I am great; tell it others খালেদা-নিজামীর প্রত্যক্ষ মদদ!
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ত্রিশ বছর পরে সেই আগস্ট মাসেই আবারও গণহত্যার ঘটনা ঘটে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের পরিকল্পিত গ্রেনেড হামলা ছিল বিএনপি-জামাত জোট তথা খালেদা-নিজামীর নীল নকশা আর জঙ্গীবাদ উত্থানের ভয়ঙ্কর দৃষ্টান্ত। সেদিন বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ প্রায় তিন’শর বেশি নেতা-কর্মী গুরুতর আহত হন; নিহত হন আওয়ামী মহিলা লীগের নেতা ও বর্তমান রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী আইভি রহমানসহ ২৪ জন। বিশ্ব জুড়ে তোলপাড় করা গ্রেনেড হামলার সেই ঘটনার ভয়াবহতা আমাদের হতবাক করে দিয়েছিল। পরের বছর ঠিক একই মাসের ১৭ তারিখে দেশের ৬৩ জেলায় একযোগে পাঁচ শতাধিক বোমা বিস্ফোরণ ও নিহত মানুষের স্বজনদের আর্তনাদ এবং আহত মানুষের কান্নায় আমাদের মনে ক্ষোভ ও ঘৃণা আরও তীব্র হয়ে উঠেছিল।
কিন্তু বোমা হামলার ভয়ঙ্কর ঘটনাগুলো শুরু হয়েছিল তারও আগে থেকে। ১৯৯৯ সালের ৬ মার্চ যশোরের টাউন হল মাঠে উদীচীর সমাবেশে এক বোমা হামলায় নিহত হয় ১০ জন। একই বছর ৮ অক্টোবর খুলনার নিরালা এলাকায় অবস্থিত কাদিয়ানীদের উপাসনালয়ে বোমা বিস্ফোরণে ৮ জন নিহত হয়। ২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি ঢাকার পল্টন ময়দানে সিপিবি’র মহাসমাবেশে বোমা হামলায় ৬ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হয়। ১৪ এপ্রিল রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ উৎসবে সংঘটিত বোমা বিস্ফোরণে নিহত হয় ১১ জন।
৩ জুন বোমা হামলায় গোপালগঞ্জের বানিয়ারচর গির্জায় সকালের প্রার্থনার সময় নিহত হয় ১০জন; আহত হয় ১৫ জন। সিলেটে একাধিক বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এস এম কিবরিয়া নিহত হন গ্রেনেড হামলায়। ২০০৪ সালের ২১ মে হযরত শাহ জালাল(রহ মাজার পরিদর্শনে গেলে গ্রেনেড হামলায় আহত হন তৎকালীন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত আনোয়ার হোসেন; যিনি সিলেটি বাংলাদেশীর সন্তান। এছাড়াও আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সমাবেশে, অফিসে, নেতার গাড়িতে, সিনেমা হলে একাধিক বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে বোমা ও গ্রেনেড হামলায় নিহত হয়েছে শতাধিক ব্যক্তি। অথচ ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি-জামাত জোট এ ধরনের তৎপরতা বন্ধে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। হামলা প্রতিরোধ ও জঙ্গী দমনে তৎকালীন সরকারের নিষ্ক্রিয়তা জঙ্গীবাদ উত্থানে সহায়ক হয়ে উঠেছিল; ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় খালেদা-নিজামী সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা বর্তমানে আরও স্পষ্ট হয়েছে।
সেসময় খালেদা-নিজামী জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবরের তত্ত্বাবধানে একটি তদন্ত কমিটি করে জজ মিয়া নাটক সাজানো হয়েছিল; নষ্ট করা হয়েছিল গ্রেনেড হামলার সকল আলামত। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে জজ মিয়াদের কোন দোষ খুঁজে পায়নি।
