কাঁদছো !! কান্নাতে তোমাকে দারুণ দেখায় ! ক'দিন ধরে ভাবলাম। একটা কবিতা লিখবো। দারুন কিছু শব্দ নিয়ে। শুধু শুধু ভালোবাসা নিয়ে নয়, কিছু স্বপ্ন, কিছু দু:খ, সব কিছু মিলিয়ে দারুন কোন একটা কবিতা। সেই পুরানো রাস্তা ধরে হাঁটতে কবিতা, সরু রাস্তার শেষ মাথা পৌছে যাওয়া অব্দি কিছু লেখার চেষ্টা।
অনেক ভাবলাম, একবার নয় গোটা অষ্টম ভাবনা শেষে ক্লান্ত হলাম। নাহ! আজ হচ্ছে না কোন কবিতা। দুঃখিত কবিতা। আজ তোর দিন ছিল না। তাও পুরানো ভাত বাড়ে সেই রকম ভাবনা ভেবে পুরানো একটা প্রিয় কবিতাকে নিয়ে আপতত দিনপাত করি।
মায়া মাটির শেকড়
পঁচিশ বছরের মায়া মাটির বুকের
নিজের শেকড় উপড়িয়ে দিয়ে
যাচ্ছি চলে ;
পেছনে
স্রেফ স্মৃতির অলিগলি;
স্কুল বন্ধুর কাঁধে হাত রেখে
ফেরার পথে হেঁটে চলা,
বিকালের রোদে ছুটে যাই
যতদূর দেখা যায় আকাশের সীমানা।
সন্ধ্যায় মসজিদের ইমামের গম্ভীর কন্ঠে ঘর ফেরার ডাক,
বিশাল বৃক্ষের ছায়ায় বেঞ্চে
সীমাহীন আড্ডা।
শুধু সঙ্গে থেকে যাওয়া
হাওয়ায় হাওয়ায় অনেকগুলো
প্রিয় গন্ধ ভাসে ;
বৃষ্টির শেষে ভেজা মাটির,
বুনো লেবুর,
পোড়া খড়ের,
মায়ের সাদা শাড়িতে হলুদের ।
দু’একজন অশ্রু সজলে বলে,
“তুই মায়া ফেলে চলে যাচ্ছিস?”
আমি হেসে বলি, ‘মায়া’, শব্দটা
আমার কাছে এখন
নিছক ছেলেমানুষী ”।
স্রেফ অতীতে মায়ার তোড়ে;
ভেসে গেছি বহুবার,
মাটির মায়ায় দূর দেশের সোনার হাতছানিতে মন টেকে নি।
ভালবাসার নারীর মায়ায়
কষ্ট পুষেছি বছরের পর বছর,
স্বপ্নের মায়ায় হাল খাতা খুলে চোখের জলে হিসেব নিকেষ,
নতুন করে স্বপ্নভঙ্গের শংকায়
ভয় পেয়েছি নতুন স্বপ্নের স্পন্দনে।
পুরানো ভারী পাথরের কষ্টটা
এতটাই জাকিয়ে বসেছিল
দুম করে মরে যাওয়ার
ইচ্ছে ছিল প্রবল।
আর এখন ‘মায়া’ বিলুপ্ত প্রায়।
আজ আমি এক নতুন সূর্যদয়ের গল্প
আর পেছনে
সেই পুরানো মায়া
আর উপড়ানো শেকড় বাঁকড়।
(০১.০৮.০৪)
২৪ই আগষ্ট, ২০১২
--------------------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজক্টে ৭২/৩৬৫
পুরাতন লেখালেখিগুলো ht ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।