আমি বহুযুগের পুরানো বুদ্ধিদীপ্ত এক জীবন্ত ফসিল। স্ট্যাচু!
বলার সাথে সাথে আমার সামনে স্ট্যাচু হয়ে গেলে তুমি।
ইশ! কতদিন পর তোমাকে স্ট্যাচু করলাম।
আমার ফেলে আসা শৈশবের এই খেলাটি ছিল অসম্ভব আদুরে
বুড়ো হয়ে গেলাম তবুও সেই স্মৃতি সংরক্ষন করে রেখেছি খুব যত্নে।
ছোট বেলায় কি যে দুরন্ত ছিলে! স্ট্যাচু হয়েও সমানে কথা বলতে।
ইজি বলতে দেরি করলে চিল্লাপাল্লা করে বাড়ির সবাইকে ডেকে আনতে।
সেই তুমি আমার সামনে এখন স্ট্যাচু। একটুও নড়ছো না।
চেঁচিয়ে বাড়িসুদ্ধ লোকদের জড়ো করে নালিশ করছো না।
বরং চোখ দুটো চিকন করে অদ্ভুতভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছ।
এই দৃষ্টি আমার কাছে একদম অপরিচিত। এ কি আমার সেই পেত্নি !
আমি কি ভুল করে অন্য কাউকে! না এ হতেই পারে না।
সেই চিবুক,সেই ঠোঁট আর কপালে আমার দেওয়া সেই খামচির দাগ।
পেত্নি বললে কি রাগটাই না করতে! আর এটাই ছিল আমার মোক্ষম অস্ত্র।
রাগলে তুমি তোতলামি করতে।
এখনো কি তাই কর!
মনের ভেতর থেকে উগড়ে হুড়মুড় করে উঠে আসছে কথা।
কত কিছুই না বলার আছে। মুখ থেকে হঠাৎ বেরিয়ে আসলো ইজি শব্দটি।
ইজি বলতেই এগিয়ে এল সে। দাঁত দিয়ে নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে আছে।
আমার গা দিয়ে শীতল স্রোত নেমে যাচ্ছে। হৃদপিন্ডের উঠানামা থেমে গেল।
একক্ষন ধরে পেত্নিকে দাঁড়িয়ে রেখেছো। বেশ সাহস হয়েছে তো!
ছুঁয়ে দেওয়া দুরত্বে দাঁড়িয়ে চোখে চোখ রেখে বলল- এবার তোমার ঘাড় মটকাবো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।