বরং ২০১১ সালের ৩ জুলাই ৫২ জনকে আসামি করে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করা হলে প্রকৃত অপরাধীদের মুখোশ উন্মোচিত হয়। প্রধান আসামিদের তালিকায় নাম রয়েছে - বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ভাগ্নে সাইফুল ইসলাম ডিউক, জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর, জামায়াত নেতা আলী আহসান মুজাহিদ, সাবেক উপমন্ত্রী পিন্টু, জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান প্রভৃতি। এদের ভাই ও সঙ্গীদের অনেকেসহ হুজি নেতাদের সংশ্লিষ্টতা এখন প্রমাণিত সত্য। অর্থাৎ একদিকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গ্রেনেড হামলা অন্যদিকে জঙ্গিদের সঙ্গে তৎকালীন জোট সরকারের সুসম্পর্ক বর্তমানের তথাকথিত ১৮ দলীয় বিরোধীদের রাজনীতির ভয়ানক চিত্র বিশ্ববাসীর সামনে উপস্থাপিত হচ্ছে। খালেদা-নিজামীরা যে খেলায় মেতেছিল সেই পরিস্থিতি পাল্টে গেছে বর্তমান সরকারের আমলে।
মানুষের আস্থা বেড়েছে মহাজোট সরকারের ওপর। আর এজন্যই এবছর মে মাসের প্রথম সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন এদেশ সফরে এসে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের অবস্থানের প্রশংসা করে গেছেন।
তবে দেশের মধ্যে জঙ্গী গোষ্ঠীর তৎপরতা এখনও অব্যাহত রয়েছে। ১৬ আগস্ট পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদের বাংলাদেশ শাখার সংগঠক গ্রেপ্তার হয়েছে ঢাকা শহরে। ১৩ আগস্ট রাজধানীর পান্থপথের একটি রেস্তোরাঁ থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত হিযবুত তাহেরীর ৩৫ সদস্য গ্রেফতার হলো।
অর্থাৎ গোপনে সংগঠিত হচ্ছে হিযবুত তাহেরীর। ব্যাপক ধরপাকড়ের মধ্যেও থেমে নেই উগ্রপন্থীদের কার্যক্রম বরং গোপনে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি চালাচ্ছে তারা। ২০০৯ সালের অক্টোবরে নিষিদ্ধ হবার পরে পুলিশ এ পর্যন্ত ২৪৫ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। র্যাবও সমসংখ্যককে গ্রেফতার করেছে বলে সংবাদসূত্রে জানা গেছে। জামায়াত-শিবিরের কোচিং ব্যবসা থেকে শুরু করে অন্যান্য কর্মকাণ্ডের সঙ্গে হিযবুতের আশ্চর্যরকম মিল রয়েছে।
এ উভয় সংগঠনের রয়েছে আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক। আল-কায়দা, লস্কর-ই-তৈয়বা, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ফ্রন্টসহ পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে জামাত-শিবিরের সম্পর্ক বহুদিনের। পৃথিবীব্যাপি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত সংগঠনগুলো এদেশকে একটি নিরাপদ চারণভূমি মনে করে। কারণ জামাত-শিবিরসহ অনেক জঙ্গী সংগঠন তাদের পক্ষে রয়েছে।
অধ্যাপক আবুল বারকাতের লেখা ‘বাংলাদেশে মৌলবাদের রাজনৈতিক অর্থনীতি’ প্রবন্ধ এবং জঙ্গীবাদের উত্থান সম্পর্কিত আরও কয়েকটি গ্রন্থ পাঠ করে দেশের মধ্যে ২০০৪ সালের ভয়াবহ গ্রেনেড ও ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলার নেপথ্যের চক্রান্ত ও সন্ত্রাসী রাজনীতির পূর্বাপর ইতিহাস আমার কাছে স্পষ্ট হয়েছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের মধ্যে দিয়ে যে পাকিস্তানবাদী প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতির তৎপরতা শুরু হয়েছিল তারই অনিবার্য ফল হচ্ছে জামাত-শিবিরের উত্থান। পরবর্তীকালে রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় মৌলবাদী রাজনৈতিক সংগঠনের অপরাজনীতি শেকড় গেড়ে বসে। উল্লেখ্য, ক্ষমতা গ্রহণের পর