[ কোরআন পাকের সুরা রা’দ,আয়াতঃ২৮, সুরা যুখ রুপ,আয়াতঃ৩৬, সুরা আহযাব,আয়াতঃ৪১-৪২, সুরা আরাফ,আয়াতঃ২০৫, সুরা আল ইমরান,আয়াতঃ ১৯১, উল্লেখিত আয়াতগুলিতে সর্বঅবস্থায় জিকির করনের নির্দেশ সুচক ব্যাখ্যায় তফসীরে খোলাছা, তফসীরে কবির, তফসীরে মাযহারী, তফসীরে জামিউল উছুল, তফসীরে রুহুল বয়ানে, ক্বলবি জিকিরের কথাই উল্লেখ করা হয়েছে। হযরত ইবনে মালেক(রঃ) বলেছেন “দান খয়রাত ও জিহাদ হতে জিকিরের দ্বারা অধিক পুন্য অর্জিত হয়।
হাদিছ শরীফে আছে “শয়তান আদম সন্তানের কলবের উপর বসে, যখন সে আল্লাহপাকের জিকির করে, তখন শয়তান পালিয়ে যায়। আর যখন সে জিকির থেকে অমনোযুগী হয় তখন শয়তান তাঁকে ওয়াসওয়াসা দেয়”। সুতারাং সর্বঅবস্থায় নিজের কলবকে শয়তানের ধোঁকা থেকে রক্ষা করার জন্য তথা নিজের কলবে জিকির জারী রাখার জন্যে,একজন মানুষের পক্ষে দিন রাত ২৪ ঘণ্টা মৌখিক জিকির করা কি সম্ভব?
আর সেই জিকির কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের প্রতিটি মুরিদের কলবে সর্বঅবস্থায় জারী রয়েছে।
(যে জিকির বা নুর হুজুরপাক(সঃ)এর সিনা মোবারক থেকে শেরে খোদা হযরত আলী(রাঃ) এর সিনা মোবারকের মাধ্যমে প্রাপ্ত। ) যা তারা নিজেরা অনুভব করতে পারে। আর তাইতো সন্ত্রাস ও অসামাজিক কার্যকলাপের জগত থেকে ফিরে আসা হাজার হাজার যুবক কাগতিয়ার মহান মোর্শেদ হযরত শায়খ গাউছুল আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী ছাহেব এর বক্ষ মোবারক নিঃসৃত তাওয়াজ্জুহ, নূর বা জিকিরের সংযোগ পেয়ে নবীজির পবিত্র আদর্শের যোগ্যতম রূহানী সৈনিকে পরিণত হচ্ছে। বিপদগামী যুবকদের চলমান জীবনের ধারা পাল্টিয়ে দিয়ে কলবে ঈমানি জোয়ার এনে দিতে পারে এ সিলসিলা। কারন তাঁদের কলবি জিকির জারী আছে বলে, মোরাকাবা বা ধ্যান ও কোরআন ফয়েজের মতো দুর্লভ বৈশিষ্ট্য আছে বলে, শয়তান তাঁদের কলবে ওয়াসওয়াসা দিতে পারেনা।
যার ফলে,পাপ কাজ থেকে বিরত থাকার একটি উপযুক্ত পরিবেশ তৈরী হয় এবং অতি সহজে, স্বল্প সময়ের ব্যবধানে তারা আল্লাহপাক ও হুজুরপাক(সঃ) এর অনুসারী হয়ে উঠে। ওই কলবি জিকিরের নূর তাদেরকে সর্বদা ভালো কাজের নির্দেশ দিয়ে থাকে।
তফসীরে রুহুল বয়ানে,আছে “মারেফাতের নূরে যখন কলব নুরান্নিত হয়ে উঠে,তখন আগুনের তৈরী শয়তান ওয়াসওয়াসা দিতে তাঁর নিকট আসতে পারেনা। আর তাইতো কাগতিয়া সিলসিলার যুবক মুরীদের মাঝে মিসওয়াক,ঢিলা,দাডি, এ সমস্ত সুন্নাতের প্রচলন দেখা যায়, যা বর্তমান যুগের অনেক আলেমদের মধ্যেও দেখা যায়না।
মূল কথা যে কোন এবাদত কবুল হওয়ার প্রথম ও প্রধান শর্ত হল কলবের প্রবিত্রতা অর্জন।
মহান আল্লাহপাক এরশাদ করেন “কেয়ামতের দিন ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি কোন কাজে আসবেনা, একমাত্র কলবে সলিম বা পরিশুদ্দ অন্তর ব্যতীত”(সুরা- শুয়ারাঃ ৮৮-৮৯)। তাই আমাদের আজ প্রয়োজন, মহান আল্লাহর দরবারে এবাদত বন্দেগী কবুল করানোর জন্যে কলব তথা অন্তরকে পরিশুদ্দ বা প্রবিত্রতা করা। হুজুরপাক(সঃ) বলেছেন “প্রত্যেক জিনিষ পরিষ্কার যন্ত্র আছে,আর কলব বা অন্তর পরিষ্কার যন্ত্র হচ্ছে আল্লাহপাকের জিকির(কলবি জিকির)”(বায়হাকী,মেশকাত,মেরকাত)।
(চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।