ভাল কিছু লিখার প্রত্যাশায় লিখি..
ঘটনা প্রবাহঃ০১
প্রায় এক বছর আগে আমি একটা কাজে গুলিস্থান গিয়েছিলাম। ফুটপাত দিয়ে হেটে যাচ্ছিলাম পাতাল মার্কেটের দিকে। বিকালের দিকটা এমনিতেই ভিড় থাকে গুলিস্থানের দিকটা তাই ফুটপাত দিয়ে ধাক্কা ধাক্কি করে হাটতে হচ্ছিল। হঠাৎ সামনে লক্ষ করলাম লোকজন ফুটপাত থেকে রাস্তায় নেমে যাচ্ছে। আবার অনেক কে দেখলাম প্যান্টের জিপারের উপর দুই হাত রাখছে।
আমি ব্যপার টা বুঝিনি তখনো। পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি একদল হিজড়া। তারা কি করে বা করতে পারে তা তখনো আমার ধরণার বাইরে ছিল। লক্ষ করলাম তারা লাজ লজ্জার মাথা খেয়ে কয়েক জন যুবকের শরীরের যেখানে সেখানে হাত দিয়ে চাপ দিচ্ছে। এতক্ষণে আমি বুঝতে পারলাম কেন অনেকেই জিপারের উপর হাত রেখেছে।
তাৎক্ষণিক উসাইন্ট বোল্ড এর মত দিলাম এক দৌড়। পরে বুকের উপর সুরা পরে ফু দিছিলাম। সেই যাত্রায় বাইচা গেছিলাম।
ঘটনা প্রবাহঃ০২
একদিন অফিসে কয়েকজন হিজড়া শুধু দড়জা টেনে মাথাটা ঢুকিয়ে দিয়ে আমাদের মেয়ে কলিগগে বলল আপা টাকা রেডি রাখেন আমরা আইতাছি। লক্ষ করলাম কয়েকজন স্বাভাবিক মেয়েমানুষ হিজড়াদের সাথে ঘুড়ে তাদের লিড দিচ্ছে।
পরে অন্যান্য দোকান ঘুরে এসে আমাদের অফিস থেকে ২০ টাকা নিয়ে গেল। যাবার বেলা বইলা গেল এখন থেকে প্রতি মঙ্গলবার আমরা আসমু টাকা রেডি রাইখেন। আমার তো রাগে মাথা গরম, বলে কি প্রতি মঙ্গলবার ২০ টাকা এটা কি মগের মুল্লুক নাকি। কিন্তু কিছুই করার রইল না। কারণ সবাই বলল এদের ব্যবহার ভাল না তাই কাহিনী না করইরা ২০ টাকা রেডি রাখতে।
ঘটনা প্রবাহঃ ০৩
ঈদের কয়েকদিন আগের কথা। গতানুগতিক মঙ্গলবার ওরা এল কিন্তু এবার আর ২০ টাকা নিবে না তারা। কারণ ঈদ বলে কথা বনোস দিতে হবে। কি আর করার আমাদের অফিস এসিসটেন্ট ৫০ টাকা নিয়ে তাদের দিতে গেল। তারা তাও নিবে না।
আমাদের অফিস এসিসটেন্ট এর ও রাগ বেশী। কি কারণে নাকি সে বলেই ফেলেছে টাকা না নিলে থাপ্পর দিবে। এই কথা বলার দেরি আছে ওদের আক্রমণ করতে দেরি নাই। তাকায় দেখি ওরা পুরা বাহিনী নিয়ে আমাদের এসিসটেন্টকে ধাক্কা দিয়ে অফিসের ভিতর ঠেলে ঢুকাল তারপর বলতে লাগল দে তুই না থাপ্পর দিতে চাইলি একবার শরীরে হাত লাগিয়ে দেখ? আমি চেয়ার থেকে উঠে অবস্থা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলাম। কিন্তু তারা মানবে না।
অবশেষে তাদের কাছ থেকে মাফ চাইলাম আমাদের এসিসটেন্ট এর অনাকাঙ্খিত ভুলের কারণে। এর পরেও ১০০ টাকা তাদের দিলাম তাও আবার এই বলে যে এটা আমার ইফতারের টাকা অফিস থেকে এরকম কোন টাকা দেওয়া হয় না। অবশেষে উনারা চলে গেল। হাফ ছেড়ে বাচলাম। সাথে এসিসটেন্ট কে বললাম।
তুমি আমারে থাপ্পর দিতে চাইয়ো তাও হিজরারে থাপ্পর দিতে চাইও না।
হিজরা কি জিনিস বুঝলাম । তিলরে তাল বানাইয়া টাকা নিয়াই ছাড়ল। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।