সাবেক রাষ্ট্রপতি জেনারেল জিয়া ১৯৭৬ সালে জামাত-শিবিরের রাজনীতি উন্মুক্ত করতে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন(বিশেষ অধ্যাদেশ ০৪ মে ১৯৭৬ এবং বাংলাদেশ সংবিধান, ৫ম সংশোধনী, ২২ এপ্রিল ১৯৭৭)। সে অনুযায়ী বাংলাদেশের স্বাধীনতাপূর্ব জামাতের রাজনীতি শুরু হয় এবং ইসলামী ছাত্র সংঘের কতিপয় নেতা ৪ ফেব্র“য়ারি ১৯৭৭ সালে ঢাকায় সমবেত হয়ে পরিবর্তিত নাম ‘ইসলামী ছাত্র শিবির’ ধারণ করে নতুনভাবে কর্মকাণ্ড শুরু করে। এদের মূল উদ্দেশ্য ছিল আফগানিস্তানে তালেবান শাসনের মতো বাংলাদেশকে পরিচালনা করে।
এলক্ষ্যে শিবির দেশের ছাত্র ও যুব সমাজের মধ্যে গভীরভাবে প্রবেশের পরিকল্পনা করে। ১৯৮০-এর দশকে আফগান-সোভিয়েত যুদ্ধে আমেরিকা ও পাকিস্তান আফগানিস্তানকে সহায়তা করে। আফগানিস্তানের পক্ষে শিবিরের সদস্যসহ বেশ কিছু বাংলাদেশী যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। এরা পাকিস্তানে আইএসআই-এর অধীনে এবং আফগানিস্তানে তালেবানদের অধীনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিল। পরবর্তীতে এদের মধ্যে কিছু সংখ্যক বাংলাদেশী প্যালেস্টাইন ও চেচনিয়া যুদ্ধেও অংশগ্রহণ করেছে।
এরা প্রায় সকলেই বাংলাদেশে ফিরে আসে। এসব যুদ্ধ ফেরত সদস্যরাই পরবর্তীতে বাংলাদেশে আইএসআই/তালেবান ও আল-কায়দার স্থানীয় সদস্য হিসেবে এদেশে আইএসআই/এলইটির(লস্কর-ই-তৈয়বা) এজেন্ট হিসেবে গণ্য হয়। এভাবে আশির দশকের পর জামাতসহ মৌলবাদী সংগঠন ও তালেবানপন্থী গোষ্ঠী সংগঠিত হয়ে রাজনীতির আড়ালে ও ইসলামের নামে জঙ্গী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ বাংলাদেশকে মৌলবাদী ও তালেবান রাষ্ট্র বানানোর একই অভীষ্ট লক্ষ্যে কাজ শুরু করে। ১৯৯১-এ জামাতের সমর্থনসহ বিএনপি ক্ষমতা গ্রহণ করার পর ১৯৯২ সালে জামাতের সহযোগিতায় ইসলামী জঙ্গী সংগঠন ‘হরকাতুল জিহাদ’ আত্মপ্রকাশ করে প্রকাশ্যে জিহাদের ঘোষণা দেয়। পরবর্তীতে কথিত জিহাদের মাধ্যমে বাংলাদেশে ইসলামী শাসন চালুর অভিন্ন আদর্শে জামাত ও ইসলামী জঙ্গী সংগঠনসমূহ একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় তাদের কার্যক্রম গোপনে চলতে থাকে ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত শেখ হাসিনার শাসনামলেও। কিন্তু বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় আসার পরে ২০০৬ পর্যন্ত সারা দেশ জুড়ে জঙ্গীবাদের বিস্ময়কর উত্থান বিশ্ববাসীকে হতবাক করে দেয়। কারণ জোট প্রশাসন জঙ্গীদের প্রত্যক্ষ সুযোগ-সুবিধা দিয়েছিল। ২০০৫ সালে সারা দেশ ব্যাপী বোমা বিস্ফোরণের কথা আমরা পূর্বেই উল্লেখ করেছি। সে সময় বিদেশি পত্রিকা থেকে আমরা জেনেছিলাম লাদেন এদেশে এসেছিল।
শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলার কথা এ সূত্রে মনে রাখা দরকার। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২৯ মার্চ ২০০৭ সালে যে শীর্ষ জঙ্গীদের ফাঁসি কার্যকর করে তাদের সকলেরই জামাত-শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। শায়খ আবদুর রহমান ও সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাই অতীতে জামাত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। ১৫ জুন ২০০৭ সালে দৈনিক পত্রিকা থেকে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত কয়েকজন জেএমবি সদস্য অতীতে জামাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে। ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত হরকাতুল জিহাদের প্রধান মুফতি হান্নান তার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে হামলার সাথে বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টু, লুৎফজ্জামান বাবর এবং ইসলামী ঐক্য জোট নেতা মুফতী শহিদুল ইসলামের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
