থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি। বাংলাদেশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে গত বছর ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে একটি গবেষণা পরিচালনা করে ইন্টারন্যাশনাল রোড অ্যাসেসমেন্ট প্রোগ্রাম (ইরাপ)। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, নকশা ও রক্ষণাবেক্ষণের ত্রুটির কারণে সড়কে হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে।
খুব ছোট্ট একটা হিসাব।
যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী দৈনিক গার্ডিয়ানের এই ফলাফলের উপরে এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
তাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর অন্তত ৪ হাজার লোকের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় ক্ষতির এই হার পৃথিবীর সর্বোচ্চ।
প্রতি ১০ হাজার নিবন্ধিত গাড়িতে দুর্ঘটনায় অন্তত ৮৫ জন লোক মারা যায়।
এই হার পশ্চিমা দেশগুলোর তুলনায় ৫০ গুণেরও বেশি।
সড়ক দুর্ঘটনায় গরিব পরিবারগুলোই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপরও ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করে সড়ক দুর্ঘটনা।
আরো মজার তথ্য হল, বাংলাদেশ প্রতি বছর যে পরিমাণ বৈদেশিক সাহায্য পেয়ে থাকে, সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় সেই পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়। সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের কারণে বাংলাদেশের জিডিপির ২% ক্ষতি হয়, বাংলাদেশী টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ১৫ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা।
প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ব্যয়, যেমন চিকিত্সা ব্যয়, বীমা ব্যয়, সম্পদের ক্ষতি, পরিবারের আয়ের ক্ষতি ও ট্রাফিক জ্যামের কারণে সৃষ্ট ক্ষতি এই হিসাবের অন্তর্ভুক্ত।
এরপরেও বলা হচ্ছে আমাদের সড়কে কোনই সমস্যা নেই।
কতবড় বেকুব এই সরকার, কি পরিমাণ গাফিলতি তার করছে এই সড়ক পরিবহন খাতে।
তাই অতি দ্রুত নিরাপদ সড়ক আন্দোলন জোরদার করা উচিত। বাণী-বর্ষনকারী মন্ত্রী না, একজন দক্ষ মন্ত্রী প্রয়োজন এই খাতটিকে মেরামত করার জন্যা।
[ সূত্রঃ Click This Link এবং Click This Link ] ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।