেন, পাকিস্তানের একজন রাষ্ট্রনেতার উপস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষায় বক্তৃতা দিয়েছেন, ভাষার দাবি সম্বলিত মানপত্র পাঠ করেছেন বলে অনেকে মনে করেন গোলাম আযম ভাষা সৈনিক। আবদুল মতিনের মতে, সে বক্তৃতা গোলাম আযম নিজের ইচ্ছায় বাংলাতে দেননি, ডাকসু নেতা হিসেবে কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠের যে সিদ্ধান্ত ছিল তা বাস্তবায়ন করেছেন মাত্র। তিনি প্রশ্ন রাখেন, আরে ভাই যিনি পাকিস্তানের পক্ষে থাকেন, তিনি কিভাবে রাষ্ট্রভাষা বাংলার পক্ষে থাকেন? তিনি কিভাবে উর্দুর বিরোধিতা করেন? তাকে যারা ভাষা সৈনিক বলেন, তারা এটা ভাবলেই পারেন।
"পশ্চিম পাকিস্তানের শুক্কুরে ১৮ই জুন (১৯৭০) এক সংবর্ধনা সভায় জামায়াত নেতা গোলাম আযম বলেন, উর্দু পাক ভারত উপমহাদেশের মুসলমানদের সাধারন ভাষা।
তিনি বলেন, ৫২ সালে আমি যা করেছিলাম তা ভুল হয়েছিল। "
(দৈনিক পাকিস্থানের ১৯শে জুন প্রকাশিত সংখ্যা)
তখনকার পাকিস্তানে (বাংলাদেশ) বাংলা ভাষাকে সংগ্রাম আর রক্তের বিনিময়ে রাষ্ট্র ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি আদায়ের পরও যে লোক উর্দুকে তার ভাষা মনে করে - তাকে ভাষা সৈনিক হিসাবে প্রচার সত্যই কৌতুকের জন্ম দেয়।
আশা করি এই লেখা সব বিভ্রান্তি দূর করবে
যে লোক সরাসরি বলে
“উর্দু পাক ভারত উপমহাদেশের মুসলমানদের সাধারন ভাষা”
যে লোক সরাসরি বলে
“"কেবলমাত্র দেশপ্রেমিক জনগনের সাহায্যে দুষ্কৃতিকারীদের প্রতিহত করা যেতে পারে। ”
যে লোক সরাসরি শ্লোগান দেয়
"দুষ্কৃতিকারীরা দূর হও" "মুসলিম জাহান এক হও" "পাকিস্তানকে রক্ষা কর"। "পাকিস্তান জিন্দাবাদ, কায়েদে আযম জিন্দাবাদ।
" "পাকিস্তানের উৎস কি- লাইলাহা ইল্লাল্লাহ। " "মিথ্যা প্রচার বন্ধ কর। " "ব্রাক্ষ্মবাদ নিন্দাবাদ, সাম্রায্যবাদ মূর্দাবা”।
সে আর যাই হোক ভাষা সৈনিক হতে পারে না
দেশে আজ এক গণআন্দোলন চলছে। রাজাকার জামাত শিবিরের বিচারের দাবীতে গণ আন্দোলন,
চলছে আন্দোলন বিরোধী অপপ্রচার
জানুন দেশের ইতিহাস
ভেঙে দিন ভুল গুলো
তথ্যই হোক মুক্তির পথ
আসুন একবার সমস্বরে বলি
গ – তে গোলাম আজম
তুই রাজাকার, তুই রাজাকার
আর তথাকথিত সুশীলদের উদ্দেশ্যে
" আমি শূকরের সাথে সহবাসের ফতোয়া অস্বীকার করি "
জনৈক জারজ এসে , বইপত্র খুলে তার চশমার ডাটি ঠুকে বলে,
" এবার ঘুমাতে যাও , শুকরের সাথে সহবাস বৈধ ঘোষিত হয়েছে পার্লামেন্টে ,
এই দেখো ৩৬ বছরের পুরনো দলিল ;
জনৈক হিজড়া বুদ্ধিজীবি এসে তার উকুন ভরা চুল নাচিয়ে বলেন,
" এবার ঘুমাতে যাও শূকর তাড়ানো বাদ দিয়ে,
নয়তো রাত করে শোরগোল করার অপরাধে ,
তোমার বিচার হবে বিশেষ আদালতে ,
তোমাকে রাতের গুন্ডা তকমা লাগিয়ে,
অচিরেই করা হবে ক্রসফায়ার ।
জনৈক ব্যবসায়ী , তার ক্যালকুলেটর চেপে হিসেব কষে দেখান ,
তারপর বলেন ," এই সব শুওরের জন্মহার বড্ড বেশী ,
উৎপাদনমূখী অর্থনীতিতে তাই শুকরের নিরাপদ বংশ বিস্তার দরকার ,
আপনি এবার ঘুমাতে যান । "
একজন সুশীল , তিনি ফতোয়া দেন ,
শুকরের সাথে বসবাস হারাম বটে , তবু সেজন্য তেড়েফুড়ে আসা ,
বর্শার ডগায় খপাখপ শূকরকে গেথেঁ ফেলা , বড্ড বেশি অসংস্কৃত ।
একজন অসুশীল সমাজ বিজ্ঞানী তার গবেষনা পত্রে বলেন,
শুকরকে বর্জন করুন , আসুন আমরা শুকর বর্জন করে
ঘরে খিল এটে বসে থাকি ।
বিশ্বাস করুন বন্ধুগন ,
আমি আপনাদের সব কথা
মাথা নত করে শুনে যাই ।
আমারও নিদ্রার প্রয়োজন ,
আমারও প্রেয়সীর সাথে
একরাতে অভিসারের অভিলাষ জাগে ;
তবু , আমি এখানেই রয়ে যাবো ,
দেখাবো চূড়ান্ত গোয়ারামি ,
সবার সব কথায় অবিশ্বাস রেখে
আমি শূকরের সাথে সহবাসের ফতোয়া অস্বীকার করি ।
তোমাদের মাঝে যারা শুকর প্রেমিক ,
তারা স্ত্রী -কন্যাকে তাদের হাতে তুলে দাও গোপনে ,
চুমু খাও বরাহ ঠোটে ,
টিপে দাও জারজ শুওরের রসালো গাল ।
তবু ,
আমি আছি বর্শা হাতে নিদ্রাহীন,
বেচেঁ থাকতে এই ভূমে ,
প্রবেশাধিকার পাবে না ,
তোমাদের শূকরের পাল ।
জয় বাংলা ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।