‘ইসলামী সমাজ’, ‘আল্লাহর দল’ বর্তমানে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন। জামাতে ইসলামের একাংশ বের হয়ে তৈরি হয়েছিল ‘ইসলামী সমাজ’ আর ‘আল্লাহর দলে’র প্রতিষ্ঠাতা ছিল ছাত্রশিবিরের কর্মী। শীর্ষ নেতৃবৃন্দ যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বিচারের সম্মুখীন হওয়ায় প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য ভিন্ন পন্থার অনুসন্ধান চলছে জামাত-শিবিরের ভেতর। তারা এখন ‘হিযবুত তাহরীর উল্লাই’য়াহ বাংলাদেশ’, ‘হরকাতুল জিহাদ আল-ইসলামী বাংলাদেশ’(হুজি)সহ আরও অনেক জঙ্গী সংগঠনকে তাদের পতাকাতলে একত্রিত করেছে। অবশ্য বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘ইসলামি মৌলবাদী’ দল হিসেবে চিহ্নিত করেছে ‘জামাত ইসলাম’কে।
অন্যদিকে বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাংক ও স্যোসাল ইসলামী ব্যাংকের বিরুদ্ধে অবৈধ অর্থের লেনদেন ও সন্ত্রাসবাদে অর্থের জোগানে সহযোগিতা দেওয়ার মতো অপরাধের সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ঐতিহাসিকভাবে এ দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য ইসলামী রাষ্ট্রের পার্থক্য রয়েছে। এখানকার ইসলাম ধর্মানুসারীরা উদার ও মানবিক। হাজার বছর ধরে অন্যান্য ধর্ম বিশ্বাসীরা এখানে নির্বিঘেœ বাস করে আসছে। এজন্যই আমরা মনে করি, ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক জঙ্গীরা জোর করে ক্ষমতা দখল করতে পারবে না।
উগ্রপন্থীরা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরি শেখ হাসিনা তথা এদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার নেতৃত্বকে নিঃশেষ করতে চেয়েছিল। তাদের সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। পরের বছর সিরিজ বোমা হামলার মাধ্যমে দেশকে তালেবান রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্রও নস্যাৎ হয়েছে। বর্তমান সরকারের জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস বিরোধী অবস্থান ইতোমধ্যে প্রশংসা কুড়িয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আমাদের মতো খ্রিস্টান সম্প্রদায়সহ অন্যান্য ক্ষুদ্র ধর্ম বিশ্বাসীরাও নিরাপদে এদেশে বসবাসের নিশ্চয়তা পাবে।
সাম্প্রদায়িক ও অনগ্রসর-পশ্চাৎপদ দৃষ্টিভঙ্গির চূড়ান্ত পরিণতির নাম জঙ্গীবাদ। দেশ থেকে এ ধরনের রাজনৈতিক তৎপরতা চিরতরে বন্ধ হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ৫২ আসামির মধ্যে ৩৩ জন কারাগারে; পলাতক ১২ জনের মধ্যে তারেক রহমান লন্ডনে, হারিছ চৌধুরী আসামে, কেউ কেউ আছেন কানাডা, ব্যাংকক, আমেরিকায়; হুজির শীর্ষ নেতারা পাকিস্তানে পালিয়েছে। এদের সকলকে অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার সম্পন্ন করা ও রায় কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি আমরা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।