বাংলাদেশের ফলের পরিচিতঃ
কাঁঠাল
ইংরেজি নামঃ Jackfruit
বৈজ্ঞানিক নামঃ Artocarpus heterophyllus
জাতঃ বারি কাঁঠাল- ১ এ ছাড়া কোষের বৈশিষ্ঠ্য অনুসারে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। তাহলোৎ খাজা, আদরাসা ও গালা।
পুষ্টিগুনঃ কাঁঠালে প্রচুর শর্করা, আমিষ ও ক্যারেটিন রয়েছে।
ওষুধিগুনঃ কাঁঠালের শাঁস ও বীজকে চীন দেশে বলবর্ধক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কাঁঠালের পোড়া পাতার ছাইয়ের সাথে ভুট্টা ও নারিকেলের খোসা একত্রে পুড়িয়ে নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে ঘা বা ক্ষত স্থানে ব্যবহার করলে ঘা শুকিয়ে যায়।
শিকড়ের রস জ্বর এবং পাতলা পায়খানা নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়।
উৎপাদন এলাকাঃ বাংলাদেশের সব জেলাতেই চাষ হয়। তবে ঢাকা, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, নরসিংদী, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, রংপুর, রাংঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি উল্লেখযোগ্য। পার্বত্য চট্টগ্রাম, মৌলবীবাজার, বিবাড়িয়া এবং আমাদের বরিশালেও প্রচুর পাওয়া যায়।
ব্যবহারঃ কাঁচা ফল তরকারি, পাকলে ফল হিসেবে এবং বীজ ময়দা ও তরকারি হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
ভোতা ও মোথা গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়।
বিঃদ্রঃ কাঁঠালের বিচি দিয়ে গরুর মাংস অনেকেই পচ্ছন্দ করেন।
আম
ইংরেজি নামঃ Mango
বৈজ্ঞানিক নামঃ Mangifera indica
জাতঃ
গোপালভোগ, ল্যাংড়া, খিরসাপাত, হিমসাগর, ফজলি, বারি আম-১,২,৩ (আম্রপালি), বারি আম-৪(হাইব্রিড), বাউ আম-১ থেকে ১০।
পুষ্টিমানঃ আমে প্রচুর ভিটামিন, ক্যারোটিন, ভিটামিন সি ও ক্যালোরি রয়েছে।
ওষুধিগুনঃ আয়ুর্বেদীয় ও ইউনানী পদ্ধতির চিকিৎসায় পাকা ফল ল্যাকজেটিভ, রোচক ও টনিকরূপে ব্যবহৃত হয়।
আম লিভার বা যকৃতের জন্য উপকারী। রাতকানা ও অন্ধত্ব প্রতিরোধে পাকা আম এমনকি কাঁচা আম মহৌষধ। রক্ত পড়া বন্ধকরণে আমগাছের বিভিন্ন অঙ্গের রস উপকারী, কচি পাতার রস দাঁতের ব্যথা উপশমকারী, আমের শুকনো মুকুল পাতলা পায়খানা, পুরাতন আমাশয় এবং প্রস্রাবের জ্বালাযন্ত্রণা উপশম করে। গাছের আঠা পায়ের ফাটা ও চর্মরোগে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়। জ্বর, বুকের ব্যাথা, বহুমুত্র রোগের জন্য আম পাতার চুর্ণ ব্যবহৃত হয়।
উৎপাদন এলাকাঃ বাংলাদেশের সর্বত্র উৎপাদন হয়। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর, দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর যশোর, সাতক্ষীরা, ঠাকুরগাঁ ও রংপুর জেলাতে ভালো জন্মে।
ব্যবহারঃ আম থেকে চাটনি, আচার, আমসত্ত্ব, মোরব্বা, জেলি ও জুস তৈরী হয়।
তথ্য সংগ্রহঃ বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রণালয়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।