আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

~_^ ^_> ফেসবুকীয় রোগ এবং এর লক্ষণ ও প্রতিকার: *_^ ^_~

অনেক কিছুতেই নাক গলাই যাহা না গলালেও পারি !! ফেসবুকের যুগে আমরা সবাই কম-বেশি ফেসবুক ম্যানিয়ায় আক্রান্ত। বিভিন্ন ফেসবুক রোগ এবং এর লক্ষণ সম্পর্কে আসুন জেনে নেওয়া যাক লাইকোসিস (likosis) লক্ষণ: চোখের সামনে ছবি কিংবা স্ট্যাটাস আসা মাত্রই লাইক বাটন ক্লিক করা। >> ( প্রতিযোগিতায় নাম দিছে -- প্রতি লাইকে পুরুস্কার এমন ভাব ) খোচাকোফোবিয়া (pOkeOfobia ) লক্ষনঃ সুন্দর কোন প্রোফাইল দেখলে অথবা প্রিয় মানুষকে সারাক্ষন খোচা দিতে থাকবে ...অপরিচিত দের দিয়ে থাকে বেশি >>( মূল উদেশ্য হইলো ফেন্ড বানানো ...... ) লাইকোফোবিয়া (likophobia) লক্ষণ: যত মজার স্ট্যাটাস কিংবা ছবিই হোক, এই রোগে আক্রান্ত রোগী তা কখনোই লাইক দেবে না। >> ( লাইক দিলে জাত যাইবো ... ) শাইএফবিমায়াসিস (shyfbmiasis) লক্ষণ: অনেক দিন পর পর ফেসবুকে লগড-ইন হবে। দুই সপ্তাহ কিংবা তিন সপ্তাহের অধিক এই সময়কাল হলে বুঝতে হবে রোগী শাইএফবিমায়াসিসে আক্রান্ত।

>> ( ভাব এমন যে যারা এই সামাজিক যোগাযোগ ব্যবহার করে তারা রোগি -- নিজেকে জ্ঞানের চুড়ায় তুলে হু ) চ্যাটোফোবিয়া (chatophobia) লক্ষণ: এ ধরনের রোগী কখনোই অনলাইন হবে না। যদিও কালেভদ্রে অনলাইন হয়, তা-ও কেউ নক করলেই আবার অফলাইনে চলে যায়। >> ( লজ্জ্বা শরম ফেইসবুকেও নিয়া এসেছে --অথবা আব্রু দিয়ে রাখে ফেইসবুকে বোরখা পড়িয়ে রাখছে ) অনলাইনোমায়াসিস (onlineomiasis) লক্ষণ: এ ধরনের রোগীকে সব সময় অনলাইনে পাওয়া যায়। হোক তা মোবাইল থেকে অথবা কম্পিউটার। >> ( কাম কাজ নাই তাই খই ভাজ টাইপের টিনএজ এর লক্ষন ) ট্যাগ সিনড্রোম (tag syndrome) লক্ষণ: এই রোগাক্রান্ত রোগী দিনে একাধিক ছবি আপলোড করে সবাইকে ট্যাগ দিয়ে থাকে।

লাইক পাক বা না পাক, এ নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই। >>( বিশ্ব সুন্দর বিশ্ব সুন্দরী খেতাব মনে হয় জুয়ার্গ বার্গ ফেইসবুকে চালু করেছে এমন মনোভাব ) স্যাডসিনড্রোম (sadsyndrome) লক্ষণ: এ ধরনের রোগী সারা দিন ফেসবুকে দুঃখের কবিতা কিংবা আই হেট লাভ টাইপ স্ট্যাটাস দেয়। >> (সম্প্রতিক রিফিউজ খেয়েছে অথবা প্রেম এর দেখা পায় নাই জীবনে তাই বিদ্রোহী হিসাবে পরিচয় দিতে ব্যাস্ত থাকে ) রিকোয়েস্ট সিনড্রোম (requestsyndrome) লক্ষণ: এই রোগে আক্রান্ত রোগী যাকে সামনে পায় তাকেই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায়। হোক সে ছেলে কিংবা মেয়ে। >>( আর যাই পারুক না পারুক ফেইসবুকে বিশ্ব রেকর্ড গড়ায় মোনভাব ) কমেন্টটোলারিয়া (commentolaria) লক্ষণ: এই রোগাক্রান্ত রোগী সব পোস্টেই অসাম, সুপারব, ওয়াও টাইপ কমেন্ট করতে ব্যস্ত।

>>( তেল মারা টাইপের হয়ে থাকে ...... মোটামোটি পিক উপলোড করলেও বিশ্বসুন্দরী বানিয়ে দেয় ) রাবিশথোসিস (rubbisthosis) লক্ষণ: এ ধরনের রোগীর কাছে পৃথিবীর সবকিছুই রাবিশ, অর্থহীন আর নেগেটিভ। >> ( ছ্যাকাঁ খাওয়ার পরে যেমন হয় এইটা ছেলে মেয়ের উভয়ের জন্য প্রযোজ্য ) পোস্টলিও (postlio) লক্ষণ: পোস্টলিও রোগে আক্রান্ত রোগীর লক্ষণ হচ্ছে, মেয়েদের ওয়ালে কবিতা ও সুন্দর সুন্দর ছবি পোস্ট করা। >>(সুন্দর মেয়ে দেখলেই হলো -- সব পাগল পাড়া হইয়া যায় অবশ্য বেশির ভাগ ধরা খায় ) এডিক্টটোমায়োলজি (Addictomiology) লক্ষণ: এই রোগে আক্রান্ত রোগীর ফেসবুকের চিন্তায় ঘুম আসে না। চব্বিশ ঘণ্টাই এরা ফেসবুক নিয়ে পড়ে থাকে। >>(নতুন প্রেমে পড়েছে এমন অবস্থা হয়ে থাকে ) স্ট্যাটিওলাইসিস (statiolysis) লক্ষণ: এই রোগে আক্রান্ত রোগী দিনে অজস্রবার স্ট্যাটাস আপডেট করে হোম পেজ ভরিয়ে রাখে।

>> ( গুড মোরিং টাইপের স্ট্যাটাস -- মনমালিন্য হলে ছেলেরাও করে থাকে ) ডি-অ্যাক্টিবেসিস (deactibasis) লক্ষণ: ঘন ঘন আইডি ডি-অ্যাক্টিভেট করা এদের প্রধান বৈশিষ্ট্য। >>(এটা অবশ্য মেয়েদের বেশি হয়ে থাকে ) প্রতিকার: কমপক্ষে সাত দিন ফেসবুক থেকে দূরে থাকা। এবং মস্তিষ্ক রিফ্রেশ করা। এতেও কাজ না হলে প্রতিটি রোগের অ্যান্টি রোগ ফলো করা।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।