মনডা কয়, কুপায়া সব কিছু ভাজ ভাজ কইরা হালাই ১.
এক সরকারি অফিসে দারুণ কাজের চাপ। দুই সহকর্মী ছুটি তো দূরে থাক, সারাদিন দম ফেলার সুযোগ পায় না।
একদিন একজন আরেকজনকে বললো, আমি জানি কিভাবে ছুটি আদায় করতে হয়।
অন্যজন জানতে চাইলো, কিভাবে?
প্রথমজন এদিক ওদিক তাকালো। দেখলো তাদের ডিপার্টমেন্টের প্রধানের কোন দেখা নেই।
সে টেবিলে লাফ দিয়ে উঠে ছাদের কয়েকটা টাইলস খুলে ফেললো। সামান্য সিমেন্ট খুড়তেই সিমেন্ট আর রড দেখা গেলো। বারান্দায় ডিপার্টমেন্ট প্রধানের আওয়াজ শুনে সে রড ধরে ঝুলে পড়লো।
রুমে ঢুকে প্রধান তো অবাক। তিনি জানতে চাইলেন, এখানে কি হচ্ছে?
ঝুলতে থাকা কর্মচারী জবাব দিলো, আমি একটা বাল্ব।
প্রধান বললো, আমার মনে হয় তোমার ছুটি নেয়া উচিত। তোমাকে এখন থেকে ছুটি দেয়া হলো, ২ দিনের আগে যেন তোমার ছায়া দেখা না যায়.... এটা আমার অর্ডার।
ইয়েস স্যার - বলে ছাদ থেকে নেমে বাইরে চলে গেলো প্রথম কর্মচারী।
দ্বিতীয়জনও বাইরে হাঁটা ধরলো। প্রধান তাকে থামালো, তুমি কোথায় যাচ্ছো শুনি?
দ্বিতীয়জন বললো, বাড়িতে।
বাল্ব ছাড়া অন্ধকারে কিভাবে কাজ করবো?
২.
কিছু অত্যন্ত ধনী লোকের জীবনযাপন কে আমরা শৈখিনতা বলি। আসলে তা যে কি বিরক্তিকর তাই দেখুন।
প্রশ্নঃ কি পান করবেন? ফলের জুস, চা, কফি, মিল্ক সেক, সোডা, কোল্ড ড্রিংক?
উত্তরঃ না ধন্যবাদ, শুধু চা।
প্রশ্নঃ সিলন চা, লাল চা, গ্রীন টি, হারবাল টি, আইস টি, নাকি হানি টি?
উত্তরঃ সিলন চা।
প্রশ্নঃ কোনটা? ব্লাক না হোয়াইট?
উত্তরঃ হোয়াইট
প্রশ্নঃ দুধ, কন্ডেন্স মিল্ক নাকি হোয়াইটনার?
উত্তরঃ দুধ।
প্রশ্নঃ ছাগলের, গরুর নাকি ঊটের?
উত্তরঃ গরুর দুধ দেন।
প্রশ্নঃ আফ্রিকান গরু নাকি দেশি গরুর?
উত্তরঃ দেশি।
প্রশ্নঃ ঠান্ডা নাকি গরম?
উত্তরঃ গরম।
প্রশ্নঃ ফুল ক্রিম, লো ফ্যাট নাকি ফ্যাট ফ্রি?
উত্তরঃ থাক লাগবে না, আপনি বরং হোয়াইট টি ই দিন।
প্রশ্নঃ মিষ্টি হিসেবে কি খাবেন, চিনি, সুইটনার নাকি মধু?
উত্তরঃ চিনি দিন।
প্রশ্নঃ আখের চিনি নাকি বিট সুগার?
উত্তরঃ আখের চিনি।
প্রশ্নঃ চিকন দানার নাকি মোটা দানার?
উত্তরঃ আচ্ছা বাদ দেন আমার কিছু লাগবে না। শুধু এক গ্লাস পানি দেন।
প্রশ্নঃ মিনারেল নাকি নরমাল?
উত্তরঃ মিনারেল
প্রশ্নঃ বোতলের নাকি ক্যান এর?
উত্তরঃ থাক কিছুই লাগবে না। আমি যাই।
৩.
ভ্যালেন্টাইন ডে'তে এক তরুণী গেল আর্চি শপে।
আমাকে একটা ভালো কার্ড দেখান তো।
নিশ্চয়ই বয়ফ্রেন্ডের জন্য?
