ামার ভালোবাশা এটি আমার প্রথম লেখা.। জানি আপনাদের কাছে এটি নিতান্ত একটি অখাদ্য ছাড়া কিছুই নয়, তবুও পোস্ট করলাম.। ক্ষমা চাই...
মানুষ হিসেবে ছোট বেলা থেকেই আমি নিরুত্বাপ। ২০০৪ সালে বাবা মারা যাবার পর থেকে অভাব জিনিশটাকে আমি মোটামোটি কাছ থেকেই দেখেছি। আত্মীয়দের কাছ থেকে টাকা পয়সা সাহায্য নিয়ে কোন ভাবে এইচ এস সি টা পাস করার পর বুক ভরা আশা নিয়ে ধানমন্ডির এক নামকরা প্রাইভেট কলেজ এ বিবিএ ভর্তি হই।
সেখানে আমার পরিচয় হয় আমার ভালো অর্ধেক (মাই বেটার হাফ) এর সাথে। ধীরে ধীরে সম্পর্ক আরো গভীর হয়ে উঠতে লাগলো। বয়স কম হলে যা হয় আরকি। কোন সুন্দর মেয়ে মুখ তুলে চাইলে মনে হয় মেয়ে বুঝি হাবুডুবু খাচ্ছে। আমিও তাই ভেবে নিয়ে একদিন এক বন্ধুর কাছ থেকে মোটর সাইকেল ধার করে খুব একটা ভাব নিয়ে গেলাম সুন্দরী কে চমকে দিতে।
ঘটনা চক্রে আমার এক খুব ঘনিষ্ঠ কিন্ত প্রাক্তন বন্ধু আবার সেই সুন্দরির এক ক্লাস মেট এর প্রেমিক। যেভাবেই হোক, এটুকু যেনে রাখুন, দুর্ঘটনার পেছনে এই চরিত্র যুগলের ভুমিকা অসামান্য। আমি সুস্থ অবস্থায় বাসায় ফিরতে পারলাম না। সরকারি পঙ্গু হাসপাতাল এ যাবার পর আমি লক্ষ্য করলাম আমার কয়েকটি দাত নেই। যদিও তার আগেই আবিষ্ক্রিত হয়েছিল আমার বেটার হাফ এর লেফট ফিমার তিন টুকরায় পরিনত হয়েছে।
আমি নিজেকে কোনভাবে ক্ষমা করে সাময়িক সেবা নিয়ে বাসায় ফিরে এলাম। কিন্তু ওকে রেখে এলাম পুরো ২৪ দিন এর জন্য। যার ১৯ দিন এর মাথায় একটি ছোট লোহার দন্ড হাড় এর মধ্যে পিটিয়ে গেথে দেয়া হয় যা আজ ৬ বছর ধরে ও মাংশের ভেতর বয়ে বেরাচ্ছে। আর আমি..... আমি লেখাপড়া শেষ করার চেস্টা করেছি মাত্র। আজ কোনভাবে একটা চাকুরি করার চেস্টা করছি।
সেই বেটার হাফ এখনো আমার বেটার হাফ হয়ে আছে কিন্তু আজ আমার মনে হচ্ছে আমি তার বেটার হাফ হতে পারি নি। কিন্তু বিশ্বাস করুন আমি তাকে ভালবাসি.। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।