আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আপনি কি চান??? হিন্দু-মুশরিক নিয়ন্ত্রিত ভারতের গোলামী, নাকি রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো অসম চুক্তি ????

প্রকল্প যৌথ হলেও ভারত ব্যয় করবে মোট ব্যয় ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ১৫% অর্থাৎ ভারত ১৫% এবং বাংলাদেশ ১৫% মোট ৩০% হিসেবে ৪৫০০ কোটি টাকা। বাকি ৭০% হিসেবে ৯২৪০ কোটি টাকা অর্থায়ন হবে বিভিন্ন কঠিন শর্ত এবং উচ্চ সুদের ভিত্তিতে। যে ঋণের বোঝা এবং সুদ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশকেই বহন করতে হবে। আরেকটু পরিষ্কার করে বলতে গেলে দেশের সাধারণ জনগণের রক্ত চুষে এ অর্থ পরিশোধ করতে হবে। এতে করে দেশ এবং দেশের জনগণ কি পাবে তা দেখার বিষয়।

বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৮৫% মুনাফা লুটেরা ভারত নিয়ে যাবে। অর্থাৎ ৮৫% ভারতের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। শুধু তাই নয়, ভারত যাতে তাদের ৮৫% মুনাফার পুরোটাই নিয়ে যেতে পারে সে জন্য ১০ বৎসরের কর রেয়াত সুবিধা পাবে অর্থাৎ সম্পূর্ণ করমুক্ত মুনাফা পাবে। আরো অবাক হতে হয় যে, এ সুবিধার পরও ভারতীয় বিদ্যুৎ কোম্পানী প্রাথমিক সমীক্ষায় প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ১৪ টাকা করে দাবি করে। পরবর্তীতে আরেক প্রাক সমীক্ষায় ভারতের ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কোম্পানি এনটিপিসি প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ৮ টাকা ৫৫ পয়সা হিসেবে নির্ধারণ করে।

পরে বিষয়টি মীমাংসা না হওয়ায় মূল্য নির্ধারণ সংক্রান্ত চুক্তি না করেই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি সম্পাদিত হয়। অথচ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ওরিয়ন গ্রুপের সাথে চুক্তি ভিত্তিতে দেশের মুন্সিগঞ্জের মাওয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ইউনিট প্রতি বিদ্যুৎ ৪ টাকা, খুলনার লবণ চেরার এবং চট্টগ্রামের আনোয়ারার ২টি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে মাত্র ৩ টাকা ৮০ পয়সা করে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি করে। তাহলে ৮ টাকা ৫৫ পয়সা করে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ৮৫% অর্থ, নিজ দেশে, নিজ সম্পদ ধ্বংস করে কেনার মানে কি? জনগণের প্রশ্ন রইলো সরকারের কাছে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।