ঠিক ধরেছেন।
এটা দেখুন তো।
তরুণীটি কার্ডটি হাতে নিয়ে দেখে তাতে লেখা- 'প্রিয়তম, এই দিনে আমার এ হৃদয় সবটাই তোমার জন্য' কার্ডটা তরুণীটির খুব পছন্দ হলো।
হ্যা, এটাই দিন।
দোকানদার একটা কার্ড সুন্দর করে প্যাকেট করে বাড়িয়ে দিল তরুণীটির দিকে। এবার তরুণীটি বিরক্ত হয়ে বলল, একটা না, এক ডজন কার্ড দিন।
৪.
এক আর্টিস্ট গ্যালারির মালিকের কাছে জানতে চাইলো তার কোন ছবি বিক্রি হয়েছে কী না। মালিক একটু ইতস্তত করে বললো, একটা ভালো খবর আছে আরেকটা খারাপ খবর আছে।
- ভালো খবরটা হলো, এক ব্যক্তি তোমার ছবিগুলো সম্পর্কে জানতে চাইছিলেন, তোমার মৃত্যুর পর সেগুলোর মূল্য বাড়বে কী না। আমি বলেছি হ্যাঁ। তখন তিনি সবগুলো ছবি কিনে নিয়েছেন।
- আর খারাপ খবর কী? আর্টিস্ট জানতে চাইলো।
- যে তোমার ছবিগুলো কিনেছে সে তোমার ডাক্তার।
৫.
মৃত্যুর আগে এক ব্যক্তি তার ডাক্তার, পাদ্রী আর আইনজীবীকে বললো, আমার বালিশের নিচে ৯০,০০০ ডলার আছে। আমি চাই আমার মৃত্যুর পর তোমরা প্রত্যেকে ৩০,০০০ ডলার করে কবরে রেখে দিবে। বলেই লোকটি মারা গেলো।
যথারীতি কবর দেয়ার পর পাদ্রী বাকি দু'জনকে বললো, গীর্জার প্রয়োজনে আমার ১০,০০০ ডলার প্রয়োজন ছিলো। তাই আমি কবরে ২০,০০০ ডলার রেখেছি।
ডাক্তার বললো, হাসপাতালের যন্ত্রপাতি কেনা বাবদ আমার ২০,০০০ ডলার দরকার ছিলো। তাই আমি কবরে ১০,০০০ ডলার রেখেছি।
ল'ইয়ার তাদের কথাবার্তা শুনে অবাক। বললো, তোমরা একটা মৃত ব্যক্তির শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে গিয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থ দেখলে? আমি তো আমার দায়িত্ব পালন করেছি। পুরো ৩০,০০০ ডলারের চেক কবরে রেখে দিয়েছি।
এক পয়সাও ঠকাইনি।
৬.
বব আর জো প্রতিবেশী। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মাঝে ঝগড়া। বব জো-কে শিক্ষা দেয়ার জন্য একটা কুকুর কিনে আনলো আর তাকে ট্রেনিং দিলো কিভাবে জো-এর বাড়িতে গিয়ে বাথরুম করতে হবে। এমনটা এক বছর চললো কিন্তু জো টুঁ শব্দটি করলো না।
বব এবার একটা গরু কিনে আনলো আর তাকে ট্রেনিং দিলো কিভাবে জো-এর বাড়িতে আর উঠানে বাথরুম করতে হবে। এমনটা এক বছর চললো, গরুটা জো-এর বাড়িঘর দুর্গন্ধময় করে দিলো। কিন্তু জো টুঁ শব্দটি করলো না।
একদিন সকালে আওয়াজ শুনে বব বাইরে এসে দেখলো একটা ১৮ চাকার ট্রাক তার উঠানের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে।
- কি হচ্ছে এসব? জানতে চাইলো বব।
- ট্রাক এ আমার নতুন পোষা হাতি। জো উত্তর দিলো।
৭.
এক লোক মরুভূমিতে পথ হারিয়ে হাঁটছিলো। তৃষ্ণায় তার প্রাণ যায় যায় অবস্থা। এমন সময় সে ব্যাগ নিয়ে এক লোককে গাছের নিচে বসে থাকতে দেখলো।
- আমাকে একটু পানির সন্ধান দিতে পারবে? জানতে চাইল লোকটি।
- হ্যাঁ, যদি তুমি আমার কাছ থেকে একটা টাই কেনো যার দাম ৫০ ডলার।
রেগেমেগে তৃষ্ণার্ত লোকটি বললো, তোমার অমন উল্টাপাল্টা দামের টাই আমার দরকার নেই। পানির খবর বলো নইলে তোমার খবর আছে।
টাইওয়ালা বললো, ঠিক আছে।
বলছি। এখান থেকে পাঁচ কিলোমিটার পশ্চিমে গেলে সুন্দর একটা হোটেল দেখতে পাবে। সেখানে ঠান্ডা পানি পাওয়া যায়। আমার ভাই ওই জায়গার মালিক।
লোকটি পশ্চিমে রওনা হবার পর কয়েক ঘন্টা কেটে গেলো।
এরপর আবার টাইওয়ালার কাছে ফিরে এলো সে।
- হোটেলের মালিক তোর ভাই আরেক হারামজাদা, টাই ছাড়া নাকি আমাকে ওখানে ঢুকতে দিবে না।
৮.
ডাক্তার: আপনার জন্য একটা দু:সংবাদ আছে।
রোগী: বলুন ডক্টর।
ডাক্তার: আপনি শীঘ্রই মারা যাবেন।
রোগী: আমার হাতে কেমন সময় আছে?
ডাক্তার: দশ...
রোগী: দশ কি? মাস, সপ্তাহ, নাকি দিন?
ডাক্তার: নয়।
রোগী: মানে?
ডাক্তার: আট.... সাত..... ছয়....।
৯.
প্রিয় মকবুল,
তুমি এনগেজমেন্ট ভেঙে চলে যাবার পর থেকে আমার মন খুব খারাপ। তোমাকে ছাড়া আমার এক মুহূর্তও চলতে চায় না। তোমাকে ছাড়া অন্য কোন ছেলেকে ভালোবাসার কথা আমি চিন্তাই করতে পারি না।
তুমি আমার শয়নে-স্বপনে, দিবসে রজনীতে। যা হবার হয়ে গেছে, আমরা কি আবার নতুন করে শুরু করতে পারি না?
তোমারই প্রিয়
জরিনা,
পুনশ্চ: ক্রীড়া উন্নয়ন লটারির প্রথম পুরষ্কার জেতায় অভিনন্দন।
১০.
ময়দানে সৈন্যদের খোঁজ নিতে গিয়ে জেনারেল বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করলেন একজন সৈন্যও উপস্থিত নেই। কিছুক্ষণ পর হাঁপাতে হাঁপাতে এক সৈন্যে এসে হাজির।
- কি কারণে দেরি হলো? জেনারেল জানতে চাইলো।
- স্যার, ডেট- এ গিয়ে দেরি হয়ে গেছে। আসার পথে শেষ বাসটাও ধরতে পারলাম না, ট্যাক্সি ক্যাবকে থামতে বললাম, থামলো না, একটা ফার্মে গিয়ে একটা ঘোড়া কিনে রওনা দিলাম, মাঝপথে সেটা মারা গেলো। এরপর বাকি ১০ কিলোমিটার দৌড়াতে দৌড়াতে এসেছি।
অজুহাতটা জেনারেলের মনো:পুত হলো না। তারপরও যেহেতু সে এসেছে তাই তাকে ছেড়ে দিলেন।
এরপর আরো আটজন সৈন্য হাঁপাতে হাঁপাতে এলো।
- কি কারণে দেরি হলো? জেনারেল জানতে চাইলো।
- স্যার, ডেট- এ গিয়ে দেরি হয়ে গেছে। আসার পথে শেষ বাসটাও ধরতে পারলাম না, ট্যাক্সি ক্যাবকে থামতে বললাম, থামলো না, একটা ফার্মে গিয়ে একটা ঘোড়া কিনে রওনা দিলাম, মাঝপথে সেটা মারা গেলো। এরপর বাকি ১০ কিলোমিটার দৌড়াতে দৌড়াতে এসেছি।
সবাই এই অজুহাত দিলো।
জেনারেল তাদের অজুহাতে ভারি সন্দিহান হয়ে পড়লেন। কিন্তু যেহেতু এই অজুহাতের কারণে প্রথম জনকে ছেড়ে দিয়েছেন তাই তিনি তাদেরকেও ছেড়ে দিলেন।
একটু পর আরেক সৈন্য হাঁপাতে হাঁপাতে এলো।
- কি কারণে দেরি হলো? জেনারেল জানতে চাইলো।
- স্যার, ডেট- এ গিয়ে দেরি হয়ে গেছে। আসার পথে শেষ বাসটাও ধরতে পারলাম না, ট্যাক্সি ক্যাবকে থামতে বললাম .....
- বাকিটা আমি বলি। তুমি ট্যাক্সিকে থামতে বললে, সেটা থামলো না। তারপর তুমি একটা ঘোড়া কিনলে....।
- না স্যার, আমি ট্যাক্সি পেয়েছি ঠিকই।
কিন্তু একটু দূরে গিয়ে দেখি রাস্তায় অনেক মরা ঘোড়া পড়ে আছে। সেগুলোকে পাশ কাটিয়ে আসতে আসতেই দেরি হয়ে গেলো।
(সংগৃহীত)
পর্বঃ০১
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।